ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে বিজিবি’র অভিযানে মালিক বিহীন ৯টি ভারতীয় অবৈধ গরু আটক ভোলাহাট উপজেলায় উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’র প্রচারণা ও কর্মশালা পরিচালনা তারেক রহমানের দেশে আসতে কোনো বাধা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফুলপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত,পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন ছাতকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষন,গ্রেফতার১ ভালুকায় মাদকাসক্ত যুবককে উদ্ধার করলো, ফায়ার সার্ভিস মায়ের জানাযারে অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তি, সাংবাদিক রূপা-শাকিল মদনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে তিনটি মামলা ও জরিমানা। নাটোরের সিংড়ায় উদ্ধারকৃত গোলাকাটা সেই নারীর পরিচয় সনাক্ত, গ্রেফতার ৪জন

শহীদ পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঈদ উপহার পেয়ে কান্নায় ভাঙলেন মা

মোঃ রাকিব

 

দীর্ঘ ১৭ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এ বিজয়ের পেছনে আছে অগণিত ত্যাগ, আন্দোলন আর বুকভরা রক্ত। রাজপথের সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন, সেইসব শহীদের পরিবার আজো বয়ে চলেছে শোকের ভার। হারিয়েছেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে—চোখে জল, মনে দুঃসহ ব্যথা।

 

 

এমন বাস্তবতায় ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পাশে দাঁড়ালেন কলমাকান্দার সন্তান, বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। নিজ অর্থায়নে তিনি কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার আন্দোলনে নিহত ৮টি শহীদ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন ঈদের বিশেষ উপহার।

 

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলমাকান্দার আহাদুন, আব্দুল আল মামুন, সোহাগ মিয়া ও মেহেদী হাসান শহীদ হন। এদের প্রত্যেকের পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হয় কোরবানির জন্য একটি করে খাসি, চাল, ডাল, মসলা, পেঁয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে নতুন জামাকাপড় পর্যন্ত ঈদ সামগ্রী।

 

শহীদ আব্দুল আল মামুনের মা উপহার হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কণ্ঠ বেদনায় ভারাক্রান্ত, বলেন, ‘আমার ছেলেকে হারিয়েছি, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ব্যারিস্টার কায়সার আমার আরেক ছেলে হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এত বড় উপহার পেয়ে আমি অভিভূত। তার জন্য দোয়া করি—সে যেন অসহায়দের পাশে থাকে সবসময়।’

 

 

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘শহীদ পরিবারের শোকের ভাগীদার আমি। ঈদের আনন্দ ও বেঁচে থাকার সাহস তাঁদের সাথে ভাগ করে নিতে পারাটাই আমার দায়িত্ব। শুধু ঈদ উপহার নয়—চিকিৎসা, আবাসনসহ যেসব সহযোগিতা দরকার, তা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিয়ে যাব।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। অপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে, যারা পরিবারগুলোকে নিঃস্ব করেছে, তারা ন্যায়বিচার পাবে। আমরা যেন সত্যিকার অর্থেই নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে পারি—এটাই কামনা।’

 

শহীদের রক্তে লেখা এই সংগ্রামের গল্প যেন বিস্মৃত না হয়, সেই চেষ্টায় একজন রাজনীতিকের মানবিক উপস্থিতি হয়ে উঠেছে আলোর দিশা।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

শহীদ পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঈদ উপহার পেয়ে কান্নায় ভাঙলেন মা

আপডেট টাইমঃ ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

মোঃ রাকিব

 

দীর্ঘ ১৭ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এ বিজয়ের পেছনে আছে অগণিত ত্যাগ, আন্দোলন আর বুকভরা রক্ত। রাজপথের সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন, সেইসব শহীদের পরিবার আজো বয়ে চলেছে শোকের ভার। হারিয়েছেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে—চোখে জল, মনে দুঃসহ ব্যথা।

 

 

এমন বাস্তবতায় ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পাশে দাঁড়ালেন কলমাকান্দার সন্তান, বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। নিজ অর্থায়নে তিনি কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার আন্দোলনে নিহত ৮টি শহীদ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন ঈদের বিশেষ উপহার।

 

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলমাকান্দার আহাদুন, আব্দুল আল মামুন, সোহাগ মিয়া ও মেহেদী হাসান শহীদ হন। এদের প্রত্যেকের পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হয় কোরবানির জন্য একটি করে খাসি, চাল, ডাল, মসলা, পেঁয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে নতুন জামাকাপড় পর্যন্ত ঈদ সামগ্রী।

 

শহীদ আব্দুল আল মামুনের মা উপহার হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কণ্ঠ বেদনায় ভারাক্রান্ত, বলেন, ‘আমার ছেলেকে হারিয়েছি, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ব্যারিস্টার কায়সার আমার আরেক ছেলে হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এত বড় উপহার পেয়ে আমি অভিভূত। তার জন্য দোয়া করি—সে যেন অসহায়দের পাশে থাকে সবসময়।’

 

 

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘শহীদ পরিবারের শোকের ভাগীদার আমি। ঈদের আনন্দ ও বেঁচে থাকার সাহস তাঁদের সাথে ভাগ করে নিতে পারাটাই আমার দায়িত্ব। শুধু ঈদ উপহার নয়—চিকিৎসা, আবাসনসহ যেসব সহযোগিতা দরকার, তা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিয়ে যাব।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। অপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে, যারা পরিবারগুলোকে নিঃস্ব করেছে, তারা ন্যায়বিচার পাবে। আমরা যেন সত্যিকার অর্থেই নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে পারি—এটাই কামনা।’

 

শহীদের রক্তে লেখা এই সংগ্রামের গল্প যেন বিস্মৃত না হয়, সেই চেষ্টায় একজন রাজনীতিকের মানবিক উপস্থিতি হয়ে উঠেছে আলোর দিশা।