
মদন প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের গত ২০২৪/২০২৫ অর্থবছরে ২১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে মাঘান চত্রম পুর মৌজায় চিনাইটুক গজারিয়া হাওরের ফসল রক্ষা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ কেটে মাছ ধরছে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী আওয়ামী যুবলীগের মাঘান ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জামাল পাশার নেতৃতে।
পানি নিচে নেমে যাওয়ায় বোরো ধানের আবাদ নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকার কৃষকেরা।
অভিাযোগে প্রকাশ করেন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের কাতলা গ্রামের একতার উদ্দিনের ছেলে আওয়ামী যুবলীগ নেতা জামাল পাশার ও আওয়ামী যুবলীগ নেতা মিষ্টু নেতৃত
আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ মিয়া ছেলে এনামুল (২৫), আওয়ামী লীগ নেতা কদম রসুলের ছেলে রফিক (২২), আওয়ামী লীগ নেতা সুন্দর আলীর ছেলে কারণ (৩৫)সহ ৯ থেকে ১০ জন ব্যক্তি মাছ ধরে নিজেরা লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে ২১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফসল রক্ষা সিনাইটু গজারিয়া হাওরের বেড়িবাঁধ কেটে পানি ছেড়ে মাছ ধরায় সব হাওরের টানের জমির পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
এতে বোরো ধান আবাদের সময় ওই জমিগুলো পানির অভাবে অনাবাদি থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা বিএনপি কার্যকারী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী দুলাল মিয়া(৫০), উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ অলিদুজ্জামান কে অবগত করে
মদন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ দেওয়ার করার পরও
এখনও চলমান বেড়িবাঁধ কেটে মাছ ধরা অব্যাহত রয়েছে।
ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি কার্যকারী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী দুলাল মিয়া বলেন, সরকার কৃষকদের দুরবস্থা দূরীকরণের লক্ষ্যে ২১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে
গজারিয়া সিনাইটুক হাওরে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী আওয়ামী যুবলীগ নেতা মিষ্টু জামাল পাশা
নিজেরা লাভবান হওয়ার আশায় বেড়িবাঁধ কেটে মাছ ধরার জন্য জেলেদের কাছে লক্ষাধিক টাকা পত্তন করে দেয়। জেলেরা তাদের ইচ্ছামাফিক মাছ ধরায় বাঁধটির কার্যকারিতা কেটে নষ্ট করেছে। এদিকে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে মাঘান ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক চেয়ারম্যান উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ফসল বাঁধ কেটে মাছ শিকার করছে বিষয়টা শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত প্রভাবশালী আওয়ামী যুবলীগ নেতা জামাল পাশা বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি এই জন্য আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ মিথ্যা মামলা দিয়েছে আমি কোন ফসল রক্ষা বাঁধ কাটিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ অলিদুজ্জামান জানান, মদনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে আছেন তাকে বলেছি পরিকল্পিতভাবে যে দুষ্কৃতিকারী ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ ধরছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ কেটে মাছ শিকার করছে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানিয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

অনলাইন ডেস্কঃ 



















