ঢাকা , বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে নিহতদের স্মরণে রাজশাহীতে দোয়া মাহফিল  বারহাট্টায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় ভারতীয় মদসহ ১জন আটক  তোমার ছেলে পুড়ছে গো মা” শাল্লায় চোরচক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২০ জনের বেশি সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য আনা সিগন্যাল ওয়াকিটকি সহ একজন আটক। আটপাড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার  বিতরণ অনুষ্ঠিত  সৌদি আরব নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের খরচে সৌদি আরব চীন ও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে, বলেছেন জ্বালানিমন্ত্রী। ভোলাহাট প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সালাউদ্দিন-এঁর ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়াখায়ের অনুষ্ঠিত!

বাকৃবি ছাত্রদলে নতুন নেতৃত্বের জল্পনা: বর্তমান কমিটির ব্যর্থতা, আলোচনায় একাধিক মুখ

আদিলুর রহমান গফরগাঁও ময়মনসিংহ 

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মতবিনিময় ও সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ কর্মসূচির পর থেকেই ক্যাম্পাসে নতুন কমিটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।

বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারায়, হল কমিটি দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং ৫ই আগস্টের পর সংগঠনকে গতিশীল করতে না পারাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে বর্তমান আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে।

তাছাড়া, আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রায় চার বছরে বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে কোনো কর্মসূচিতেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়নি। বরং ৫ই আগস্টের পরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের কেবল ‘ফটোসেশন’ করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ। গত ৯ই মার্চ শিবিরের ডাকে দেশব্যাপী নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধ এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে তাদের অংশগ্রহণ নিজ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-পন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে ফেলেছ।

অনেকের মতে, বাকৃবি ছাত্রদলের জন্য উর্বর ভূমি হলেও বর্তমান নেতৃত্ব সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। কারো কারো সন্দেহ, বর্তমান আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আগ্রহ সংগঠনের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার কমিশন ও নিয়োগ বাণিজ্যের দিকেই বেশি।

নতুন কমিটির গুঞ্জন শুরু হওয়ায় ছাত্রদল করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। কে নেতৃত্বে আসবেন, কে বাদ পড়বেন, কোন হলে কার অবস্থান কেমন হবে, রাজনীতি এবং স্থানীয়ভাবে কার প্রভাব কেমন— এসব হিসাব মেলাতে তারা গলদঘর্ম।

ছাত্রদলের অনেকেই মনে করছেন , বর্তমান আহ্বায়ক আতিক আর নেতৃত্বে আসছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কোনো হলে তার কোনো রাজনৈতিক অবস্থান নেই। টাঙ্গাইলের বাড়ি হওয়ায় বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার আশীর্বাদে তিনি গত কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছিলেন। অনেকে তাকে ‘ফেসবুক ফটো নির্ভর নেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যিনি নিজেকে জাহির করতে গিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে বক্তব্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের কাছে উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছেন। আহ্বায়ক হওয়ার এত দিন পরেও তিনি তার উত্তরসূরী তৈরি করতে পারেননি।

আতিকের মতো একই ব্যর্থতার দায়ে নতুন কমিটিতে না আসার শঙ্কায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব শফিক। আপাদমস্তক আওয়ামী পরিবারের সন্তান হওয়ায় নেতৃত্ব পাওয়ার পর তিনি কতটুকু বিএনপি বা ছাত্রদলের হতে পেরেছেন তা নিয়ে নিজ এলাকায়ই সন্দেহ রয়েছে। ৫ই আগস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট (টেন্ডার ও নিয়োগ)-এর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে তার ভালো আনাগোনা দেখা যায়। এই সিন্ডিকেটটিই তাকে আগামী কমিটিতে নেতৃত্বে আনতে মরিয়া। সম্প্রতি তার পরিবারের সদস্যদের চাকুরী ও প্রমোশনের তদবিরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্টারের কার্যালয়ে তদবিরে ব্যাস্ত সময় পার করছেন বলে নিজ দলেই গুঞ্জন। ২৪শে এপ্রিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাকৃবির আহ্বায়ক আজিজের উপর শফিকের ছত্রছায়ায় থাকা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বাবর এ আজমের হামলা নিয়েও অনেক জল ঘোলা হয়েছে।

