
নাছিম মৃধা,জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট।
ছোটবেলা থেকেই রাজনীতিতে নিবেদিত চিতলমারীর শেখ ইসমাইলের গল্প একটি প্রেরণার নাম
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল-এ যুক্ত হয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চিতলমারীর তরুণ শেখ ইসমাইল। তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, অবিচল আস্থা ও নিরলস ত্যাগ ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে বিরল এক উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
ইসমাইলের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে, যখন অনেকেই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দোলাচলে থাকেন, সে তখন রাজনীতির কঠিন ময়দানে বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ছাত্রদলের হয়ে কাজ শুরু করেন। দলীয় আদর্শে বিশ্বাস রেখে, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি থেকে গেছেন অবিচল।
এই তরুণ নেতা একাধিকবার রাজনৈতিক কারণে কারাবরণ করেছেন। দলের দুর্দিনে যখন অনেকেই পেছনে সরে যান, তখন ইসমাইল ছিলেন অগ্রভাগে। সংগঠনের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করা, কর্মীদের পাশে থাকা, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া—সব ক্ষেত্রেই তিনি রেখেছেন সাহসী ভূমিকা।
ইসমাইল শুধু নিজেই নয়, তার পরিবারও রাজনীতির জন্য ভোগ করেছে নানা ষড়যন্ত্র ও হয়রানির শিকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসমাইল বা তার পরিবার একবারের জন্যও পিছু হটেনি। আজও তিনি মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং দলের প্রতি সেই আগের মতোই নিবেদিত।
চিতলমারীর রাজনীতির ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এত কম বয়সে কেউ এভাবে রাজনীতির মূল স্রোতে থেকে, ত্যাগ স্বীকার করে, সাহসের সঙ্গে সংগঠনের পাশে থেকেছেন—এমন নজির বিরল।
স্থানীয় জনগণ ও তরুণ সমাজের মধ্যে ইসমাইলের প্রতি রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এলাকাবাসীর ভাষায়—
“যদি প্রতিটি রাজনৈতিক দলে ইসমাইলের মতো সৎ, সাহসী ও আদর্শবান কর্মী থাকতো, তাহলে দেশ অনেক আগেই পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যেত।”
বিএনপি এবং ছাত্রদলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ইসমাইল এখন এক প্রেরণার নাম। তার অব্যাহত সংগ্রাম, নিষ্ঠা, ও দেশপ্রেম শুধু চিতলমারীর গণ্ডিতে নয়, বরং পুরো দেশের রাজনীতিতে এক ইতিবাচক বার্তা ছড়াচ্ছে।