ঢাকা , শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
মদনে নিজ উপজেলা সংবর্ধনা সিক্ত হয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের নাশকতা রুখতে মাঠে ছাত্রশিবির টেকনাফের সেন্টমার্টিনে কোস্ট গার্ডের অভিযানে মায়ানমারগামী বিপুল পরিমাণ খাদ্য ও নির্মাণ সামগ্রীসহ ২২ জন পাচারকারী আটক। জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন বিষয়ে জাতির উদ্দেশে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ টেকনাফে ৯ হাজার ৮০০পিস ই’য়া’বা’সহ কোস্ট গার্ডের অভিযানে এক যুবক আটক। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ দেশে ১ কোটি ৩৮ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন আর নিরপেক্ষ নেই: তাহের বড়াইগ্রামে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ চিতলমারীতে বিএনপি কর্মী রসুল শেখ কে কুপিয়ে জখম করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দিরাই-শাল্লায় আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদের পক্ষে বিএনপির গণমিছিল ও সমাবেশ

প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীর পরিবার ‎

  • অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইমঃ ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪৭ বার

গাজীপুর প্রতিনিধি 

‎গাজীপুরে মোঃ আমান উল্লাহ আমান নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৭ লাখ ৪০ হাজার  টাকা হাতিয়ে নিয়েছে  প্রতারক আবদুল্লাহ আল মামুন ও স্থানীয় কিছু প্রতারক চক্র । প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভুক্তভোগী মোঃ আমান উল্লাহ আমান ও তার পরিবার সব হারিয়ে পথে বসেছে।

মোঃ ‎আমান উল্লাহ আমান নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলা হরিপুর গ্রামের পিতা মৃত এ, কে, ফজলুল হকের ছেলে।

‎কিন্তূ তিনি ব্যবসা করার সুবাধে গাজীপুর জেলা বাসন থানা ১৮ নং ওয়ার্ড, নীহারিকা হাউজিং বাড়ি নং- ৪৮৮ বর্তমানে এখানে ব্যবসা পরিচালনা করেন।

‎অভিযোগ ও লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, মোঃ আমান উল্লাহ আমান একজন গার্মেন্টসের তৈরী পোষাক ক্রেতা-বিক্রতা। ব্যবসায়িক পরিচয়ে মােঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, এর সাথে পরিচয় হয়। মোঃ আমান উল্লাহ আমান এর ভাই মোঃ আশরাফুলের সাথে  ব্যবসায়িক সম্পর্কের ফলে, গত ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ মোঃ আমান উল্লাহ আমানের  নিকট হতে, পাঁচ লক্ষ  টাকা এবং ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ১২ লক্ষ ৪০ হাজার  টাকার গার্মেন্টস মালামাল ক্রয়ের জন্য হাওলাদ নেয়। পরে উক্ত মালামাল ক্রয় করতঃ শুধুমাত্র ১৪/১৫ হাজার  পিস সোয়েটার  মোঃ আমান উল্লাহ আমানের গােডাউনে রাখে এবং তার গোডাউনে আর জায়গা না থাকায় সেই সুযােগে বাকী মাল মােঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাসার মালিকের ছেলে সজল মিয়ার গােডাউনে রাখে।

‎এবং আমান তা সরল বিশ্বাসে রাখতে দেয়।

‎উত্ত মালামাল পরিকল্পিতভাবে মামুন তার নামে ক্যাশ মেমো/চালান করে,  পরে  এটা ভুলক্রমে করা হয়েছে বলে জানায় এবং মামুন তার  প্রতিষ্ঠানের একটি ক্যাশ মেমাে/চালান ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ অরিখে মোঃ আমান উল্লাহ আমানকে  প্রদান করে।

‎ক্রয়কৃত মালামাল সাত দিন পার হয়ে যাবার পরও বিক্রি না হওয়ায় মামুনকে টাকার জন্য চাপ দেওয়া হলে, পরবর্তীত ১০ই ফেব্রুয়ারি  ২০২৫ তারিখে ৩০০/- টাকার স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করে এবং উক্ত অঙ্গীকারনামায় যেভাবেই হােক ২-৪ মাসের মধ্যে মালের লাভসহ সকল টাকা পরিশােধ করবে বলে জানায়। বিবাদী উক্ত টাকার বিপরীতে মোট ২টি চেক প্রদান করে (১টি মুল টাকা উল্লেখ করে আরেকটি প্রতি পিস মালে ১০ টাকা লাভ ধরে চেক নং- ২৬৮৬৫৫৯ & ২৬৮৬৫৬৯, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক হিসাব নং- ১৩৮১১০০০৩৬৬৬২, এবং নিজ স্বাক্ষরিত ব্যবসায়ের লাইসেন্সের ফটোকপি (যা যাচাই করে ভুয়া ধরা পরে), ভোটার আইডি কার্ড এর কপি,ব্যাংক কার্ড ইত্যাদি প্রদান করে।

