ঢাকা , রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধ সামগ্রীসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক। মালামাল আত্মসাৎ করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার। সাগর পথে মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।   টেকনাফে শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বা মিজানের বসতঘর থেকে দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। আটপাড়ার শুনই ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অব্যবস্থাপনা: ৫০ ঘরের মধ্যে ৩৪টিই খালি আটপাড়াকে আদর্শ উপজেলা গড়তে দিন-রাত কাজ করছেন শাহনুর রহমান টেকনাফে সাগরে ধরা পরল জেলের জালে বিশাল আকারের ১৫ মণ ওজনের হাঙ্গর। আওয়ামী ভূমিদস্যু তাপসের হামলায় উপজেলা জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সদস্য সচিব রাফিউল আলম গুরুতর আহত” ভোলাহাটে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার।

মেহেদী হাসান আরফাত 

টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি

 

দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক একটি সফল অভিযান সম্পন্ন করেছে। আজ ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ টেকনাফ উপজেলায় বহমান নাফ নদী সংলগ্ন নতুন সুইচ গেইটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে। এই সফল অভিযান সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করার বিজিবি’র দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ফসল।

 

অদ্য ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ প্রথম প্রহরে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মায়ানমারের মংডু এলাকা হতে ইয়াবার একটি বড় চালান নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে প্রায় ৫০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকের নতুন সুইচ গেট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এ প্রেক্ষিতে ২ বিজিবি অধিনায়কের নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোর আনুমানিক ০৫০০ ঘটিকায় বেড়িবাঁধ ও তৎসংলগ্ন কেওড়া বাগানে অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে মাদক কারবারিদের সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে। মাদককারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে নিশ্চিত গ্রেফতার এড়াতে দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন নদীর তীরের কেওড়া জঙ্গলে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালিয়ে কাদা-মাটির নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো মোট ৫০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত মাদক কারবারিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

 

এ বিষয়ে, অধিনায়ক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি বলেন, সীমান্তাঞ্চলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিজিবি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। যা, স্থানীয় জনমনে গভীর আস্থা ও ইতিবাচক মনোভাবের সঞ্চার ঘটিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় মানব ও মাদক পাচারসহ সকল প্রকার আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি’র এই বলিষ্ঠ ও কার্যকর ভূমিকা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

 

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য আইনগত প্রক্রিয়া শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধ সামগ্রীসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক।

নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার।

আপডেট টাইমঃ ০৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

মেহেদী হাসান আরফাত 

টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি

 

দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক একটি সফল অভিযান সম্পন্ন করেছে। আজ ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ টেকনাফ উপজেলায় বহমান নাফ নদী সংলগ্ন নতুন সুইচ গেইটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে। এই সফল অভিযান সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করার বিজিবি’র দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ফসল।

 

অদ্য ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ প্রথম প্রহরে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মায়ানমারের মংডু এলাকা হতে ইয়াবার একটি বড় চালান নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে প্রায় ৫০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকের নতুন সুইচ গেট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এ প্রেক্ষিতে ২ বিজিবি অধিনায়কের নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোর আনুমানিক ০৫০০ ঘটিকায় বেড়িবাঁধ ও তৎসংলগ্ন কেওড়া বাগানে অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে মাদক কারবারিদের সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে। মাদককারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে নিশ্চিত গ্রেফতার এড়াতে দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন নদীর তীরের কেওড়া জঙ্গলে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালিয়ে কাদা-মাটির নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো মোট ৫০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত মাদক কারবারিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

 

এ বিষয়ে, অধিনায়ক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি বলেন, সীমান্তাঞ্চলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিজিবি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। যা, স্থানীয় জনমনে গভীর আস্থা ও ইতিবাচক মনোভাবের সঞ্চার ঘটিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় মানব ও মাদক পাচারসহ সকল প্রকার আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি’র এই বলিষ্ঠ ও কার্যকর ভূমিকা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

 

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য আইনগত প্রক্রিয়া শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।