
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের শান্ত সবুজ ও ইতিহাসে ভরপুর জেলা নেত্রকোনা। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় ভৌগোলিকভাবে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলে সবসময় আলোচিত জেলার নাম নেত্রকোনা।।
সামনে আসছে জাতীয় নির্বাচন। এই জেলার বিভিন্ন আসন থেকে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট ও তরুণ সৃষ্টিশীল নেতারা মনোনয়ন প্রত্যাশী। এরমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে অনেকেই আছেন।
নেত্রকোনা-৩ কেন্দুয়া-আটপাড়া আসনেও আছেন একাধিক হেভিওয়েট ও সৃষ্টিশীল প্রার্থী।
তার মধ্যে আলোচিত হচ্ছেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্মানিত সদস্য ও নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা সৈয়দ আলমগীর, সৃষ্টিশীল মেধাবী তরুণ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মুখলেস তালুকদার,কেন্দুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান,সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রোটারিয়ান নাজমুল হাসান,হাসান বিন শফিক সোহাগ, জামাল তালুকদার , মাসুদ খান সহ অনেকেই ।
সকলের সাথে মাঠ পর্যায়ের আলোচনায় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণ প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সুশীল সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মুখলেস তালুকদার আলোচনায় আছেন বেশ ভালোভাবেই ।
ইঞ্জিনিয়ার মুখলেস তালুকদার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচডি ডিগ্রি চলমান।তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর প্রকৌশলী, যিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করে প্রযুক্তি ও মানবকল্যাণের সমন্বয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
তার সহধর্মিণী একজন অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষা পেশায় নিয়োজিত আছেন।।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও বিএনপির নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে বিএনপির সাথে জড়িত হন।১৯৯৭ সালে কলেজ ছাত্রদলে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।
১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন,
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ছাত্রদল এর পাঠাগার সম্পাদক,ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বুয়েট হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
এবং ছিলেন বিএনপির সাবেক সদস্য ও জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অগ্রভাগে।
এছাড়াও ২০১২ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী তরুণ প্রজন্ম দল-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জাতীয় নেতৃবৃন্দের পরামর্শে ও তার নিজ আগ্রহে এবং দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সারা দেশব্যাপী তরুণ প্রজন্মকে বিএনপির ছায়াতলে রাখার লক্ষ্যে।
এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি বিএনপির দুর্দিনে রাজপথে, জাতীয় প্রেসক্লাবে, এমনকি দমন-নিপীড়নের মধ্যেও দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন অবিচল সাহসে।
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া,
কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর , ব্যারিস্টার কায়সার কামাল,সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম এবং কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল বারী ড্যানী,
সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনি, তাতীদলের সাবেক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রহিম সহ ও যূবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর তাজুল করিম বাদরু এবং নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অসংখ্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে তার রাজনৈতিক পথচলায় সুসম্পর্ক রয়েছে।।
২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির মহাসমাবেশে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন।
এ পর্যন্ত ৩ টি রাজনৈতিক মামলার হয়রানির শিকার হয়েছেন।।নিজ উদ্যোগে অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ান,মসজিদ ও মাদ্রাসা উন্নয়নে অর্থ সহায়তা করেন,
এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দুর্গাপূজার সময় পুজামণ্ডপে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে।
তিনি বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন,শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত গণসংযোগ করেছেন,এবং এলাকাজুড়ে ব্যানার–ফেস্টুনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেছেন।
পেশাজীবী রাজনীতিতেও তিনি সফল রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলীদের শীর্ষ সংগঠন আইইবি (The Institution of Engineers, Bangladesh) এবং AEB (Association of Engineers, Bangladesh)-এর সক্রিয় সদস্য।
এছাড়া তিনি “বাবর মুক্তি পরিষদ”-এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ইঞ্জিনিয়ার মুখলেস তালুকদার বর্তমানে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, এ্যাব এর আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন, আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু,
AAB এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নুসহ দলের শীর্ষ পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন।
২৪ জুলাই আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে ছাত্র ও তরুণদের সাহস ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
নেত্রকোণা–৩ (কেন্দুয়া–আটপাড়া) আসনের জনগণের কাছে ইঞ্জিনিয়ার মুখলেস তালুকদার তাঁর সততা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তাঁকে এই অঞ্চলের জনপ্রিয় জননেতাতে পরিণত করেছে।
কেন্দুয়া উপজেলার বলাই শিমুল ইউনিয়নের কুমরুড়া গ্রামের প্রয়াত পিতা সমাজসেবক ও কৃষি উন্নয়ন কর্মী, সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এলাকার সর্বস্তরের সম্মানিত এবং সমৃদ্ধশালী ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হাজি মরহুম জহুর উদ্দিন তালুকদার ।
বৃহৎ কৃষি জমির মালিক এই পরিবার, ছয় ভাইয়ের সবাই আছেন কোন না কোনভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবস্থানে।
উনার এক বড়ভাই সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির নেতা।
অন্য আরেকজন কারা বিভাগে কারা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত সময়ে তিনিও বিএনপির মামলা হামলায় কারা ভোগ করা নেতাকর্মীদের অসংখ্য সহযোগিতা করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মুখলেস তালুকদার এর পরামর্শে ও তাগিদে।
সবিশেষে জমে উঠেছে নেত্রকোণা ৩ , কেন্দুয়া-আটপাড়া আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মনোনয়ন দৌড়ে হেভিওয়েট এবং তরুণ সৃষ্টিশীল মেধাবী নেতাদেরা, মনোনয়ন প্রতিযোগিতা।
কেন্দ্র থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে সকল নেতাকর্মীরাই দলীয় মার্কা ধানের শীষে যোগাযোগ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

অনলাইন ডেস্কঃ 



















