নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের সোনাজুর গ্রামে বাড়ি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শাজাহান(৫৫) ও নূর নবী (৩০) আসমা আক্তার (৩৫) ও ঝুমা আক্তার (২০)নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত শাজাহান ও নূর নবীকে স্বজনেরা উদ্ধার করে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর নবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
রোজ শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে সোনাজুর গ্রামে বাড়ির সীমানার নির্ধারণ নিয়ে দু,পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে ।
গুরুতর আহতরা হলেন, নূর নবী সোনাজুর গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে ও আহত শাজাহান মিয়া মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে, নূর নবীর স্ত্রী ঝুমা আক্তার (২০) আঞ্জু মিয়ার স্ত্রী আসমা আক্তার (৩৫) ।
এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে একই গ্রামের মৃত হীরা মিয়ার ছেলে রফিকুল ও শফিকুল এবং তারই ভাগ্নে আনোয়ার।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার ছেলে রফিকুল ( ৩৫)ও শবিকুল(৪০) বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে শাহজান ও তার ছেলে নূর নবীকে প্রাণনাশ হুমকি দিয়ে আসছে অনেক দিন ধরে।
শাহজান ও তার ছেলে নূর নবীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার কারণে আটপাড়া থানায় রবিকুল ও শফিকুলের নামে পূর্বে থানায় জিডি করা রয়েছে।
সকাল ৯ টার দিকে বাড়ি সামনে ঘর করাকে কেন্দ্র করে শাহজাহানকে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও তার ছেলে নূর নবীকে, এতে গুরুতর আহত হয় নূর নবী ও শাজাহান মিয়া।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রবিকুল শফিকুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মুঠোফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।
আহত শাহজান মিয়া জানান, অনেকদিন ধরে বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করা কথা বলা হচ্ছে তাদেরকে, তারা বাড়ির সীমানা নির্ধারণ না করায়, আমার জায়গার মধ্যে তারা ঘর করতে ছিল, আমি নিষেধ করায়, তারা দুই ভাই মিলে রামদা, বল্লম নিয়ে আমার পরিবারের উপর আক্রমণোত্ব মনোভাব নিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক - মোঃ মনির হোসেন