ঢাকা , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধ সামগ্রীসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক। মালামাল আত্মসাৎ করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার। সাগর পথে মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।   টেকনাফে শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বা মিজানের বসতঘর থেকে দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। আটপাড়ার শুনই ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অব্যবস্থাপনা: ৫০ ঘরের মধ্যে ৩৪টিই খালি আটপাড়াকে আদর্শ উপজেলা গড়তে দিন-রাত কাজ করছেন শাহনুর রহমান টেকনাফে সাগরে ধরা পরল জেলের জালে বিশাল আকারের ১৫ মণ ওজনের হাঙ্গর। আওয়ামী ভূমিদস্যু তাপসের হামলায় উপজেলা জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সদস্য সচিব রাফিউল আলম গুরুতর আহত” ভোলাহাটে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

চট্টগ্রাম রিজিয়নের সীমান্তে বিজিবির সফল অভিযান: ১৯ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

আরিফুল ইসলাম মহিন , খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

 

চট্টগ্রাম রিজিয়ন এলাকার ৫৪০ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা, চোরাচালান দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে। রিজিয়নের অধীন ১৩টি ব্যাটালিয়ন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম সীমান্ত এলাকায় দিনরাত অভিযান, নজরদারি ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে বিভিন্ন অভিযানে বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিয়ন মোট ২৭ জন চোরাকারবারিকে আটক করেছে এবং ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার অবৈধ চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) খাগড়াছড়ির যামিনী পাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন।

 

তিনি জানান, বিজিবির চলমান অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে—

৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৫ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার বোতল বিদেশি মদ, ৩৩০ কেজি গাঁজা, ৮৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৪৪৫টি গরু, মহিষ ও ছাগল।

এছাড়া মোবাইল ফোন, বিদেশি সিগারেট, কাপড় ও আতশবাজিও জব্দ করা হয়েছে।

 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন বলেন, “সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধে বিজিবির সদস্যরা সর্বদা তৎপর রয়েছে।”

 

তিনি আরও বলেন, “চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা শুধু নিরাপত্তার বিষয় নয়; এটি জাতীয় স্বার্থের অংশ। তাই স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সম্প্রীতি রক্ষায়ও কাজ করছি।”

 

বিজিবির তথ্যানুযায়ী, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চট্টগ্রাম রিজিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় একাধিক সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন বলেন, “আমরা সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও কাজ করছি। বিজিবির এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধ সামগ্রীসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক।

চট্টগ্রাম রিজিয়নের সীমান্তে বিজিবির সফল অভিযান: ১৯ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

আপডেট টাইমঃ ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

আরিফুল ইসলাম মহিন , খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

 

চট্টগ্রাম রিজিয়ন এলাকার ৫৪০ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা, চোরাচালান দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে। রিজিয়নের অধীন ১৩টি ব্যাটালিয়ন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম সীমান্ত এলাকায় দিনরাত অভিযান, নজরদারি ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে বিভিন্ন অভিযানে বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিয়ন মোট ২৭ জন চোরাকারবারিকে আটক করেছে এবং ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার অবৈধ চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) খাগড়াছড়ির যামিনী পাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন।

 

তিনি জানান, বিজিবির চলমান অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে—

৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৫ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার বোতল বিদেশি মদ, ৩৩০ কেজি গাঁজা, ৮৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৪৪৫টি গরু, মহিষ ও ছাগল।

এছাড়া মোবাইল ফোন, বিদেশি সিগারেট, কাপড় ও আতশবাজিও জব্দ করা হয়েছে।

 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন বলেন, “সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধে বিজিবির সদস্যরা সর্বদা তৎপর রয়েছে।”

 

তিনি আরও বলেন, “চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা শুধু নিরাপত্তার বিষয় নয়; এটি জাতীয় স্বার্থের অংশ। তাই স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সম্প্রীতি রক্ষায়ও কাজ করছি।”

 

বিজিবির তথ্যানুযায়ী, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চট্টগ্রাম রিজিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় একাধিক সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন বলেন, “আমরা সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও কাজ করছি। বিজিবির এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।”