নাজমুল হুদা,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় “জুলাই শহিদ ও শোক দিবস” পালিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবং অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ (১৬ জুলাই) সকালে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ ও কালো ব্যাজ ধারণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
পরে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা ত্রিশালের শহিদ ইনতিশারুল হকের কবর জিয়ারত করেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ইনতিশারুল হক ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানের একজন শহিদ, যিনি গত বছরের ৫ই আগস্ট গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় শহীদ হন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন ও কর্মসূচি আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, প্রভোস্টবৃন্দ এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীরা।
কবর জিয়ারত শেষে শহিদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন উপাচার্য। এসময় শহিদের চাচা মো. নাজমুল হকের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এরপর বাদ জোহর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
সম্পাদক - মোঃ মনির হোসেন