মদন প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মদনে তালাকপ্রাপ্ত ভুক্তভোগী এক নারীর লিখিত অভিযোগ ছেলেকে দেখতে বাড়িতে এসে রাতভর জোরপূর্ব ধর্ষণ করেন সাবেক স্বামী নোয়াব আলী।
ভুক্তভোগী এক সন্তানের জননী রনি আক্তার বাদী হয়ে মদন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাবেক স্বামী নোয়াব আলীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত নোয়াব আলী( ৬০) পেশায় ব্যবসায়ী ইটভাটার মালিক ,সে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলাধীন চল্লিশ কাপুনিয়া গ্রামের মৃত ইয়াসিন শেখের ছেলে ।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী নারীর সূত্রে জানা যায়, নোয়াব আলীর ছেলে রনক মিয়া কে (৮)গত ১৩ সেপ্টেম্বর মদন উপজেলা বাঁশরী উত্তরপাড়া গ্রামে ছেলেকে দেখতে আসেন ব্যবসায়ী ইটভাটার মালিক নোয়াব আলী মিয়া।
পরে বৃষ্টির কারণে নোয়াব আলী মিয়া রাতে যেতে পারেন নাই। কৌশলে নোয়াব আলী মিয়া তার সাবেক স্ত্রী রনি আক্তারের ঘরে ঢুকে বিছানায় জাবরিয়ে ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রনি আক্তার জানান, গত ২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাসে তার সাথে রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই আমরা দুজন।
পাঁচ বছর ঘর সংসার করার পর আমাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়।
২০১৭ সালে নোয়াব আলী মিয়ার বাড়িতে আমাকে সারারাত নির্যাতন করার পর জোরপূর্বক ভাবে তালাকনামায় সই করায়।
পরে লোক মারফতের মাধ্যমে ছেলে রনক কে নিয়ে চলে আসি আমার বাবার বাড়িতে।
কিছুদিন পর পর তার ওরসজাত ছেলে রনক কে দেখতে আসেন আমাদের বাড়িতে।
ছেলে দেখে চলে যায়, সেইদিন আর রাতে যেতে না, পেরে আমাকে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে, রাতের লোক লজ্জার ভয়ে ডাক চিৎকার করিনি।
পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হই।
সে আমার মত অসহায় আরও ৮টা মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। তার সম্পদ আছে, এ সম্পদ দেখিয়ে মেয়েদেরকে কলে বলে কৌশলে ভুলিয়ে বিবাহ করে, পরে কিছুদিন পর মারধর নির্যাতন করে তালাক দিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ইট ভাটার মালিক নোয়াব আলী মিয়া বলেন, আমার ছেলে রনক কে দেখতে যাই প্রতি মাসে তাকে, ১০ হাজার করে টাকা দিয়ে আসি।
সে আমার সাবেক স্ত্রী আমি তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করিনি।
এ ঘটনায় মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক - মোঃ মনির হোসেন