‎এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহমুদুল হাসান(ভাই), সজল মিয়া মিয়া (বাসার মালিকের ছেলে),  মিজানুর রহমান (ম্যানেজার/সহকারী),, আরও ৩/৪  জনের যোগসাজোসে উক্ত মালামাল চুরি করে অল্প অল্প করে সর্বশেষ ১৭,০০,০০০/- লাখ টাকার মালামাল বিক্রি করে দেয়।

‎আমান উল্লাহ আমান গােপন সুত্রে বিষয়টি জানতে পেরে টাকা পরিশােধের জন্য বলিলে মামুন  বিষয়টি অস্বীকার করে এবং উক্ত চক্র আমান এর ভাই শাহীনুর আলমকে এই বলে হুমকি দেয় যে, ০৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর পুলিশের চাকুরি খেতে ১ মিনিটও লাগবেনা এবং তার প্রাননাশের হুমকি দেয় ।

এরপর ‎হটাৎ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে আমান উল্লাহ আমানের ছােট ভাই আশরাফুল এর ৫ লক্ষ ৫০  হাজার টাকার মধ্যে চার লক্ষ টাকা প্রদান করে এবং বাকী টাকা বাবদ তার মোবাইলটি স্বেচ্ছায় জামানত রেখে যায় যা ২৩  সেপ্টেম্বর  ২০২৫ইং তারিখে বাসন থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করে। মামুন বাকী টাকা পরের দিন দেওয়ার কথা বলে ও ইচ্ছাকৃত  ১টি মোবাইল জমা রাখে কিন্তু পরের দিন টাকা পরিশােধ না করে উক্ত চক্র হয়রানি/টাকা আত্মসাৎ করার জন্য উল্টো আমান উল্লাহ আমান ও তার  ভাইদের বিরুদ্ধ গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বাসন থানায়  একটি অভিযাগ দায়ের করে।  পরে যথা সময়ে মামুন টাকা পরিশোধ করে মোবাইল ও কাগজপত্র না নেওয়ায় তা বাসন থানায় তদন্তকারী অফিসারের নিকট জমা করা হয় যা থানার জিডি নম্বর-৬২৫ এ উল্লেখ আছে। উক্ত প্রতারক চক্র আমানকে তার অফিসে যেতে দেয়না ও মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়, এতে সে নিরাপস্তা হীনতায় ভূগছে।

‎এ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মামুনকে জিঙ্গাসা করা হলে, তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে, এরিয়ে যান।

‎আবদুল্লাহ আল মামুন পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার আশোয়া গ্রামের ফোরকান হোসেনের ছেলে।

‎বর্তমানে ব্যবসায়িক সুবাদে তিনি  ৪৮৪ নীহারিকা আবাসিক এলাকা, বশির সড়ক, জয়দেবপুর রোড, গাজীপুরে বসবাস করেন।

‎উপরোক্ত সকল বিষয়ে, পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবর, আবদুল্লাহ আল মামুন গং এর বিরুদ্ধে চুরি করে মালামাল বিক্রয়, পাওনা টাকা আদায়ের নিমিত্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমান উল্লাহ আমান অভিযোগ দায়ের করে।

‎পরবর্তীতে সাংবাদিকসহ থানায় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হলে কাগজপত্র পর্যালোচনা এবং সরেজমিনে তদন্ত করে নিম্লোক্ত বিষয়সমূহ অবগত হই; ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখে ঘটনার কোন আলামত পাওয়া যায়নি, ১০/১২টি সিসিটিভি থাকা সত্বেও তার ফুটেজ দেখাতে বললে মােঃ আবদুল্লাহ আল মামুন কোন সিসিটিভি ফুটেজ দিতে রাজি হয়নি বরং ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখের বাসা থেকে জোরপূর্বক মালামাল আনার কোন সিসিটিভি ফুটেজ দাখিল করেনি কারণ, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৩  সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখে বিবাদী ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে সুস্থভাবে বাদীর অফিস ত্যাগ করে (যার ভিডিও ক্লিপ দেখেই নিশ্চিত হওয়া যায়)। পরবর্তীতে বাদীর ভাই ও বাদীর টাকা পরিশােধ না করে ২দিন/৩দিন পর পরিকল্পিতভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়, পরে টাকা পরিশােধ করে মােবাইল ও কাগজ ফেরত না নেওয়ার ফলে তা স্বেচ্ছায় থানায় জমা করে যা বাসন থানা জিডি নম্বর ৬২৫ এ উল্লখ আছে। পরিশেষে, বাদী মোঃ আমান উল্লাহ আমান ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগটি মিথ্যা, বানােয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রনােদিত বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা/উপস্থিত আলােচনা ও কাগজপত্রের পর্যালোচনা করে অত্র প্রতিবেদক নিশ্চিত হই।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

মদনে নিজ উপজেলা সংবর্ধনা সিক্ত হয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর

প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীর পরিবার ‎

আপডেট টাইমঃ ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

গাজীপুর প্রতিনিধি 

‎গাজীপুরে মোঃ আমান উল্লাহ আমান নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৭ লাখ ৪০ হাজার  টাকা হাতিয়ে নিয়েছে  প্রতারক আবদুল্লাহ আল মামুন ও স্থানীয় কিছু প্রতারক চক্র । প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভুক্তভোগী মোঃ আমান উল্লাহ আমান ও তার পরিবার সব হারিয়ে পথে বসেছে।

মোঃ ‎আমান উল্লাহ আমান নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলা হরিপুর গ্রামের পিতা মৃত এ, কে, ফজলুল হকের ছেলে।

‎কিন্তূ তিনি ব্যবসা করার সুবাধে গাজীপুর জেলা বাসন থানা ১৮ নং ওয়ার্ড, নীহারিকা হাউজিং বাড়ি নং- ৪৮৮ বর্তমানে এখানে ব্যবসা পরিচালনা করেন।

‎অভিযোগ ও লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, মোঃ আমান উল্লাহ আমান একজন গার্মেন্টসের তৈরী পোষাক ক্রেতা-বিক্রতা। ব্যবসায়িক পরিচয়ে মােঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, এর সাথে পরিচয় হয়। মোঃ আমান উল্লাহ আমান এর ভাই মোঃ আশরাফুলের সাথে  ব্যবসায়িক সম্পর্কের ফলে, গত ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ মোঃ আমান উল্লাহ আমানের  নিকট হতে, পাঁচ লক্ষ  টাকা এবং ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ১২ লক্ষ ৪০ হাজার  টাকার গার্মেন্টস মালামাল ক্রয়ের জন্য হাওলাদ নেয়। পরে উক্ত মালামাল ক্রয় করতঃ শুধুমাত্র ১৪/১৫ হাজার  পিস সোয়েটার  মোঃ আমান উল্লাহ আমানের গােডাউনে রাখে এবং তার গোডাউনে আর জায়গা না থাকায় সেই সুযােগে বাকী মাল মােঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাসার মালিকের ছেলে সজল মিয়ার গােডাউনে রাখে।

‎এবং আমান তা সরল বিশ্বাসে রাখতে দেয়।

‎উত্ত মালামাল পরিকল্পিতভাবে মামুন তার নামে ক্যাশ মেমো/চালান করে,  পরে  এটা ভুলক্রমে করা হয়েছে বলে জানায় এবং মামুন তার  প্রতিষ্ঠানের একটি ক্যাশ মেমাে/চালান ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ অরিখে মোঃ আমান উল্লাহ আমানকে  প্রদান করে।

‎ক্রয়কৃত মালামাল সাত দিন পার হয়ে যাবার পরও বিক্রি না হওয়ায় মামুনকে টাকার জন্য চাপ দেওয়া হলে, পরবর্তীত ১০ই ফেব্রুয়ারি  ২০২৫ তারিখে ৩০০/- টাকার স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করে এবং উক্ত অঙ্গীকারনামায় যেভাবেই হােক ২-৪ মাসের মধ্যে মালের লাভসহ সকল টাকা পরিশােধ করবে বলে জানায়। বিবাদী উক্ত টাকার বিপরীতে মোট ২টি চেক প্রদান করে (১টি মুল টাকা উল্লেখ করে আরেকটি প্রতি পিস মালে ১০ টাকা লাভ ধরে চেক নং- ২৬৮৬৫৫৯ & ২৬৮৬৫৬৯, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক হিসাব নং- ১৩৮১১০০০৩৬৬৬২, এবং নিজ স্বাক্ষরিত ব্যবসায়ের লাইসেন্সের ফটোকপি (যা যাচাই করে ভুয়া ধরা পরে), ভোটার আইডি কার্ড এর কপি,ব্যাংক কার্ড ইত্যাদি প্রদান করে।