সর্বশেষ গত ২৬ মে সাংবাদিক রায়হান আবিদ এর উপর হামলা করে শফিক এর অনুসারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্র মোঃ ইসমাইল হোসেন হৃদয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ উত্তরবঙ্গের একটি শক্তিশালী বলয় রয়েছে। বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সোয়াইব ছাত্রদলে তাদেরই প্রতিনিধি। আগামী কমিটিতে নেতৃত্বে তার সম্ভাবনা প্রবল। উত্তরবঙ্গের অনেক শিক্ষার্থীই তার অনুসারী। সদস্য সচিব শফিক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সোয়াইব দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই অনুষদ (কৃষি অর্থনীতি) এবং একই শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭টি অনুষদ থাকায় অনেকে ধারণা করছেন, একই অনুষদ ও একই শিক্ষাবর্ষের দু’জনের মধ্যে একজন নেতৃত্বে আসতে পারেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদলকর্মী বলেন, আলোচনা-সমালোচনার পরেও এই তিনজনের বাইরে যুগ্ম আহ্বায়ক তুষারের নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। ময়মনসিংহ শহরের স্থানীয় এবং ক্লিন ইমেজের হওয়ায় তাকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ রয়েছে। ওই তিনজনের সিন্ডিকেটের বাইরে আলাদা কর্মসূচি করে তিনি একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। ‘নো পলিটিক্স ক্যাম্পাসে’ তিনিই রাজনীতির উন্মোচন ঘটান। তিনি ক্যাম্পাসে ‘৭১ থেকে ‘২৪-এর শহীদদের স্মরণে পদযাত্রা করে অপর দুটি ছাত্রসংগঠনকে আদর্শিক লড়াইয়ে পিছিয়ে দেন। পরবর্তীতে দলীয় ব্যানারে প্রথমবারের মতো হলে ইফতার মাহফিল করে এবং ভর্তি পরীক্ষায় দলীয় হেল্পডেস্ক খুলে নিজের স্বকীয়তা জানান দেন। বিভিন্ন হলে তার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও অনুসারী রয়েছেন।

সাধারণ ছাত্রদল কর্মীদের অভিযোগ, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় এবং হল কমিটি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জুনিয়র নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি হওয়ার পর থেকে কেবল এই পাঁচজনকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির এই ট্রমা ভুলতে তারা এখন নতুন নেতৃত্বের জন্য প্রহর গুনছেন।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে নিহতদের স্মরণে রাজশাহীতে দোয়া মাহফিল 

বাকৃবি ছাত্রদলে নতুন নেতৃত্বের জল্পনা: বর্তমান কমিটির ব্যর্থতা, আলোচনায় একাধিক মুখ

আপডেট টাইমঃ ১০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

আদিলুর রহমান গফরগাঁও ময়মনসিংহ 

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মতবিনিময় ও সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ কর্মসূচির পর থেকেই ক্যাম্পাসে নতুন কমিটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।

বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারায়, হল কমিটি দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং ৫ই আগস্টের পর সংগঠনকে গতিশীল করতে না পারাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে বর্তমান আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে।

তাছাড়া, আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রায় চার বছরে বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে কোনো কর্মসূচিতেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়নি। বরং ৫ই আগস্টের পরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের কেবল ‘ফটোসেশন’ করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ। গত ৯ই মার্চ শিবিরের ডাকে দেশব্যাপী নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধ এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে তাদের অংশগ্রহণ নিজ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-পন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে ফেলেছ।

অনেকের মতে, বাকৃবি ছাত্রদলের জন্য উর্বর ভূমি হলেও বর্তমান নেতৃত্ব সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। কারো কারো সন্দেহ, বর্তমান আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আগ্রহ সংগঠনের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার কমিশন ও নিয়োগ বাণিজ্যের দিকেই বেশি।

নতুন কমিটির গুঞ্জন শুরু হওয়ায় ছাত্রদল করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। কে নেতৃত্বে আসবেন, কে বাদ পড়বেন, কোন হলে কার অবস্থান কেমন হবে, রাজনীতি এবং স্থানীয়ভাবে কার প্রভাব কেমন— এসব হিসাব মেলাতে তারা গলদঘর্ম।

