
মোঃ রাকিব হাসান
কলমাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
অসহায় শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধদের পাশে দাড়িয়ে চিকিৎসা-সেবার মাধ্যমে নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রশংসিত হচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও নেত্রকোনা ১ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল। নিজ নির্বাচনী এলাকায় ছোট শিশু তাইবা হার্টে ছিদ্র নিয়েই জম্ম গ্রহন করেছে । শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিত্তশালীদের ধারে ধারে ঘুরছিলেন মা মোমেনা খাতুন। অবশেষে শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। গত সোমবার রাজধানীর ঢাকা মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। তাইবা নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হাটশিরা-শিবনগর গ্রামের মৃত ওয়াশ কুরুনি’র মেয়ে। শিশুটি নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ছাত্রী ।
এর আগে হার্টে দুটি ছিদ্র নিয়ে জন্ম নেওয়া আব্দুল্লাহ নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শেষে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাইবার বাবা গত সাত বছর আগে মারা গেছেন। অভাবের সংসারে মা মোমেনা খাতুন অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনভাবে সংসার খরচ চালান। বছর খানেক আগে হঠাৎ করে তাইবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাইবার হার্টে দুইটি ছিদ্র ধরা পড়ে । চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সে হার্টে ছিদ্র নিয়েই জম্ম নিয়েছে। দ্রুত শিশুটির হার্টে অস্ত্রোপচার করতে হবে। অভাবের সংসারে এই শিশুর চিকিৎসার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন মা মোমেনা খাতুন। হাত পাতেন গ্রামের লোকজনের কাছে সাহায্য চান কিন্তু এত টাকা সংগ্রহ করা কোন ভাবেই যেন তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলনা। পরে তাইবাকে নিয়ে তার মা মোমেনা খাতুন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঙ্গে দেখা করে তার অসহায়ত্বের কথা জানান। শুনে শিশু তাইবা’র পাশে দাঁড়ান বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি শিশুটির চিকিৎসাসেবার জন্য যাবতীয় দায়িত্ব নেন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার অসহায় প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে একাধিক হেল্থ ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এরপর জন্মগতভাবে হার্টের ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণকারী কয়েকটি শিশুর পরিবারের লোকজন ওইসব শিশুর চিকিৎসার জন্য তাঁর সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি মানবিক কারণেই আবদুল্লাহ নামে এক শিশুর সফল অস্ত্রোপচারের পর তাইবা নামে অপর এক শিশুর অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত এই প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।