ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
ভিজিএফের চাল বিতরণে গিয়ে ইউপি সদস্যদের বাধার মুখে এসিল্যান্ড সন্ত্রাসীরা উল্লাস করে, ইন্টেরিম কী করে’—স্লোগানে উত্তাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সৌদি আরব জেনেভা বিশ্ব সম্মেলনে, সৌদি আরব ডিজিটাল নেতৃত্বের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত অগ্রগতি তুলে ধরেছে। ভোলাহাটে পৈতৃক জমি ও রাস্তাঘাট নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ: মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ স্থানীয় পরিবারের  গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ মিটার রিডার মুক্তার গ্রেপ্তার সৌদি আরবে পবিত্র কাবা পরিষ্কার এবং ধোয়ার নেতৃত্ব দিলেন মক্কার উপ-আমির। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইকর’অ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস উদ্বোধন  নীলফামারী জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে কৃতি শিক্ষার্থী ও সমাজসেবকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গৌরীপুরের হোসেন আরা হত্যা মামলার আসামি ফজলুল হক গ্রেফতার 

বারহাট্টায় ইউএনওর গোদাম পরিদর্শনে বেড়িয়ে আসল থলের বিড়াল 

পলাশ পাল

বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি।

 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান গত ২৯ জুন বারহাট্টা সদর খাদ্য গোদাম পরিদর্শনে যান।জুন ক্লোজিং উপলক্ষে তিনি এই পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনে সদর খাদ্য গোদামে বেশি ধান মজুদ ও খালি বস্তা কমের তথ্য উঠে আসে। এ বিষয়ে খাদ্যগুদাম উপ-পরিদর্শক মোঃ হুমায়ূন কবীরকে ধান বেশি এবং খালি বস্তা কম কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। বারহাট্টা সদর খাদ্য গুদামে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম এর বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্যগুদামে সরকার নির্ধারিত ১৪৬.০৮ মে:টন ধান থাকার কথা থাকলেও আছে ১৫৫.৫২ মেট্রিক টন।৪২৯৬৭ খালি বস্তা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে আছে ৩৮৫০০ বস্তা। বারহাট্টা সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর অনিয়মের মাধ্যমে বেশি ধান গুদামজাত করে রাখেন এবং খালি বস্তার হিসাবেও গরমিল করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গোদাম পরিদর্শনের পরপরই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলায় তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারহট্টা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক বারহাট্টা খাদ্যগুদাম পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।ভুল করে ফেলেছেন এমন ভুল আর হবেনা বলে জানান তিনি।তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ না করারও অনুরোধ করেন তিনি।

বারহাট্টা উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান আমার বারহাট্টা সদর গোদামে ইউএনও মহোদয় পরিদর্শনে গিয়ে ধান বেশি এবং খালি বস্তা কম পেয়েছেন।আমরা আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষে অনিয়মের বিষয়টি জানিয়েছি।তারাই সদর গোদামের উপ পরিদর্শক মঃ হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ খবিরুল আহসান বলেন বারহাট্টা খাদ্য গুদামে বাৎসরিক পরিদর্শন কালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম পাওয়া যায়। রিপোর্টটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের এরকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

ভিজিএফের চাল বিতরণে গিয়ে ইউপি সদস্যদের বাধার মুখে এসিল্যান্ড

বারহাট্টায় ইউএনওর গোদাম পরিদর্শনে বেড়িয়ে আসল থলের বিড়াল 

আপডেট টাইমঃ ১৩ ঘন্টা আগে

পলাশ পাল

বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি।

 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান গত ২৯ জুন বারহাট্টা সদর খাদ্য গোদাম পরিদর্শনে যান।জুন ক্লোজিং উপলক্ষে তিনি এই পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনে সদর খাদ্য গোদামে বেশি ধান মজুদ ও খালি বস্তা কমের তথ্য উঠে আসে। এ বিষয়ে খাদ্যগুদাম উপ-পরিদর্শক মোঃ হুমায়ূন কবীরকে ধান বেশি এবং খালি বস্তা কম কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। বারহাট্টা সদর খাদ্য গুদামে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম এর বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্যগুদামে সরকার নির্ধারিত ১৪৬.০৮ মে:টন ধান থাকার কথা থাকলেও আছে ১৫৫.৫২ মেট্রিক টন।৪২৯৬৭ খালি বস্তা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে আছে ৩৮৫০০ বস্তা। বারহাট্টা সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর অনিয়মের মাধ্যমে বেশি ধান গুদামজাত করে রাখেন এবং খালি বস্তার হিসাবেও গরমিল করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গোদাম পরিদর্শনের পরপরই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলায় তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারহট্টা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক বারহাট্টা খাদ্যগুদাম পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।ভুল করে ফেলেছেন এমন ভুল আর হবেনা বলে জানান তিনি।তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ না করারও অনুরোধ করেন তিনি।

বারহাট্টা উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান আমার বারহাট্টা সদর গোদামে ইউএনও মহোদয় পরিদর্শনে গিয়ে ধান বেশি এবং খালি বস্তা কম পেয়েছেন।আমরা আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষে অনিয়মের বিষয়টি জানিয়েছি।তারাই সদর গোদামের উপ পরিদর্শক মঃ হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ খবিরুল আহসান বলেন বারহাট্টা খাদ্য গুদামে বাৎসরিক পরিদর্শন কালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪৪৬৭ টি খালি বস্তা কম পাওয়া যায়। রিপোর্টটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের এরকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।