ঢাকা , রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধ সামগ্রীসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক। মালামাল আত্মসাৎ করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার। সাগর পথে মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।   টেকনাফে শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বা মিজানের বসতঘর থেকে দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। আটপাড়ার শুনই ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অব্যবস্থাপনা: ৫০ ঘরের মধ্যে ৩৪টিই খালি আটপাড়াকে আদর্শ উপজেলা গড়তে দিন-রাত কাজ করছেন শাহনুর রহমান টেকনাফে সাগরে ধরা পরল জেলের জালে বিশাল আকারের ১৫ মণ ওজনের হাঙ্গর। আওয়ামী ভূমিদস্যু তাপসের হামলায় উপজেলা জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সদস্য সচিব রাফিউল আলম গুরুতর আহত” ভোলাহাটে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

বারহাট্টায় ইউএনওর গোদাম পরিদর্শনে বেড়িয়ে আসল থলের বিড়াল 

পলাশ পাল

বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি।

 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান গত ২৯ জুন বারহাট্টা সদর খাদ্য গোদাম পরিদর্শনে যান।জুন ক্লোজিং উপলক্ষে তিনি এই পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনে সদর খাদ্য গোদামে বেশি ধান মজুদ ও খালি বস্তা কমের তথ্য উঠে আসে। এ বিষয়ে খাদ্যগুদাম উপ-পরিদর্শক মোঃ হুমায়ূন কবীরকে ধান বেশি এবং খালি বস্তা কম কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। বারহাট্টা সদর খাদ্য গুদামে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম এর বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্যগুদামে সরকার নির্ধারিত ১৪৬.০৮ মে:টন ধান থাকার কথা থাকলেও আছে ১৫৫.৫২ মেট্রিক টন।৪২৯৬৭ খালি বস্তা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে আছে ৩৮৫০০ বস্তা। বারহাট্টা সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর অনিয়মের মাধ্যমে বেশি ধান গুদামজাত করে রাখেন এবং খালি বস্তার হিসাবেও গরমিল করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গোদাম পরিদর্শনের পরপরই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলায় তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারহট্টা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক বারহাট্টা খাদ্যগুদাম পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।ভুল করে ফেলেছেন এমন ভুল আর হবেনা বলে জানান তিনি।তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ না করারও অনুরোধ করেন তিনি।

বারহাট্টা উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান আমার বারহাট্টা সদর গোদামে ইউএনও মহোদয় পরিদর্শনে গিয়ে ধান বেশি এবং খালি বস্তা কম পেয়েছেন।আমরা আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষে অনিয়মের বিষয়টি জানিয়েছি।তারাই সদর গোদামের উপ পরিদর্শক মঃ হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ খবিরুল আহসান বলেন বারহাট্টা খাদ্য গুদামে বাৎসরিক পরিদর্শন কালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম পাওয়া যায়। রিপোর্টটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের এরকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধ সামগ্রীসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক।

বারহাট্টায় ইউএনওর গোদাম পরিদর্শনে বেড়িয়ে আসল থলের বিড়াল 

আপডেট টাইমঃ ১১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

পলাশ পাল

বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি।

 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান গত ২৯ জুন বারহাট্টা সদর খাদ্য গোদাম পরিদর্শনে যান।জুন ক্লোজিং উপলক্ষে তিনি এই পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনে সদর খাদ্য গোদামে বেশি ধান মজুদ ও খালি বস্তা কমের তথ্য উঠে আসে। এ বিষয়ে খাদ্যগুদাম উপ-পরিদর্শক মোঃ হুমায়ূন কবীরকে ধান বেশি এবং খালি বস্তা কম কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। বারহাট্টা সদর খাদ্য গুদামে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম এর বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্যগুদামে সরকার নির্ধারিত ১৪৬.০৮ মে:টন ধান থাকার কথা থাকলেও আছে ১৫৫.৫২ মেট্রিক টন।৪২৯৬৭ খালি বস্তা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে আছে ৩৮৫০০ বস্তা। বারহাট্টা সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর অনিয়মের মাধ্যমে বেশি ধান গুদামজাত করে রাখেন এবং খালি বস্তার হিসাবেও গরমিল করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গোদাম পরিদর্শনের পরপরই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলায় তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারহট্টা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক বারহাট্টা খাদ্যগুদাম পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।ভুল করে ফেলেছেন এমন ভুল আর হবেনা বলে জানান তিনি।তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ না করারও অনুরোধ করেন তিনি।

বারহাট্টা উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান আমার বারহাট্টা সদর গোদামে ইউএনও মহোদয় পরিদর্শনে গিয়ে ধান বেশি এবং খালি বস্তা কম পেয়েছেন।আমরা আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষে অনিয়মের বিষয়টি জানিয়েছি।তারাই সদর গোদামের উপ পরিদর্শক মঃ হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ খবিরুল আহসান বলেন বারহাট্টা খাদ্য গুদামে বাৎসরিক পরিদর্শন কালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম পাওয়া যায়। রিপোর্টটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের এরকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।