বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সফল জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে পাঁচ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিপ্লবী ছাত্রজনতা। কোটা বিরোধী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে ছাত্রদের উপর হামলা, আটকে,গুলি করে বিচার বহির্ভূত হত্যা করা শুরু করে আওয়ামী নেতৃবৃন্দ এবং তাদের প্রশাসন। এরফলে আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফাতে। পনেরো বছরের দূর্নীতি, জুলুমে অতীষ্ঠ ছিল সারাদেশের মানুষ। ছাত্রদের রক্তে রাজপথ রক্তাক্ত দেখে পনেরো বছরের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে সবার।
সকল দলমত,ধর্ম বর্ণের মানুষ ছাত্রদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে। ঘরের মা,বোন,বাচ্চারাও আন্দোলনে শামিল হয়। জনতার ভয়াবহ রোষানলের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যায় গণতন্ত্রের হত্যাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। দেশ মুক্তি পায় পনেরো বছরের আওয়ামী লীগের দুঃশাসনকাল থেকে।
নব্য স্বাধীনতার যুদ্ধে সম্মুখ সারিতে থাকা ছাত্ররা "জাতীয় নাগরিক পার্টি" নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। পাশাপাশি বিপ্লবী ছাত্রদের নিয়ে "জাতীয় নাগরিক কমিটি" র
"বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ" নামে তৈরী হয়েছে ছাত্রদের একটি দলও। নবগঠিত বিপ্লবী ছাত্রদের এই সংগঠনে ক্ষেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক (এক) মনোনীত হয়েছেন কেন্দুয়ার ছেলে নূরুল গণি ছগীর।
ছগীর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া
উপজেলার রায়পুর গ্রামের মোঃ আবু ছাদেক ভূঞার ছেলে। তার পিতা ভরাপাড়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। বর্তমানে পৌরসদরের কান্দিউড়ায় পরিবারসহ বসবাস করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জসীম উদ্দিন হলে থেকে আরবী বিভাগে অধ্যায়নরত ছগীর। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখসমরে থেকে ঢাবির সকল ছাত্রদের সংগঠিত করেছেন তিনিও।পাশাপাশি এলাকাতেও আন্দোলনে থাকা ছাত্রদের এবং পলিসি মেকারদের সাথে সংযুক্ত ছিলেন ।
ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের বিপ্লবী সৈনিকদের সাথে কেন্দুয়ার ছেলে হিসেবে আন্দোলনের ক্ষেন্দ্রস্হলে ছগীরের অংশগ্রহণ স্হানীয় ছাত্রদেরও তখন উদ্বুদ্ধ করে। ক্ষেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়া নিয়ে তরুণরা বেশ উচ্ছসিত।
এলাকার সকল শ্রেণির মানুষ নতুন দল এবং তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যে উদ্দেশ্যে হয়েছে সেই আলোকে দেশকে পুনর্গঠনে নবগঠিত দল কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্হানীয় সুধীমহল।
সম্পাদক - মোঃ মনির হোসেন