
মোঃ আল আমিন
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
গত ১৪ এপ্রিল রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এক ভয়াবহ গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতা ও পাঁচবিবির তরুণ প্রজন্মের পরিচিত মুখ শামীমকে লক্ষ্য করে তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই হামলার পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন শিখা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার শিখার স্বামী রাসেল। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত পাঁচবিবি ইফতার পার্টির একটি বিরোধকে কেন্দ্র করে রাসেল কন্টাক কিলার জালাল মোল্লাকে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শামীমকে হত্যার নির্দেশ দেন।
কিলার হিসেবে অভিযুক্ত রুবেল আহমেদ মোল্লা, পিতা শাহাদাত মোল্লা, গ্রাম: চরটেপা খোলা, পোস্ট: মুন্সি,ডাঙ্গী, ফরিদপুর। সে কন্টাক কিলার জালাল মোল্লার আপন খালাতো ভাই। জালাল মোল্লার পরিচয়: পিতা মজিদ মোল্লা, গ্রাম: দক্ষিণ টেপাখোলা, টিপি হসপিটাল মোড়, ফরিদপুর, এই জালাল মোল্লা দক্ষিণ টেপাখোলা ফরিদপুরের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মামলার আসামি
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ১৪ এপ্রিল দুপুর ২টায় একটি হাইয়েস গাড়িতে করে ১২ থেকে ১৪ জন ব্যক্তি পাঁচবিবির শিমুলতলী বাজারে এসে পৌঁছায়। সেখানে স্থানীয় দুই পরিচিত মুখ তাদের রিসিভ করে হিলির চুড়ি-পট্টি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ফেনসিডিল ও মদ পান করানো হয়। সন্ধ্যায় তারা আবার পাঁচবিবিতে ফিরে আসে এবং তখন থেকেই শামীমকে অনুসরণ করতে থাকে।
পরে, পরিচিত দুইজন শামীমকে চিহ্নিত করলে রুবেল ও জালাল মোল্লা মিলে তার উপর গুলি চালায়। যদিও গুলি লাগেনি, এতে স্পষ্টভাবে পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টার প্রমাণ মেলে।
এই ঘটনায় কিলার রুবেল প্রথমত পুলিশের কাছে যে তথ্য দিয়েছে, তা মূলত আসামিকে আড়াল করার উদ্দেশ্যে এবং ভুল তথ্য বলে মনে করছে পাঁচবিবি বাসী।
তাই পাঁচবিবি বাসীদের দাবি এই ঘাতক কে পুলিশ রিমান্ডে নিলে সবকিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে।
পাঁচবিবিবাসীসহ সাধারণ জনগণের এখন একটাই প্রশ্ন—সন্ত্রাসী যে-ই হোক, যেই দলেরই হোক, তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার যেন নিশ্চিত হয়।