
আটপাড়া প্রতিনিধিঃ
সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক স্বাধীন কাগজ এর নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি তানজিলা আক্তার রুবি ও অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক মনির হোসেন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে
আটপাড়া থানায় জিডি করেন নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী।যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রকাশ করেন ।
এ ঘটনায় গতমাসের রবিবার (২৪ আগস্ট) আটপাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নং-১০২৮।
জিডিতে উল্লেখ করে অভিযোগ করেন, গত ইং ১৭ আগস্টের দুপুর অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় আটপাড়া থানাধীন বানিয়াজান সাকিনস্থ তার নিজ বাসায় অবস্থানকালে সারোয়ার জাহান ফরিদ, (নেত্রকোণা জেলার ইলেকট্রিয়াশানদের সদস্য) উনার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আটপাড়া এলাকার ইলেকট্রিশিয়ানদের ছবি সংবলিত ব্যানার সহ নামের তালিকা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভিতরে টানানোর প্রস্তাবসহ উনাকে উদ্বোধন করে দিতে বলেন। তৎপ্রেক্ষিতে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেই যে, স্ব-শরিরে নিজে উপস্থিত থেকে ব্যানার টানাতে পারবেন না। তবে তাদেরকে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী নিজ দায়িত্বে কাজ করার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে তারা আটপাড়া থানার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম সাহেবের সাথে উক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে এজিএম সাহেবও সভাপতির মতামতের সাথে একমত পোষণ করে তাদেরকে পরামর্শ প্রদান করেন। উক্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে উনাকে মানহানিকর বিব্রত অবস্থায় ফেলার জন্য ০২ নং বিবাদী গত ইং ২০/০৮/২০২৫ তারিখ দৈনিক নেত্রপ্রকাশ পত্রিকায় এবং ০১নং বিবাদী গত ইং ২১/০৮/২০২৫ তারিখ স্বাধীন নেত্রপ্রকাশ পত্রিকায় মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে। উক্ত বিষয় নিয়ে গত ইং ২১/০৮/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় আটপাড়া থানাধীন কিছু গন্যমান্য লোকজনের মাধ্যমে বিবাদীদ্বয়ের সাথে যোগাযোগ করলে বিবাদীদ্বয় উনাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি সহ হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে এবং তার যে কোন ক্ষতি করবে মর্মে জানায়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে উক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। উনি এবং তার পরিবারের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করেছেন। উপরোক্ত বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়রীভূক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন মনে করেছেন নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী।
অভিযুক্ত সংবাদকর্মীরা জানান, গত ১৭ আগস্ট আটপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে (আর ই বি) অনুমোদিত ইলেকট্রিশিয়ানদের ব্যানার টানাতে বাঁধা বা অসংগতি প্রকাশ করলে কাইয়ুম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে সংবাদকর্মীকে জানান এবং অভিযোগ করেন সাৎক্ষাকার দেয়। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য নিয়ে সংবাদ পাঠান সংবাদকর্মীরা। একে একে কয়েকটি পত্রিকায় অনলাইনে নিউজটি প্রকাশ পায়।
সংবাদকর্মী তানজিলা আক্তার রুবি জানান, নিউজ প্রকাশের পরে তার নাম্বারে আটপাড়া সংবাদকর্মী একজন ও জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সম্ভবত সদস্য (পূর্বধলার) এই দু’জন ফোন দেওয়া ছাড়া কেউ যোগাযোগ করেনি বা কিছু বলেনি।তাদের সাথে এমন কোন আচরণ করা হয়নি যে একজন আইনগত বা অনিরাপদ বোধ করবে যা হাস্যকর ।আবেদনকারী কাইয়ুম চৌধুরীর সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না ও চিনি না। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেছেন যে উনার পরিবারসহ উনাকে হুমকি ধামকি দেওয়ায় হয়েছে তাই তিনি সহ পরিবার অনিরাপদ বোধ করছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারো কাছে হুমকির কথাও বলেনি বা এ নিয়ে আটপাড়ার কেউ আমার কাছে আসেনি। কেননা তাকে উনিও পরবর্তীতে ফোন দেয়নি যে হুমকি দিবেন প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া ওনার পরিবারের সাথে কোন সম্পর্ক নেই বা চিনি না যে পরিবারকে ও হুমকি দেওয়া হয়েছে।তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করার
জন্য এর শাস্তি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মিথ্যাও ভিত্তিহীন জিডির অভিযুক্তের শিকার হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সকলের বত্তব্য নিয়ে নিউজ করার পরেও শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত নয়, বরং গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত।
নেত্রকোণা জেলার অন্য সংবাদকর্মীরা বলেন, ‘‘প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে সে বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ করার সুযোগ আছে। সে সুযোগ কাজে না লাগিয়ে ভুল ও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে ডিজি করেন। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জের ও তদন্তদায়িত্বরত এসআই’র নিকট অনুরোধ জানান।
আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘‘হুমকির ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনলাইন ডেস্কঃ 



















