
তৌফিকুর রহমান তাহের
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়বন্দ গ্রামে পূর্ববিরোধের জেরে এক মুদি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করেছে। আহতের নাম মোঃ জাকির হোসেন। তিনি উপজেলার বড়বন্দ গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ব্যবসায়ী জাকির হোসেন তাদের গ্রামের মাঠে দু’পক্ষের মারামারির খবর শুনতে পেয়ে তিনি নিজ দোকান থেকে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামের প্রতিপক্ষ আবু তালেব,মাইন উদ্দিনগংরা তার গতিরোধ করে প্রথমে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করায় হামলাকারীরা মুদি ব্যবসায়ীকে দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র দা,লোহার,রড়,বাশঁ দিয়ে হামলা চালিয়ে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকার শোনে কাছের মানুষ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ এপ্রিল রোজ বুধবার দুপুরে।
এ ঘটনায় আহত জাকর হোসেন বাদি হয়ে ঘটনার দিন বিকেলে একই গ্রামের হামলাকারী মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে আবু তালেব,আমির উদ্দিনের ছেলে মাইন উদ্দিন,তার সহোদর জিয়াউর রহমান ও মৃত ময়দর মিয়ার ছেলে আবুল কালামকে বিবাদি করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিবাদিগণের সাথে মামলার বাদি জাকির হোসেনের পূর্ববিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ঘটনার সময় ও তারিখে বাদি জাকির হোসেন গ্রামের বড়বন্দ মাদ্রাসার পাশে তার মুদি ব্যবসায় কাজ করার সময় লোকমুখে খবর পান তার গ্রামে দু’পক্ষের মারামারি চলছে। খবর শোনে তিনি নিজের দোকান বন্ধ করে ঘটনাস্থলে গেলে মারামারি দেখতে না পেয়ে তিনি নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে নামাংঙ্কিত ব্যাক্তিরা দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে গতিরোধ প্রথমে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এবং লোহার রড় দিয়ে মাথা লক্ষ্যে করে বারি দিলে তার ডান হাতের দিকে পড়ে রক্তাক্ত হয়। পরে বাশেঁর লাঠি দিয়ে নামাংঙ্কিত ব্যাক্তিরা সবাই মিলে বাদিকে এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে রক্তাক্ত করে।
রবিবার(৪মে)সকালে দোয়ারাবাজার থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিজুলসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহিদুল হক জানান,অভিযোগ দেয়া হয়েছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।