
আশরাফ ইলিয়াস কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
কেন্দুয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সদস্য সচিব রাফিউল আলমের উপর ভূমিদস্যু ও আওয়ামী ক্যাডার তাপসের হামলার ঘটনা ঘটেছে আজ। এতে রাফিউল আলমের বামহাতের দুটো আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় ও সারাশরীরে জখম হয়।
আজ সকাল দশটার দিকে রাফিউল আলমের নিজ গ্রাম কেন্দুয়া উপজেলার ১০ নং কান্দিউড়া ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের ঘটনাটি ঘটে।
রাফিউল আলমের দাদার আমলের প্রাপ্ত চার চাচার সম্পত্তি তাপসের কাছে বিক্রয়ের আলোচনা হয়। এর মিডিয়া হিসেবে ছিলেন রাফিউল আলম। প্রায় চারকাটা জমি একই গ্রামের বাসিন্দা তাপস এর নিকট ৮ লাখ টাকা বিক্রয় আলোচনা হয়। এরপর জমি দলিল করার জন্য তাপসের নিকট জমির অরিজিনাল দলিল ও খারিজনামা হস্তান্তর করিলেও সে কোন প্রকার টাকা বায়না হিসেবেও দেয়নি। উল্টো দলিলের জন্য চাপ দিলে চার বাপ চাচার মিডিয়া হিসেবে রাফিউল আলম তাকে টাকা রেডি করে আসার জন্য বলে এবং বলে যে আগামী সোমবারে দলিল হবে । টাকার কথা বলতেই তাপস ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং রাফিউল এর উপর আক্রমণ করে। এতে করে রাফিল আলমের বাম হাতে দুই আঙ্গুল সহ সারা শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় আশেপাশের লোকজন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে এবং তাকে উদ্ধার করে। এরপর তাপস তাকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং বলে একটাকাও দেবো না আমাকে আগামী সোমবার আমাকে দলিল করে না দিলে তোকে এই পৃথিবীতে কে সরিয়ে দেব ।
উল্লেখ্য, তাপস বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বিভিন্ন ধরনের ভূমিদস্যতা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজি সঙ্গে জড়িত ছিল। ৫ ই আগস্টের পূর্বে সে প্রকাশ্যে রামদা হাতে মিছিল করে এবং বিএনপি সাধারন নেতা কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। তার বিরুদ্ধে অতীতে একটি কিশোরী মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে তারপর তাকে পরিত্যাগ করার অভিযোগ আছে।
আহত রাফিউল আলম কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর থানায় তাপস কে এবং অজ্ঞাতনামা তিন চার জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি মহোদয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টা দেখছেন বলে জানান।

অনলাইন ডেস্কঃ 


















