ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
৫৯ বিজিবি ভোলাহাট সীমান্তে হতে ১২ টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল আটক গোমস্তাপুরে চাঁপাই ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রী ৬০ তম রক্তের গ্রুপ নির্ণয় নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ নেত্রকোনায় মাদকবিরোধী মানববন্ধন আটপাড়ায় বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার, ভারতীয় নাগরিকের লাশ বাংলাদেশীর আত্মীয়-স্বজনকে দেখাতে সহযোগিতা করল বিজিবি – বিএসএফ স্বৈরাচার তাড়ানো তরুণরাই দেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: জামায়াত আমির সেন্টমার্টিন ছেড়া দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে ১টি ট্রলিং বোট ও থাই জালসহ ১৯ জন গ্রেফতার। সৌদি আরব অবৈধ প্রবাসীদের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করতে যাচ্ছে জাওয়াজাত।  প্রেমের টানে সিলেট থেকে আটপাড়ায় প্রেমিকা, নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো বিয়ে

টিসিবির চাল পাচারকালে সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ জন ,পুলিশের হাত থেকে পালিয়েছে ১ জন। 

মদন প্রতিনিধি:

 

নেত্রকোণার মদন উপজেলায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ২৫ বস্তা চাল কালো বাজারে পাচারের সময় তিনজনকে আটক করেছেন মদন উপজেলার দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

 

গেল শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে সেনাবাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আখাশ্রী গ্রামের পাশে এম এ ওয়াহেদ ইট কলার সংলগ্ন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

 

আটককৃতরা হলেন—টিসিবির ডিলার শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন (৩৮), চালক আলম মিয়া +৩০)এবং মাহফুজ(২৫)। তারা সবাই উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা।

 

এঘটনায় সেনাবাহিনী জব্দকৃত চাল, পিকআপ ভ্যানসহ তিনজনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।

 

পরে থানায় নিয়ে যাওয়া পথে টিসিবির ডিলার শামছুল হক (চ্যাম্পিয়ন) পুলিশের কাছ থেকে সুযোগে নিয়ে পালিয়ে যায়।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিসিবির চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। পরে স্থানীয়দের সন্দেহে আখাশ্রী গ্রামে একটি পিকআপসহ ২৫ বস্তা চাল আটক করা হয়।

পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মদন উপজেলা দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে টিসিবির পণ্য পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত করে

সেনাবাহিনী এ ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট লোকজন ও চাল বহনকারী গাড়িসহ থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

 

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, কালোবাজারি চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে, যার ফলে এ ধরনের অনিয়মের ঘটনা বারবার ঘটছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে পালিয়ে গেছেন, নাকি তাকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে—সে নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে থানায় আনার সময় শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন নামের একজন পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

৫৯ বিজিবি ভোলাহাট সীমান্তে হতে ১২ টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল আটক

টিসিবির চাল পাচারকালে সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ জন ,পুলিশের হাত থেকে পালিয়েছে ১ জন। 

আপডেট টাইমঃ ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

মদন প্রতিনিধি:

 

নেত্রকোণার মদন উপজেলায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ২৫ বস্তা চাল কালো বাজারে পাচারের সময় তিনজনকে আটক করেছেন মদন উপজেলার দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

 

গেল শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে সেনাবাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আখাশ্রী গ্রামের পাশে এম এ ওয়াহেদ ইট কলার সংলগ্ন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

 

আটককৃতরা হলেন—টিসিবির ডিলার শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন (৩৮), চালক আলম মিয়া +৩০)এবং মাহফুজ(২৫)। তারা সবাই উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা।

 

এঘটনায় সেনাবাহিনী জব্দকৃত চাল, পিকআপ ভ্যানসহ তিনজনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।

 

পরে থানায় নিয়ে যাওয়া পথে টিসিবির ডিলার শামছুল হক (চ্যাম্পিয়ন) পুলিশের কাছ থেকে সুযোগে নিয়ে পালিয়ে যায়।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিসিবির চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। পরে স্থানীয়দের সন্দেহে আখাশ্রী গ্রামে একটি পিকআপসহ ২৫ বস্তা চাল আটক করা হয়।

পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মদন উপজেলা দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে টিসিবির পণ্য পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত করে

সেনাবাহিনী এ ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট লোকজন ও চাল বহনকারী গাড়িসহ থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

 

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, কালোবাজারি চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে, যার ফলে এ ধরনের অনিয়মের ঘটনা বারবার ঘটছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে পালিয়ে গেছেন, নাকি তাকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে—সে নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে থানায় আনার সময় শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন নামের একজন পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।