
সোমেশ্বরী নদীটি ভারতের অংশে সিমসাং নামে এবং বাংলাদেশের অংশে প্রায় ২৬ কিলোমিটার নদী।
আমরা জানি শুস্ক মৌসুমে দেশের নদীগুলোর পানি শুকিয়ে যায়।পাহাড়ী ঢল না থাকলে সোমেশ্বরী নদীর শুরুর প্রান্ত থেকে ৩/৪ কিলোমিটার পানি থাকে না- এটা শত বছরের চিত্র।
কয়েক যুগ ধরে সীমান্তের দিকে ২ কিলোমিটার নাব্যতা ছিল না যাহা রুহী এন্টারপ্রাইজের কর্নধার আলহাজ্ব মোশতাক আহমেদ রুহী সুইং কাটার ড্রেজার মেশিন দিয়ে জনস্বার্থে পরিকল্পিত খনন ও উত্তোলনের ফলে এই দুই কিলোমিটার নাব্যতা ফিরে পাওয়ায় চলতি বছর পাহাড়ী ঢলে নদী তীর ভাঁঙ্গন হয়নি এবং বন্যার সৃষ্টি হয়নি।
বিরিশিরি থেকে জারিয়া পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার নদীপথের বিভিন্ন স্থানে জনস্বার্থে তিনি নিজ উদ্যোগে বিপুল পরিমান টাকা খরচ করে নদী খনন করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনেছেন। ফলে নদীর দুই তীরের বাসিন্দাদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।
নদী খনন করা সরকারী উদ্যোগে হয়।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে নদী খনন নজীরবিহীন ঘটনা।
রুহী’র সাম্প্রতিক অবদানের আরো কিছু আংশিক বর্ননা–
চলতি বছর দুর্গাপুরের ১,২,৪ ও ৫ নং বালুমহালের ইজারাদার রুহী এন্টারপ্রাইজ
১.সরকারের সকল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের একমাত্র এই বালুমহাল থেকে ২.৫ ততোধিক সিলেকশন বালু দিয়ে।
উল্লেখ্য এপ্রিল থেকে এক মাস এই বালুমহাল বন্ধ থাকায় হযরত শাহজালাল তৃতীয় টার্মিনালের নির্মানকাজ সহ মেগা প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
২.ভেজা বালু পরিবহন বন্ধ। ৩.জনদূর্ভোগ নিরসনে নিজ অর্থায়নে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে বাইপাস সড়ক/ডাইভারশন নির্মান।
৪.পরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গন শূন্যের কোটায়।
৫.স্বাভাবিক চলাচলের নিমিত্তে ও জনসাধারণের চলাচলের স্বার্থে দীর্ঘ ১৭ কিলোমিটার সড়ক পথে লাইনম্যান/ বেসরকারী ট্রাফিক ডিজিটাল সিস্টেমে নিয়ন্ত্রন।
৬.সুইং কাটার ড্রেজার মেশিন দিয়ে বৈধভাবে বালু উত্তোলন।
৭.নিয়মিত শতাধিক শ্রমিক ২৪ ঘন্টা রাস্তা পরিস্কারের কাজে নিয়োজিত থাকেন।
৮.নদীর দুই পাড়ের মানুষের কোন অভিযোগ নেই বর্তমানে।
৯.হাজার হাজার মেহনতি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সংগে তিনি জড়িত।