ছাত্রদলের অনেকেই মনে করছেন , বর্তমান আহ্বায়ক আতিক আর নেতৃত্বে আসছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কোনো হলে তার কোনো রাজনৈতিক অবস্থান নেই। টাঙ্গাইলের বাড়ি হওয়ায় বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার আশীর্বাদে তিনি গত কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছিলেন। অনেকে তাকে ‘ফেসবুক ফটো নির্ভর নেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যিনি নিজেকে জাহির করতে গিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে বক্তব্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের কাছে উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছেন। আহ্বায়ক হওয়ার এত দিন পরেও তিনি তার উত্তরসূরী তৈরি করতে পারেননি।

আতিকের মতো একই ব্যর্থতার দায়ে নতুন কমিটিতে না আসার শঙ্কায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব শফিক। আপাদমস্তক আওয়ামী পরিবারের সন্তান হওয়ায় নেতৃত্ব পাওয়ার পর তিনি কতটুকু বিএনপি বা ছাত্রদলের হতে পেরেছেন তা নিয়ে নিজ এলাকায়ই সন্দেহ রয়েছে। ৫ই আগস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট (টেন্ডার ও নিয়োগ)-এর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে তার ভালো আনাগোনা দেখা যায়। এই সিন্ডিকেটটিই তাকে আগামী কমিটিতে নেতৃত্বে আনতে মরিয়া। সম্প্রতি তার পরিবারের সদস্যদের চাকুরী ও প্রমোশনের তদবিরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্টারের কার্যালয়ে তদবিরে ব্যাস্ত সময় পার করছেন বলে নিজ দলেই গুঞ্জন। ২৪শে এপ্রিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাকৃবির আহ্বায়ক আজিজের উপর শফিকের ছত্রছায়ায় থাকা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বাবর এ আজমের হামলা নিয়েও অনেক জল ঘোলা হয়েছে।

সর্বশেষ গত ২৬ মে সাংবাদিক রায়হান আবিদ এর উপর হামলা করে শফিক এর অনুসারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্র মোঃ ইসমাইল হোসেন হৃদয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ উত্তরবঙ্গের একটি শক্তিশালী বলয় রয়েছে। বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সোয়াইব ছাত্রদলে তাদেরই প্রতিনিধি। আগামী কমিটিতে নেতৃত্বে তার সম্ভাবনা প্রবল। উত্তরবঙ্গের অনেক শিক্ষার্থীই তার অনুসারী। সদস্য সচিব শফিক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সোয়াইব দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই অনুষদ (কৃষি অর্থনীতি) এবং একই শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭টি অনুষদ থাকায় অনেকে ধারণা করছেন, একই অনুষদ ও একই শিক্ষাবর্ষের দু’জনের মধ্যে একজন নেতৃত্বে আসতে পারেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদলকর্মী বলেন, আলোচনা-সমালোচনার পরেও এই তিনজনের বাইরে যুগ্ম আহ্বায়ক তুষারের নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। ময়মনসিংহ শহরের স্থানীয় এবং ক্লিন ইমেজের হওয়ায় তাকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ রয়েছে। ওই তিনজনের সিন্ডিকেটের বাইরে আলাদা কর্মসূচি করে তিনি একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। ‘নো পলিটিক্স ক্যাম্পাসে’ তিনিই রাজনীতির উন্মোচন ঘটান। তিনি ক্যাম্পাসে ‘৭১ থেকে ‘২৪-এর শহীদদের স্মরণে পদযাত্রা করে অপর দুটি ছাত্রসংগঠনকে আদর্শিক লড়াইয়ে পিছিয়ে দেন। পরবর্তীতে দলীয় ব্যানারে প্রথমবারের মতো হলে ইফতার মাহফিল করে এবং ভর্তি পরীক্ষায় দলীয় হেল্পডেস্ক খুলে নিজের স্বকীয়তা জানান দেন। বিভিন্ন হলে তার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও অনুসারী রয়েছেন।

সাধারণ ছাত্রদল কর্মীদের অভিযোগ, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় এবং হল কমিটি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জুনিয়র নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি হওয়ার পর থেকে কেবল এই পাঁচজনকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির এই ট্রমা ভুলতে তারা এখন নতুন নেতৃত্বের জন্য প্রহর গুনছেন।