
মেহেদী হাসান আরফাত
টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মানব পাচারের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানব পাচার করবে। উক্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন রাজারছড়া এলাকায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ আনুমানিক রাত ০১১৫ ঘটিকায় একটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। অধিনায়ক এর পরিকল্পনা মাফিক, ২ বিজিবি’র কয়েকটি চৌকশ দল ইউনিট সদর হতে প্রায় ০৮ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ এর রাজারছড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের পাশ্ববর্তী এলাকার ঝোপঝারে কৌশলগত অবস্থান নেয়। এসময় সাগর পথে মালায়েশিয়া গমনের উদ্দেশ্যে ভূক্তভোগীদের নৌকায় তুলে পাচারের প্রাক্কালে বিজিবি টহল দল আকস্মিকভাবে নৌকাটি চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা নিশ্চিত গ্রেফতার এড়াতে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সাঁতরে পাশ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ট্রলারটিতে তল্লাশী চালিয়ে মোট ১৮ জন ভুক্তভোগীকে (পুরুষ-০৭, মাহিলা-০৪ ও শিশু-০৭) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায় যে, কর্মসংস্থান, ভালো বেতন, উন্নত ভবিষ্যৎ এবং অর্থের প্রলোভনের ফাঁদে আটকে চক্রটি তাদেরকে সাগরপথে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ২ বিজিবির অভিযানে প্রতারিত মানুষগুলোর এই বিপজ্জনক ও অনিশ্চিত সমুদ্রযাত্রা নস্যাৎ হয়। এছাড়াও টেকনাফ মডেল থানা কর্তৃক ০১ জন হত্যা মামলার আসামী সীমান্ত অতিক্রম করে দেশের বাহিরে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অধিনায়ক, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) বরাবর পত্র প্রেরণ করে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ভূক্তভোগীদের নাম ও ঠিকানা যাচাই-বাছাই এর প্রাক্কালে মোঃ তারেক (২০) এর নাম দৃষ্টিগোচর হয়। এসময় টেকনাফ মডেল থাকা কর্তৃক প্রেরিত নাম ও ঠিকানার সাথে উদ্ধারকৃত ভূক্তভোগীর নাম ও ঠিকানার মিল পাওয়ায় বিজিবি কর্তৃক অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ব্যক্তি হত্যা মামলার আসামী বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
ধৃত হত্যা মামলার আসামীর বিস্তারিত নিম্নরুপ
মোঃ তারেক(২০), পিতা-আলী আহমদ, মাতা-আনোয়ারা বেগম, ঠিকানাঃ সাং-ঘোনারপাড়া, লম্বাবিল, ০৩ নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা জানায়, অপরাধীদের কয়েকজন দোসর তাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন প্রদর্শন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ বেতনের চাকরি, সুবিধাজনক কর্মসংস্থান, দ্রুত ধনী হওয়ার স্বপ্ন, অল্প খরচে বিদেশ যাত্রা এবং ভিসাসহ বিমানে গমন ও পরবর্তীতে চাকুরির বেতনে বকেয়া পরিশোধের সুযোগ ইত্যাদি। এ ধরনের লোভনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভুক্তভোগীদেরকে প্রতারণার জালে ফেলে মাথাপিছু অর্থের বিনিময়ে পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও এই চক্রটির সাথে জড়িত মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত মানবপাচার চক্রের প্রতিনিধি রয়েছে। ফলে চক্রটি মানব পাচারের মত জঘন্য অপরাধ সংঘঠিত করে চলছে।
সফল অভিযানটি মাদক ও অপরাধীদের জন্য টেকনাফ সীমান্তের পাহাড় থ
উদ্ধারকৃত ভুক্তভোগীদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

অনলাইন ডেস্কঃ 


















