ঢাকা , শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
পানছড়িতে প্রয়াত প্রগতি চাকমা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন পানছড়ি অরণ্য কুটিরের পরম মৈত্রেয় লাভী শাসন রক্ষিত মহাথের-এর ৬১ তম শুভ জন্মদিন পালিত খাগড়াছড়িতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত পানছড়ি ফুটবল এসোসিয়েশন এর আয়োজনে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত ভোলাহাটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি, আলোচনা ও পথসভা অনুষ্ঠিত!  বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পানছড়িতে মিছিল ও সমাবেশ টেকনাফে প্লাস্টিকের প্যাকেটের ভেতর থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার, গ্রেপ্তার- ৩ জন পলাতক-১ জন পানছড়িতে জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদ পুর ইউনিটের আয়োজনে  সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বিজিবির বিশেষ অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ মোটরসাইকেল আরোহী আটক ভিপি নুরকে দেখতে ঢামেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষে কৃষকের বাজিমাত

 

 

মোঃ রনি রজব ভোলাহাট উপজেলা (প্রতিনিধি) 

 

এসএসিপি-রেইনস কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উচ্চমূল্যের ফসল সাম্মাম চাষে বিঘাপ্রতি জমিতে ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।

 

জানা যায়, এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে আট কাঠা জমিতে সাম্মাম চাষ করা হলে কৃষকের ১০ কাঠা জমি থেকে লক্ষাদিক টাকার উপরে ইনকাম হয়।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা দলদলী ইউনিয়ন এর দক্ষিণ নামোটলা পোলাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম, ময়ামারি গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও একই গ্রামের আব্দুর রহমান তিনজন ২৫ শতক করে এবং লম্বাটোলা পোলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদ ৪০ শতক জমিতে চাষ করেছেন সাম্মাম। এছাড়াও একই উপজেলার শামীম, জাহাঙ্গীরসহ মোট ১২ জন কৃষক প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে সাম্মাম চাষ করে সাড়া ফেলেছে।

 

সাম্মাম ফল হচ্ছে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফলটি মূলত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষাবাদ হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশে এই ফলটি রক মেলন , সুইট মেলন , মাস্ক মেলন ইত্যাদি নামে পরিচিত। এই ফলটি মূলত একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এই ফল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি ও সুগন্ধি যুক্ত একটি ফল। এই ফলটির বহির বিশ্বে অনেক চাহিদা রয়েছে।

 

সাম্মাম চাচী আমিরুল ইসলাম বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম হতো কিন্তু সাম্মাম চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছি।

 

কৃষক মনিরুল বলেন, সাম্মাম চাষ করতে গিয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অনেকভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। তাছাড়া এক বছরে একটি জমিতে চারবার ফসল চাষ করা যাবে তার জন্যই সাম্মাম চাষ করেছি।

 

সাম্মাম দেখতে আসা একজন দর্শনার্থী জামিল হোসেন তিনি বলেন, উচ্চমূল্যের ফসল সাম্মাম অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল তাই দেখতে এসেছি। দেখার পর আমারও সাম্মাম চাষে আগ্রহ জন্মেছে।

 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কাশেম বলেন, সাম্মাম চাষে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, সহযোগিতা ও সমসাময়িক সমস্যার সমাধান দিয়ে আসছি।

 

সাম্মাম চাষে ১ বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হলেও ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

 

উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আলী বলেন, সবধরনের মাটিতে চাষ হচ্ছে। তবে, বেলে মাটিতে বেশি ভালো হয়। ফলটি শরীর হাইড্রেট রাখে, চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, প্রদাহ কমায়, হজম শক্তি বৃদ্ধিসহ ভিটামিনস ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে থাকে। তাছাড়া মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

পানছড়িতে প্রয়াত প্রগতি চাকমা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন

মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষে কৃষকের বাজিমাত

আপডেট টাইমঃ ১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

 

মোঃ রনি রজব ভোলাহাট উপজেলা (প্রতিনিধি) 

 

এসএসিপি-রেইনস কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উচ্চমূল্যের ফসল সাম্মাম চাষে বিঘাপ্রতি জমিতে ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।

 

জানা যায়, এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে আট কাঠা জমিতে সাম্মাম চাষ করা হলে কৃষকের ১০ কাঠা জমি থেকে লক্ষাদিক টাকার উপরে ইনকাম হয়।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা দলদলী ইউনিয়ন এর দক্ষিণ নামোটলা পোলাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম, ময়ামারি গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও একই গ্রামের আব্দুর রহমান তিনজন ২৫ শতক করে এবং লম্বাটোলা পোলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদ ৪০ শতক জমিতে চাষ করেছেন সাম্মাম। এছাড়াও একই উপজেলার শামীম, জাহাঙ্গীরসহ মোট ১২ জন কৃষক প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে সাম্মাম চাষ করে সাড়া ফেলেছে।

 

সাম্মাম ফল হচ্ছে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফলটি মূলত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষাবাদ হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশে এই ফলটি রক মেলন , সুইট মেলন , মাস্ক মেলন ইত্যাদি নামে পরিচিত। এই ফলটি মূলত একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এই ফল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি ও সুগন্ধি যুক্ত একটি ফল। এই ফলটির বহির বিশ্বে অনেক চাহিদা রয়েছে।

 

সাম্মাম চাচী আমিরুল ইসলাম বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম হতো কিন্তু সাম্মাম চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছি।

 

কৃষক মনিরুল বলেন, সাম্মাম চাষ করতে গিয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অনেকভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। তাছাড়া এক বছরে একটি জমিতে চারবার ফসল চাষ করা যাবে তার জন্যই সাম্মাম চাষ করেছি।

 

সাম্মাম দেখতে আসা একজন দর্শনার্থী জামিল হোসেন তিনি বলেন, উচ্চমূল্যের ফসল সাম্মাম অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল তাই দেখতে এসেছি। দেখার পর আমারও সাম্মাম চাষে আগ্রহ জন্মেছে।

 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কাশেম বলেন, সাম্মাম চাষে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, সহযোগিতা ও সমসাময়িক সমস্যার সমাধান দিয়ে আসছি।

 

সাম্মাম চাষে ১ বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হলেও ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

 

উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আলী বলেন, সবধরনের মাটিতে চাষ হচ্ছে। তবে, বেলে মাটিতে বেশি ভালো হয়। ফলটি শরীর হাইড্রেট রাখে, চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, প্রদাহ কমায়, হজম শক্তি বৃদ্ধিসহ ভিটামিনস ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে থাকে। তাছাড়া মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।