ঢাকা , রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধ সামগ্রীসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক। মালামাল আত্মসাৎ করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার। সাগর পথে মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।   টেকনাফে শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বা মিজানের বসতঘর থেকে দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। আটপাড়ার শুনই ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অব্যবস্থাপনা: ৫০ ঘরের মধ্যে ৩৪টিই খালি আটপাড়াকে আদর্শ উপজেলা গড়তে দিন-রাত কাজ করছেন শাহনুর রহমান টেকনাফে সাগরে ধরা পরল জেলের জালে বিশাল আকারের ১৫ মণ ওজনের হাঙ্গর। আওয়ামী ভূমিদস্যু তাপসের হামলায় উপজেলা জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সদস্য সচিব রাফিউল আলম গুরুতর আহত” ভোলাহাটে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ভোলাহাটে কোটি কোটি টাকার রেশম প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ! এ যেনো পুকুর নয় সমুদ্রচুরী!!

  • অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইমঃ ০৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১০৯ বার

এম. এস. আই শরীফ, প্রতিনিধি, 

বিশেষ প্রতিনিধি 

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় রেশম উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় কোটি কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় রেশমচাষীরা দাবি করছেন, বরাদ্দের টাকা প্রকৃত কাজে ব্যয় না হয়ে অপচয় ও ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার হয়েছে।

 

সূত্র মতে, বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে রেশমচাষীদের প্রশিক্ষণ, ডালাচনর্কী তৈরি, বাড়িতে রেশম চাষের ঘর নির্মাণ, তুঁতজমি তৈরি ও অন্যান্য কাজে খরচ দেখানো হয়। প্রেক্ষীতে, অল্প কিছু কাজ করে বাকিটা কাগজে-কলমে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের হাতে আসা ভিডিওচিত্র, রেকর্ডিং এবং ছবিতে দেখা যায়, বরাদ্দের বিপরীতে মাঠপর্যায়ে প্রকৃত কাজের অপ্রতুলতা।

 

রেশমচাষীরা জানান, “আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও বাস্তবে কিছুই পাইনি। টাকা কাগজে-কলমে খরচ দেখানো হলেও এর সঠিক ব্যবহার হয়নি।”

 

অভিযোগে জানা গেছে, রেশমচাষীদের (বসনী) একটি দুষ্কৃতিকারীচক্র ট্রেনিং করার নামে সরকারী বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করার লোভে নামে-বেনামে ট্রেনিং আর কর্তাদের তেল মালিশ করে মোটা ধরণের বরাদ্দের অর্থ লোপাট করেছে। এ যেনো মাদকের নেশারমত নেশায় পরিণত। এ যেনো পুকুর নয় সমুদ্রচুরী। রেশম উন্নয়ন বোর্ড ভোলাহাট জোন শাখার প্রধান কর্তা অফিসে নিয়মিত প্রায় না থাকায় কর্মী বনে যান কর্তা। প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় রেশম উন্নয়ন অফিসপাড়ায় অনিয়ম-দুর্নীতির আক্রা হয়ে উঠেছে। একে দেখার কেউই নেই।

 

এ প্রসঙ্গে রেশম উন্নয়ন বোর্ড ভোলাহাট জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালক (ডিডি) মোঃ তরিকুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আংশিকভাবে কিছু কাজ স্বীকার করেন। তবে অভিযোগের মূল বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি।

 

প্রকল্পের এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সচেতনমহল মনে করছেন, কোটি কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দের যথাযথ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

(চলবে)

 

ছবিক্যাপশনঃ রেশম উন্নয়ন বোর্ড ভোলাহাট জোন শাখার প্রধান গেইট। এর কর্তা সরকারী বরাদ্দের কোটি কোটি লোপাটের উপপরিচালক মোঃ তরিকুল ইসলামের ছবি।

 

এম. এম. আই শরীফ-০১৭১৩৭৪৮৫৭৭,

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধ সামগ্রীসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক।

ভোলাহাটে কোটি কোটি টাকার রেশম প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ! এ যেনো পুকুর নয় সমুদ্রচুরী!!

আপডেট টাইমঃ ০৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এম. এস. আই শরীফ, প্রতিনিধি, 

বিশেষ প্রতিনিধি 

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় রেশম উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় কোটি কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় রেশমচাষীরা দাবি করছেন, বরাদ্দের টাকা প্রকৃত কাজে ব্যয় না হয়ে অপচয় ও ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার হয়েছে।

 

সূত্র মতে, বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে রেশমচাষীদের প্রশিক্ষণ, ডালাচনর্কী তৈরি, বাড়িতে রেশম চাষের ঘর নির্মাণ, তুঁতজমি তৈরি ও অন্যান্য কাজে খরচ দেখানো হয়। প্রেক্ষীতে, অল্প কিছু কাজ করে বাকিটা কাগজে-কলমে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের হাতে আসা ভিডিওচিত্র, রেকর্ডিং এবং ছবিতে দেখা যায়, বরাদ্দের বিপরীতে মাঠপর্যায়ে প্রকৃত কাজের অপ্রতুলতা।

 

রেশমচাষীরা জানান, “আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও বাস্তবে কিছুই পাইনি। টাকা কাগজে-কলমে খরচ দেখানো হলেও এর সঠিক ব্যবহার হয়নি।”

 

অভিযোগে জানা গেছে, রেশমচাষীদের (বসনী) একটি দুষ্কৃতিকারীচক্র ট্রেনিং করার নামে সরকারী বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করার লোভে নামে-বেনামে ট্রেনিং আর কর্তাদের তেল মালিশ করে মোটা ধরণের বরাদ্দের অর্থ লোপাট করেছে। এ যেনো মাদকের নেশারমত নেশায় পরিণত। এ যেনো পুকুর নয় সমুদ্রচুরী। রেশম উন্নয়ন বোর্ড ভোলাহাট জোন শাখার প্রধান কর্তা অফিসে নিয়মিত প্রায় না থাকায় কর্মী বনে যান কর্তা। প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় রেশম উন্নয়ন অফিসপাড়ায় অনিয়ম-দুর্নীতির আক্রা হয়ে উঠেছে। একে দেখার কেউই নেই।

 

এ প্রসঙ্গে রেশম উন্নয়ন বোর্ড ভোলাহাট জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালক (ডিডি) মোঃ তরিকুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আংশিকভাবে কিছু কাজ স্বীকার করেন। তবে অভিযোগের মূল বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি।

 

প্রকল্পের এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সচেতনমহল মনে করছেন, কোটি কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দের যথাযথ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

(চলবে)

 

ছবিক্যাপশনঃ রেশম উন্নয়ন বোর্ড ভোলাহাট জোন শাখার প্রধান গেইট। এর কর্তা সরকারী বরাদ্দের কোটি কোটি লোপাটের উপপরিচালক মোঃ তরিকুল ইসলামের ছবি।

 

এম. এম. আই শরীফ-০১৭১৩৭৪৮৫৭৭,