
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ১ নং মেন্দিপুর ইউনিয়নের বোয়ালী গ্রামের সামনে ফসলের মাঠে অনুমোদন ছাড়াই চলছে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন।
খালিয়াজুরী বোয়ালি গ্রামে হরদম চলছে অবৈধভাবে মাটিবিক্রি। উর্বর ফসলি জমি, টিলা এমনকি সরকারি খাস সম্পত্তিও মাটিখেকোদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
অনুমোদনহীন ছাড়াই খালিয়াজুরী উপজেলার সর্বত্র চলছে অবৈধ মাটি কাটার কার্যক্রম।অবৈধ ভেকু ব্যবসায়ী প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার মাটি বিক্রি করছে।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের বোয়ালী গ্রামের ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাটি কেটে অবৈধভাবে বিক্রি করছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ী বোয়ালী গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে মিস্টার নামে এক যুবক।
ফসলী জমি এবং সরকারি খাস জমি থেকেও ভেকু দিয়ে মাটি উঠিয়ে বিভিন্ন স্থানে লড়ী ট্রাকযোগে মাটি বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি।
বোয়ালী গ্রামের সামনের হাওরের জমির মাটির টিলা কেটে লড়ি গাড়ি দিয়ে বোয়লী গ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় মাটি কেটে ফুট এবং হাজার হিসেবে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে ফসলি জমির উর্বরতা হারাচ্ছে এবং রাস্তাঘাট ধ্বংস হচ্ছে।
প্রতিনিয়ত লড়ি গাড়ি দিয়ে মাটি বিক্রি করার কারণে মাটির রাস্তাগুলো ভেঙ্গে নষ্ট করছে। ধুলাবালি উড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এমনকি শিশুসহ মানুষের অসুখ-বিসুখ ও হচ্ছে।
ভেকু ব্যবসায়ী বোয়ালী গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে মিস্টার (৩০) এর কাছে জানতে চাইলে অনুমোদন ছাড়া কি করে ফসলি তিন থেকে চার ফুট গভীর করে মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করছেন এবং খাস জমি থেকে মাটি বিক্রি করছেন এবিষয়ে
বলে ভেকু দিয়ে মাটি কাটে বিক্রি করলে আবার অনুমোদন নিতে হবে নাকি। কার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে তারা বলেন, আমার কাছে আসতে।
এ বিষয়ে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাদীর হোসেন শামীম বলেন, ভেকু ব্যবসায়ীকে সরেজমিনে গিয়ে নিষেধ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত মাটি কাটা বন্ধ থাকবে।
জেলা অফিস থেকে অনুমোদন নিয়ে এসে মাটি কাটার জন্য তাকে বলা হয়েছে।
আগামী বুধবারে উপজেলা পরিষদের স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে তাকে।
অবৈধভাবে মাটি কাটা কার্যক্রমের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনলাইন ডেস্কঃ 


















