
নাছিম মৃধা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
ঈদুল ফিতর উদযাপনের পরও বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের ভিড় অব্যাহত রয়েছে। ঈদের ছুটি শেষ হলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা মসজিদটি পরিদর্শন করছেন, যা এলাকাটিকে উৎসবমুখর করে তুলেছে।ষাটগম্বুজ মসজিদ কতৃপক্ষ জানান যে,প্রতিবছরের তুলনায় এবছর দর্শনার্থীদের সংখ্যা কয়েক গুন বেশি। ষাটগম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মসজিদ। মসজিদটি ১৫শ শতাব্দীতে সুলতান নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহের শাসনামলে খান জাহান আলী দ্বারা নির্মিত হয় বলে ধারণা করা হয়।
মসজিদটির স্থাপত্যে তুঘলক ও বাংলা সুলতানি শৈলীর সমন্বয় দেখা যায়। এর অভ্যন্তর ভাগ ৬০টি স্তম্ভ দ্বারা বিভক্ত, যা ৭৭টি গম্বুজকে ধারণ করে। মসজিদের চার কোণায় চারটি মিনার রয়েছে, যা তুঘলক স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য বহন করে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাচীন মসজিদগুলোর একটি এবং এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা লাভ করেছে।
মসজিদটি বাগেরহাট শহর থেকে প্রায় ৩ মাইল দূরে অবস্থিত এবং এর আশেপাশের এলাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।
ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে মসজিদটিতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। ঈদের প্রধান জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশ-বিদেশের প্রায় অর্ধলাখ মুসল্লি অংশ নেন।
ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের স্থাপত্য ও ইতিহাসের এক অনন্য নিদর্শন, যা মুসলিম স্থাপত্যের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।