
তৌফিকুর রহমান তাহের প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ;
সুনামগঞ্জ-১ ও সুনামগঞ্জ-২দিরাই-শাল্লা আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ও আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
প্রথমে সুনামগঞ্জ-১ আসনে (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর) বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে গত ৩ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুল হকের নাম ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণার পর থেকেই তিনি নিয়মিত নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে প্রথম পর্যায়ে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন দেয় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাছির উদ্দীন চৌধুরীকে। বয়োজ্যেষ্ঠ এই রাজনীতিবিদ দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ২০ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত আরেকটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই চিঠিতে সুনামগঞ্জ-২ আসনের জন্য জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেলের নাম উল্লেখ থাকায় শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জিকে গৌছ বলেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে দলের দুইজন নেতাকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের সময় একজন প্রার্থী প্রত্যাহার করবেন।”
এর মধ্যেই একই দিন রাত নয়টার দিকে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জন্য বিএনপি মহাসচিবের ২৭ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত আরেকটি চিঠি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলকে দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, রাত আটটার দিকে দলীয় কার্যালয়ের দপ্তর থেকে আমাকে চিঠি সংগ্রহের জন্য ফোন করা হয়। আমি তখন নির্বাচনী এলাকায় থাকায় ঢাকায় থাকা আমার এক আত্মীয় চিঠিটি গ্রহণ করেন। ইনশাআল্লাহ আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করবো।
তবে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এই চিঠির বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি করে জিকে গৌছ বলেন, এই বিষয়ে কামরুলের কাছ থেকেই জেনে নিতে পারেন।
একাধিক মনোনয়ন চিঠি ভাইরাল হওয়ায় সুনামগঞ্জের দুই আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্তকরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনী মাঠে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

অনলাইন ডেস্কঃ 


