‎এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহমুদুল হাসান(ভাই), সজল মিয়া মিয়া (বাসার মালিকের ছেলে),  মিজানুর রহমান (ম্যানেজার/সহকারী),, আরও ৩/৪  জনের যোগসাজোসে উক্ত মালামাল চুরি করে অল্প অল্প করে সর্বশেষ ১৭,০০,০০০/- লাখ টাকার মালামাল বিক্রি করে দেয়।

‎আমান উল্লাহ আমান গােপন সুত্রে বিষয়টি জানতে পেরে টাকা পরিশােধের জন্য বলিলে মামুন  বিষয়টি অস্বীকার করে এবং উক্ত চক্র আমান এর ভাই শাহীনুর আলমকে এই বলে হুমকি দেয় যে, ০৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর পুলিশের চাকুরি খেতে ১ মিনিটও লাগবেনা এবং তার প্রাননাশের হুমকি দেয় ।

এরপর ‎হটাৎ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে আমান উল্লাহ আমানের ছােট ভাই আশরাফুল এর ৫ লক্ষ ৫০  হাজার টাকার মধ্যে চার লক্ষ টাকা প্রদান করে এবং বাকী টাকা বাবদ তার মোবাইলটি স্বেচ্ছায় জামানত রেখে যায় যা ২৩  সেপ্টেম্বর  ২০২৫ইং তারিখে বাসন থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করে। মামুন বাকী টাকা পরের দিন দেওয়ার কথা বলে ও ইচ্ছাকৃত  ১টি মোবাইল জমা রাখে কিন্তু পরের দিন টাকা পরিশােধ না করে উক্ত চক্র হয়রানি/টাকা আত্মসাৎ করার জন্য উল্টো আমান উল্লাহ আমান ও তার  ভাইদের বিরুদ্ধ গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বাসন থানায়  একটি অভিযাগ দায়ের করে।  পরে যথা সময়ে মামুন টাকা পরিশোধ করে মোবাইল ও কাগজপত্র না নেওয়ায় তা বাসন থানায় তদন্তকারী অফিসারের নিকট জমা করা হয় যা থানার জিডি নম্বর-৬২৫ এ উল্লেখ আছে। উক্ত প্রতারক চক্র আমানকে তার অফিসে যেতে দেয়না ও মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়, এতে সে নিরাপস্তা হীনতায় ভূগছে।

‎এ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মামুনকে জিঙ্গাসা করা হলে, তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে, এরিয়ে যান।

‎আবদুল্লাহ আল মামুন পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার আশোয়া গ্রামের ফোরকান হোসেনের ছেলে।

‎বর্তমানে ব্যবসায়িক সুবাদে তিনি  ৪৮৪ নীহারিকা আবাসিক এলাকা, বশির সড়ক, জয়দেবপুর রোড, গাজীপুরে বসবাস করেন।

‎উপরোক্ত সকল বিষয়ে, পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবর, আবদুল্লাহ আল মামুন গং এর বিরুদ্ধে চুরি করে মালামাল বিক্রয়, পাওনা টাকা আদায়ের নিমিত্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমান উল্লাহ আমান অভিযোগ দায়ের করে।

‎পরবর্তীতে সাংবাদিকসহ থানায় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হলে কাগজপত্র পর্যালোচনা এবং সরেজমিনে তদন্ত করে নিম্লোক্ত বিষয়সমূহ অবগত হই; ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখে ঘটনার কোন আলামত পাওয়া যায়নি, ১০/১২টি সিসিটিভি থাকা সত্বেও তার ফুটেজ দেখাতে বললে মােঃ আবদুল্লাহ আল মামুন কোন সিসিটিভি ফুটেজ দিতে রাজি হয়নি বরং ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখের বাসা থেকে জোরপূর্বক মালামাল আনার কোন সিসিটিভি ফুটেজ দাখিল করেনি কারণ, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৩  সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখে বিবাদী ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে সুস্থভাবে বাদীর অফিস ত্যাগ করে (যার ভিডিও ক্লিপ দেখেই নিশ্চিত হওয়া যায়)। পরবর্তীতে বাদীর ভাই ও বাদীর টাকা পরিশােধ না করে ২দিন/৩দিন পর পরিকল্পিতভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়, পরে টাকা পরিশােধ করে মােবাইল ও কাগজ ফেরত না নেওয়ার ফলে তা স্বেচ্ছায় থানায় জমা করে যা বাসন থানা জিডি নম্বর ৬২৫ এ উল্লখ আছে। পরিশেষে, বাদী মোঃ আমান উল্লাহ আমান ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগটি মিথ্যা, বানােয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রনােদিত বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা/উপস্থিত আলােচনা ও কাগজপত্রের পর্যালোচনা করে অত্র প্রতিবেদক নিশ্চিত হই।