
পলাশ পাল, বারহাট্টা প্রতিনিধি
কোন প্রকার বৈধ অনুমোদন ছাড়াই বারহাট্টায় ক্ষুদ্র ঋণপ্রদান, সঞ্চয় ও স্থায়ী আমানত গ্রহণ কার্যক্রম চালাচ্ছে এনএসডিসি নামের একটি ভুইপোর সংস্থা।
দেশীয় আইন অনুসারে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (MRA) কমিশনের অনুমোদন ব্যতিত কোন প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেনের বৈধতা পায় না অথচ কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই এই প্রতিষ্ঠান বড় সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে বারহাট্টা তেই এরকম আরো অনেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান সরকারের আইন কে পাশ কাটিয়ে ভাড়া বাসা এবং কিছু চেয়ার-টেবিল নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে এ ধরনের অবৈধ অপতৎপরতা!!!
গত ৪অক্টোবর নেত্রকোনার বারহাট্টায় নিউ-রাইস সাসটেইন ডেভলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম (এনএসডিসি) নামক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বারহাট্টা উপজেলার পূর্ব বাজার বারহাট্টা-চন্দ্রপুর রোডে সাবেক চিরাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব সাইদুর রহমান এর বাসায় এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ম্যানেজারের সাথে কথা বলে জানা যায় -এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায়।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে, বারহাট্টা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি শাখা অফিস রয়েছে কিন্তু তাদের অফিস ও তাদের কার্যক্রমের অনুমোদন হিসেবে রয়েছে শুধু একটি টিন সার্টিফিকেট, ৩নং বারহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের একটি ট্রেড লাইসেন্স ও একটি সার্টিফিকেট অফ ইনকর্পোরেশন এর সনদপত্র। এগুলো ছাড়া তাদের কার্যক্রম পরিচালনার বৈধ এবং উপযুক্ত আর কোন সনদ পাওয়া যায় নি।
এইসব কাগজপত্রের উপর ভিত্তি করেই তারা গ্রাহকের কাছ থেকে স্থায়ী আমানত, মাসিক ও সাপ্তাহিক সঞ্চয় সহ ঋণ কার্যক্রম শুরু করেছে। অফিসের বাইরে একটি ছোট কাগজে লেখা রয়েছে, এখানে যাবতীয় ইলেকট্রনিক পণ্য কিস্তিতে বিক্রি করা হয় কিন্তু অফিসের ভিতরে গিয়ে এই সব কোন পণ্যরই হদিস মেলেনি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট
শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুস ছামাদ বলেন, আমরা এই কাগজের ভিত্তিতেই সঞ্চয় ও ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা সঞ্চয়ের বিপরীতে গ্রাহকদের পাশ বই ও আমাদের খরচে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তি করে দিচ্ছি। তবে এই সংস্থার বৈধতার ব্যাপারে জানতে চাইলে
বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের শাখা ব্যবস্থাপক বাবু সুরজিৎ কুমার ভৌমিক বলেন, এমআরএ সনদ ব্যতিত কোন প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেন করলে এটি বৈধ হবে না।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খবিরুল আহসান বলেন, আমরা তাদের ডেকে এনে তাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি । তারা বলেছে (এনএসডিসি) তারা শুধু পণ্য কিস্তিতে বিক্রি করে। কিন্তু ঋণ,সঞ্চয় ও স্থায়ী আমানত গ্রহণ কার্যক্রমের ব্যপারে আমাকে জানায় নি। বৈধ অনুমোদন ব্যতিত ঋণ দান সঞ্চয় আদায় এগুলো তারা কোনভাবেই করতে পারবে না। এই সময় তিনি বারহাট্টা উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানের বৈধ অনুমোদন আছে কি-না? তা জেনে বুঝে তারপর লেনদেন করবেন এছাড়া এই সব ভুয়া প্রতিষ্ঠান থেকে সবাইকে সর্তক থাকার অনুরোধ করেন। এখানে বিশেষভাবে
উল্লেখ্য যে, বিগত কয়েক বছর আগে ও বারহাট্টা উপজেলায় এসটিসি নামের একটি ব্যাংক বারহাট্টাবাসীর কাছ থেকে ঋণ ও লাভের লোভ দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে গেছে বলেও জানা যায়।

অনলাইন ডেস্কঃ 



















