
তৌফিকুর রহমান তাহের
বিশেষ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ ;
সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনে ‘ধানের শীষ’-এর পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুলের সমর্থনে এক বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
শনিবার (১ নবেম্বর) দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা সদরের খেলার মাঠে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈরী আবহাওয়া ও ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে এসে মাঠটি পরিপূর্ণ করে তোলেন।
তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক (স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান উজ্জলের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কামরুজ্জামান কামরুল।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক (স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হক, যুগ্ম আহবায়ক নুরুল ইসলাম বিএসসি, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জুলফিকার চৌধুরী রানাসহ বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল জনতার ঢল দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, একটি পক্ষ গণভোটের আয়োজন করে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁরা দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কর্মী ও সমর্থক হিসেবে বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে হামলা, মামলা, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনাকে বিদায় করে এখন মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের চেষ্টা চলছে।
এই অবহেলিত সুনামগঞ্জ-১ আসনের বিবিধ সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, যদি তিনি ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারেন, তবে এই আসনের সর্বস্তরের জনসাধারণকে সাথে নিয়ে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করবেন। তিনি রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, ব্রীজ-কালভার্টসহ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে এই হাওরাঞ্চলের মানুষের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ব্যক্তিগত সততা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে জামালগঞ্জের একটি জনসভায় এক কর্মী তাকে যে দশ লাখ টাকার চেক দিয়েছিলেন, তা তিনি জনসম্মুখে ওই কর্মীকে ফেরত দিয়েছেন। তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আশ্বস্ত করেন, “আমি রাজনীতি করি জনগণের কল্যাণের জন্য, আমি টাকা কামাতে রাজনীতিতে আসিনি। আমার কোনো ভোগবিলাসিতা নেই। আমি এই অবহেলিত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের লক্ষ্যেই নির্বাচন করতে চাই।

অনলাইন ডেস্কঃ 
















