
কামরুল হাসান
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রাতে এক তরুণীকে রাস্তা থেকে নির্জন স্থানে তুলে নিয়ে টাকা ও স্বর্ণলংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মৌসুমী আক্তার (২২) নামে ওই ভুক্তভোগী তরুণী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মাঘান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণের দুল ও নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় দৃর্বত্তরা।
মৌসুমী মাঘান গ্রামের মৃত এরশাদ মিয়ার মেয়ে। মৌসুমী স্বামী পরিত্যক্তা। তার ১৫ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কয়েক মাস ধরে বাচ্চাকে বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
তবে এ ঘটনায় এলাকায় ধর্ষণের মতো ঘটা ঘটেছে বলে গুঞ্জন রটেছে। তবে ভুক্তভোগী এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে।
ভুক্তভোগী মৌসুমী জানায়, শুক্রবার রাত আটটার দিকে ঢাকা থেকে মাঘান বাজারে আসি। বাজার থেকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হই। পথে রাস্তা আটকে দাড়ায় চার যুবক। তারা আমাকে গলায় ছুরি ধরে টেনে হিঁচরে একটি খালের পাশে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমার দুই হাত পেছনে বেঁধে ফেলে। পরে তারা আমার কানে থাকা ছয়আনা ওজনের দুল ও ব্যাগে থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাদের হাত থেকে কোনভাবে ছুটে খাল পার হয়ে একটি বাড়িতে গিয়ে উঠি।
মৌসুমী আরও জানায়, ওই বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমার পরিবারের লোকজন ছুটে যায়। ভেজা কাপড় নিয়ে ওই রাতেই থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেই। গ্রামের বাবু ও আমিরুল নামে দুই যুবককে চিনতে পেরেছেন বলে জানান মৌসুমী। এ বিষয়ে অভিযাগে সব লিখা আছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মৌসুমীর চাচা সাবেক মেম্বার মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমি রাতে মৌসুমীকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়ে এসেছি। এ ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন থাকলেও আমি ভালভাবে জিজ্ঞাসা করে মৌসুমীর বক্তব্য অনুযায়ীই অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান , অভিযোগ পেয়েছি। মামলা এখনো রেকর্ড হয়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।