জলমহল নীতিমালা আইন লঙ্ঘন করে, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে, উপজেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে, কিছু অসাধু ব্যাক্তি নিজেরাই দিচ্ছে সরকারি জলমহল অবৈধভাবে দখলে নিয়ে নিজেদের মত করে ইজারা।
নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন ইউনিয়নের বারবুড়ি আল হেলালিয়া সরকারি একটি খাল ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
গত ১১ নভেম্বর সরেজমিনে গেলে , স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বারবুড়ি গ্রামের মুসলিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম, গ্রামের কয়েকজন লোকের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক বছরের জন্য সরকারি ৬.৮ কিলোমিটার জলমহল আল হেলালিয়া খালটি ইজারা নিয়েছে মাছ ধরার জন্য, জানায়নি মদন ভূমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনকে।
উক্ত জলমহল মেশিন দিয়ে পানি সেচে মাছ ধরার প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।
প্রতিবছর বারবুড়ি গ্রামের পিছনে সরকারি ৬.৮০০ কিলোমিটার আল হেলালিয়া খালটি কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে অল্প টাকায়, মসজিদের নাম করে ইজারা নেয়, উপজেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে।
পরবর্তীতে তারা লোকজনকে নিয়ে দরবার বসিয়ে খোলা মাঠে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করে তারা মৎস্যজীবীদের কাছে ৯ নয় লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকায়।
এলাকার কিছু হতদরিদ্র জেলে পরিবার জানায়, উক্ত জলমহল থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে দিন উপার্জন করে সংসার চালাতাম, তা এখন আর মাছ ধরতে দেয় না, মসজিদের নাম ভাঙ্গিয়ে ঢাকের মাধ্যমে নিয়ে নেয় এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি।
২০২০/২১ অর্থবছরের বাংলাদেশ সরকারের (বাপাউবো) পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে, ময়মনসিংহের এম রহমান নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, অত্র আল হেলালিয়া খালের খনন কাজ করে।
খনন কাজ সম্পন্ন করায় প্রচুর পরিমাণ মাছ এসে জমা হয় উক্ত জলমহলটিতে। এলাকার লোকদেরকে মাছ ধরতে না দিয়ে, কয়েকজন প্রভাবশালী তারা নিজেরাই মসজিদে নামে ইজারা দেওয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেরাই এ বাণিজ্য করে নিচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন এখনো নিচ্ছে না কোন উদ্যোগ এ ব্যাপারে।
উক্ত খাল খনন করায়, এই জলমহল থেকে সরকারের অধিক মুনাফা রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু তা না? প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে, কিছু অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ দখলে নিয়ে নিজেরাই নিজেদের মতো করে ইজারা দিচ্ছে সরকারি এই জলমহলটি।
এ বিষয়ে ইজারাদার সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা হলে, তিনি এ প্রতিনিধিকে মোবাইল ফোনে জানায়, গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে
গ্রামের লোকদের কাছ থেকে আমি আল হেলালিয়া খালটি ইজারা নিয়েছি এক বছরের জন্য মাছ ধরতে। এতে মদন উপজেলা প্রশাসন জানে কিনা, তা আমি জানিনা, তারা আমাকে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এনেই আমাদেরকে দিয়েছে।
এ বিষয়ে মদন ইউনিয়নের (নায়েব) তহশীলদার মান্নু রায়হান তিনি বলেন, আল হেলালিয়া সরকারি জলমহল অবৈধভাবে দখল নিয়েছে কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি।
রোজ বৃহস্পতিবার গত (৯ নভেম্বর) এলাকায় গিয়ে কাশ কালেকশনের জন্য ঢুল ফিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা লিজ নিয়েছে অবৈধভাবে তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে এবং মাছ ধরতে নিষেধও করা হয়েছে।
মোঃ আংগুর রহমান ভূইয়া
মোবাইল ০১৯০৫৩৪০২৭২
১২/১১/২৩
সম্পাদক - মোঃ মনির হোসেন