
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সেকান্দার আলীর ছেলে বহিরাগত এনামুল হকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, চাকরি দেওয়ার নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছে এনামুল হক।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এনামুল হক একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে এনামুল হক উল্টো তাদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে।
পার্বতীপুর উপজেলার তেরআনিয়া গ্রামের জনক চন্দ্র সরকারের স্ত্রী রূপসী রানী সরকারের কাছ থেকে চাকরির প্রলোভনে ৬ লাখ টাকা নেয় এনামুল হক। একইভাবে মৃত রশিদের ছেলে হামিদুল ইসলামের কাছ থেকে ১১ লাখ, খোকন বর্মনের ৫ লাখ, রুহুল আমিনের ৫ লাখ ৫০ হাজার, বকুল চন্দ্রের ৬ লাখ, শাহিনুর ইসলামের ৫ লাখ ৫০ হাজার, লক্ষী বর্মনের ৬ লাখ, নন্দিতা রানী রায়ের ১ লাখ, বুধু’র ৩ লাখ, চন্দন রায়ের ৪ লাখ ৭০ হাজার, জনি শর্মার ১ লাখ ৫০ হাজার এবং তপন রায়ের ৫৭ হাজার টাকাসহ মোট অর্ধকোটি টাকারও বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ রয়েছে, এনামুল হক ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করলেও কেউ চাকরিতে যোগ দিতে পারেনি। ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে এ প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে হত্যার হুমকি, মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখানো এবং শ্লীলতাহানির মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
গত ৬ অক্টোবর এক নারী ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করলে (জিডি নং ৬৬৩), পুলিশ ঐদিন রাতেই এনামুল হককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হক নিজেকে কখনো মানবাধিকার কর্মী, কখনো সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে সহজ-সরল মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ করা এনামুল হকের জন্য নতুন কিছু নয়; দেশের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আত্মগোপনে থেকেছে সে।
প্রতারিতদের দেওয়া অর্থ ফেরতের দাবিতে এবং এনামুল হককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে ভুক্তভোগীরা ১৯ অক্টোবর দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং পরে বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী হামিদুল ইসলাম। এসময় অন্যান্য ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসীর বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন ডেস্কঃ 

















