ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
৫৯ বিজিবি ভোলাহাট সীমান্তে হতে ১২ টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল আটক গোমস্তাপুরে চাঁপাই ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রী ৬০ তম রক্তের গ্রুপ নির্ণয় নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ নেত্রকোনায় মাদকবিরোধী মানববন্ধন আটপাড়ায় বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার, ভারতীয় নাগরিকের লাশ বাংলাদেশীর আত্মীয়-স্বজনকে দেখাতে সহযোগিতা করল বিজিবি – বিএসএফ স্বৈরাচার তাড়ানো তরুণরাই দেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: জামায়াত আমির সেন্টমার্টিন ছেড়া দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে ১টি ট্রলিং বোট ও থাই জালসহ ১৯ জন গ্রেফতার। সৌদি আরব অবৈধ প্রবাসীদের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করতে যাচ্ছে জাওয়াজাত।  প্রেমের টানে সিলেট থেকে আটপাড়ায় প্রেমিকা, নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো বিয়ে

নওগাঁর মান্দায় বৃষ্টির পানিতে পঁচে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বোরো ধান, বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা

 

 

মোঃ রমজান হোসেন নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

নওগাঁর মান্দায় গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে মাঠে পেকে থাকা বোরো ধান কাটতে পারছেন না কৃষকেরা। কোনো কোনো জমিতে ধান কাটলেও শুকাতে না পারায় তা আবার ভিজে যাচ্ছে। ফলে খেতেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ধান শুকানোর সুযোগ না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।কৃষকেরা বলছেন, আমন ধান কেটে নেওয়ার পর ওইসব জমিতে সরিষা ও আলুর আবাদ করা হয়েছিল। এ কারণে বোরো ধান রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়। জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকে একটানা বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া ভালো না থাকায় পাকা ধান কেটে তাঁরা ঘরে তুলতে পারছেন না। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা।স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত সাত দিনে গড়ে প্রতিদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় ২০ মিলিমিটার। এ সময়ে সাধারণত আকাশ মেঘলা থাকলেও টানা বৃষ্টির নজির সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি। এ বছরের চিত্র পুরোটাই উল্টো।উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে এবং সরিষা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ হেক্টরে। এসব জমিতে আলু ও সরিষা কেটে বোরো ধান রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এই দেরির কারণে এখন ধান কাটার মৌসুম পড়েছে বৃষ্টির মধ্যে।

 

পশ্চিম নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল বলেন, ‘আমন ধান কাটার পর তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। এরপর সেই জমিতে বোরো ধান লাগাই। পাকা ধান কেটে শুকানোর জন্য জমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সেই ধান আর ঘরে তুলতে পারছি না। খেতেই ধান পচে যাচ্ছে। খুব বিপদে আছি।’

 

একই গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুযোগ বুঝে কিছু ধান কেটেছি, কিন্তু শুকাতে না পারায় ধান আবার ভিজে গেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে এক দিনও পুরো শুকনো দিন পাইনি।’

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

৫৯ বিজিবি ভোলাহাট সীমান্তে হতে ১২ টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল আটক

নওগাঁর মান্দায় বৃষ্টির পানিতে পঁচে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বোরো ধান, বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা

আপডেট টাইমঃ ০২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

 

মোঃ রমজান হোসেন নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

নওগাঁর মান্দায় গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে মাঠে পেকে থাকা বোরো ধান কাটতে পারছেন না কৃষকেরা। কোনো কোনো জমিতে ধান কাটলেও শুকাতে না পারায় তা আবার ভিজে যাচ্ছে। ফলে খেতেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ধান শুকানোর সুযোগ না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।কৃষকেরা বলছেন, আমন ধান কেটে নেওয়ার পর ওইসব জমিতে সরিষা ও আলুর আবাদ করা হয়েছিল। এ কারণে বোরো ধান রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়। জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকে একটানা বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া ভালো না থাকায় পাকা ধান কেটে তাঁরা ঘরে তুলতে পারছেন না। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা।স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত সাত দিনে গড়ে প্রতিদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় ২০ মিলিমিটার। এ সময়ে সাধারণত আকাশ মেঘলা থাকলেও টানা বৃষ্টির নজির সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি। এ বছরের চিত্র পুরোটাই উল্টো।উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে এবং সরিষা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ হেক্টরে। এসব জমিতে আলু ও সরিষা কেটে বোরো ধান রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এই দেরির কারণে এখন ধান কাটার মৌসুম পড়েছে বৃষ্টির মধ্যে।

 

পশ্চিম নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল বলেন, ‘আমন ধান কাটার পর তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। এরপর সেই জমিতে বোরো ধান লাগাই। পাকা ধান কেটে শুকানোর জন্য জমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সেই ধান আর ঘরে তুলতে পারছি না। খেতেই ধান পচে যাচ্ছে। খুব বিপদে আছি।’

 

একই গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুযোগ বুঝে কিছু ধান কেটেছি, কিন্তু শুকাতে না পারায় ধান আবার ভিজে গেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে এক দিনও পুরো শুকনো দিন পাইনি।’