
মোঃ সাগর, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদ বুধবার (০৮ মে) মধ্যরাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র তার দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সূত্রটি জানিয়েছে, রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এ এম নওশাদ ছিলেন।
সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য যেতে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ প্রথম মেয়াদে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকার দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ। নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসাবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অন্তত একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে। মামলা থাকা সত্ত্বেও সে কিভাবে দেশের বাইরে চলে গেল সে নিয়ে প্রশ্ন অনেকেরই তবে বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াতে তোর পার শুরু হয়েছে তবে আব্দুল হামিদ কে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা