ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
৫৯ বিজিবি ভোলাহাট সীমান্তে হতে ১২ টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল আটক গোমস্তাপুরে চাঁপাই ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রী ৬০ তম রক্তের গ্রুপ নির্ণয় নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ নেত্রকোনায় মাদকবিরোধী মানববন্ধন আটপাড়ায় বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার, ভারতীয় নাগরিকের লাশ বাংলাদেশীর আত্মীয়-স্বজনকে দেখাতে সহযোগিতা করল বিজিবি – বিএসএফ স্বৈরাচার তাড়ানো তরুণরাই দেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: জামায়াত আমির সেন্টমার্টিন ছেড়া দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে ১টি ট্রলিং বোট ও থাই জালসহ ১৯ জন গ্রেফতার। সৌদি আরব অবৈধ প্রবাসীদের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করতে যাচ্ছে জাওয়াজাত।  প্রেমের টানে সিলেট থেকে আটপাড়ায় প্রেমিকা, নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো বিয়ে

লক্ষীছড়িতে আবারও অবৈধ কাঠ উদ্ধার: ইউপিডিএফের অর্থের উৎসে সেনাবাহিনীর হানা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়িমুখ সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ফের অবৈধ কাঠ পাচারের ঘটনা উদঘাটন করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার (১ নভেম্বর ২০২৫) সকালে গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন লক্ষীছড়ি জোনের খিরাম সেনা ক্যাম্পের একটি টহল দল বকছড়িপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযানে প্রায় ২০০ ঘনফুট অবৈধ কাঠ জব্দ করে। জব্দকৃত কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।

 

এর মাত্র কয়েকদিন আগেই একই এলাকার দেওয়ানপাড়া অংশ থেকে প্রায় ৪,০০০ ঘনফুট কাঠ উদ্ধার করেছিল লক্ষীছড়ি জোন। ধারাবাহিকভাবে একই এলাকায় বারবার কাঠ পাচারের ঘটনা ধরা পড়ায় বিষয়টি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এখন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

 

প্রতিবারের মতো এবারও সেনা টহলের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধারকৃত কাঠ বন বিভাগের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

 

নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্মাছড়িমুখ এলাকা দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফের অবৈধ চাঁদাবাজি ও কাঠ পাচার চক্রের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর টহল ও নজরদারি জোরদার করায় পাচারকারীদের আর্থিক নেটওয়ার্ক ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ইউপিডিএফ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে জনমত তৈরির চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

 

নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়,

“পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী তৎপরতা, অবৈধ অর্থের প্রবাহ এবং পরিবেশ ধ্বংসকারী কাঠ পাচার নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। জনগণের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

 

উল্লেখ্য, বর্মাছড়িমুখ এলাকায় ইউপিডিএফ-সংযুক্ত সশস্ত্র ও অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কের তৎপরতা রুখে দিতে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান স্থানীয় জনগণের আস্থা বাড়িয়েছে এবং কাঠ পাচার চক্রের অর্থনৈতিক উৎসে বড় ধাক্কা দিয়েছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

৫৯ বিজিবি ভোলাহাট সীমান্তে হতে ১২ টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল আটক

লক্ষীছড়িতে আবারও অবৈধ কাঠ উদ্ধার: ইউপিডিএফের অর্থের উৎসে সেনাবাহিনীর হানা

আপডেট টাইমঃ ১০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়িমুখ সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ফের অবৈধ কাঠ পাচারের ঘটনা উদঘাটন করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার (১ নভেম্বর ২০২৫) সকালে গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন লক্ষীছড়ি জোনের খিরাম সেনা ক্যাম্পের একটি টহল দল বকছড়িপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযানে প্রায় ২০০ ঘনফুট অবৈধ কাঠ জব্দ করে। জব্দকৃত কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।

 

এর মাত্র কয়েকদিন আগেই একই এলাকার দেওয়ানপাড়া অংশ থেকে প্রায় ৪,০০০ ঘনফুট কাঠ উদ্ধার করেছিল লক্ষীছড়ি জোন। ধারাবাহিকভাবে একই এলাকায় বারবার কাঠ পাচারের ঘটনা ধরা পড়ায় বিষয়টি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এখন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

 

প্রতিবারের মতো এবারও সেনা টহলের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধারকৃত কাঠ বন বিভাগের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

 

নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্মাছড়িমুখ এলাকা দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফের অবৈধ চাঁদাবাজি ও কাঠ পাচার চক্রের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর টহল ও নজরদারি জোরদার করায় পাচারকারীদের আর্থিক নেটওয়ার্ক ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ইউপিডিএফ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে জনমত তৈরির চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

 

নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়,

“পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী তৎপরতা, অবৈধ অর্থের প্রবাহ এবং পরিবেশ ধ্বংসকারী কাঠ পাচার নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। জনগণের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

 

উল্লেখ্য, বর্মাছড়িমুখ এলাকায় ইউপিডিএফ-সংযুক্ত সশস্ত্র ও অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কের তৎপরতা রুখে দিতে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান স্থানীয় জনগণের আস্থা বাড়িয়েছে এবং কাঠ পাচার চক্রের অর্থনৈতিক উৎসে বড় ধাক্কা দিয়েছে।