ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স
উপজেলা নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন, ইমরান সাহেব প্রিন্স তার বক্তব্য যা বলেন
“সরকারের ভেতর ও বাইরে থাকা স্বার্থান্বেষী মহল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুলেছে ।কারা সরকারকে বিপাকে ফেলেছে প্রধান উপদেষ্টাকে নির্মোহ ভাবে তা দ্রুত উদঘাটন করে সংকট নিরসণ করতে হবে । সংকট মোকাবেলায় দ্রুত নির্বাচনের কোনও বিকল্প নাই ।
সংস্কার ,বিচার ও নির্বাচন নিয়ে গত নয় মাসে সরকারের অগ্রগতি কী, কেন ধীর গতি, কেন বিলম্ব এবং রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ নতুন দলের প্রতি কেন প্রচ্ছন্ন সমর্থন -তাও নির্মোহ ভাবে সরকারের বলা উচিত । আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপি তিনমাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে নাই , সংস্কার ও বিচার শুরু করতে যৌক্তিক সময় দিতে চেয়েছে ।কিন্তু দূর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য , নয় মাস পার হয়ে গেলেও নির্বাচন , সংস্কার ও বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি নাই। যৌক্তিক সময় নিশ্চই অনন্তকাল হতে পরে না । নির্বাচিত সরকারের অনুপস্হিতে দেশে অস্থিরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে । সরকারের কতিপয় উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মহলের এখতিয়ার বর্হিভুত কর্মকান্ড ও বক্তব্যও পরিস্থিতিকে অসহনশীল করে তুলেছে ।
এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলামের নতুন করে ১/১১ আশংকা করছেন । আরেকটি ১/১১ সৃস্টি হলে দায় নতুন দল ও তাদের সহযোগিদের। তারাই মব জাষ্টিসের নামে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য করেছে ।
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেই নতুন দলসহ বিতর্কিত আরো দুই একটি দলের এবং কয়েকজন উপদেষ্টার শরীরে মনে হয় ফোসকা পরে । যারা বলে বিএনপি শুধু নির্বাচনের কথা বলে , তাদেরকে বলতে চাই , প্রজাতন্ত্রে মালিক জনগণ । জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া দেশ চলতে পরে না , গণতন্ত্রও ফিরে আসবে না । রাজনৈতিক দল নির্বাচন চাইবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু নির্বাচন চাইলেই যদি পদত্যাগর কথা বলে “ইমোশনাল সিন “ সৃষ্টি করা হয় , তা শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয় , বেকায়দা পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী মহলকে আড়াল ও প্রশ্রয় দেয়ারও শামিল । বিএনপি শুধু নির্বাচনের দাবিই করে নাই , রাষ্ট্র সংস্কার ও ফ্যসিস্ট এর বিচারের কথাও বলছে । নির্বাচনের কথা শুনলে যারা বিচলিত হন তারা বিভিন্নভাবে সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছেন , আপনারা কেন গত নয় মাসে শোসকার ও বিচার তরাণ্বিত করলেন না । এসকল মহল নির্বাচনকে প্রলিম্বিত করে নির্বাচন ছাড়াই দীর্ঘদিন ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় । বিতকীত কর্মকাণ্ড করে এসকল মহল সরকারকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করছেন । “
সম্পাদক - মোঃ মনির হোসেন