ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গুরুদাসপুরে সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান: কাচিকাটায় দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক  পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্থানায় সেনা অভিযান : অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার প্রতিপক্ষের গুলিতে গণতান্ত্রিক যুবফোরামের এক কর্মী নিহত। রংপুরে সাংবাদিকের উপর হামলা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব।  ভোলাহাটে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. অপুর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ! কলমাকান্দায় যুদ্ধ দিবস পালিত বারহাট্টা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবুল সাধারণ সম্পাদক ফারুক সৌদি আরবের ক্রেডিট রেটিং এ+ স্থিতিশীল বলে নিশ্চিত করেছে ফিচ। আটপাড়ায় জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ  ঐতিহ্য হারিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ভবানীপুর বেতবাড়ি মহিলা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা 

বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

আবুল কালাম আজাদ ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:

 

 

রাজধানীর কলাবাগান থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিটের সভাপতি মোঃ শাহীনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ ২৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে মোঃ শাহীন নামের এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেন। ভিডিওতে ওই ‘বিএনপি নেতা’কে নাকে-মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়।

 

ভিডিও বার্তায় শাহীন জানান, গাড়ির হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে তাকে মারধর করা হয়। তিনি বলেন, আমি আমার বসকে নিয়ে এসেছি। সামান্য হর্ন দেওয়ার কারণে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের ছেলেরা আমার যে অবস্থা করেছে, সেটা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।

 

তিনি বলেন, আমার নেতা তারেক রহমান আপনি যদি ভিডিওটি দেখেন, গাড়িতে হর্ন দেওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ময়মনসিংহ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পোলাপান, ছাত্রদলের পোলাপান আমার কী অবস্থা করেছে দেখেন।

 

ওই ব্যক্তি নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি বিএনপির ঢাকা কলাবাগান থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিটের সভাপতি মোঃ শাহীন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ ভাই কোনো কথা না বলেই প্রথম এসে আমার মুখে হিট (আঘাত) করে। তার সঙ্গে আরও দুইজন ছেলে ছিল যাদের নাম আমি জানি না।

 

তিনি আরও বলেন, আমি আমার স্যারকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে স্যারের বাড়িতে এসেছিলাম। শুধু একটু হর্ন দেওয়ার জন্য এভাবে মারতে পারে না।

 

শাহীন ভিডিও বার্তায় দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে বিষয়টি পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানান।

 

তবে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের দাবি, ঘটনার সময় ‘বিএনপি নেতা’ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির গাড়িতে মহানগর কৃষকলীগের এক নেতা ছিলেন। যার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে হত্যাসহ দুটি মামলা রয়েছে। ঘটনার সময় গাড়ির হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে কৃষকলীগের ওই নেতাকে সেই গাড়িতে পাওয়া গেলে ওই ওয়ার্ডের ছাত্রদলের কর্মীদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

গুরুদাসপুরে সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান: কাচিকাটায় দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক 

বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

আপডেট টাইমঃ ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

আবুল কালাম আজাদ ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:

 

 

রাজধানীর কলাবাগান থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিটের সভাপতি মোঃ শাহীনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ ২৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে মোঃ শাহীন নামের এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেন। ভিডিওতে ওই ‘বিএনপি নেতা’কে নাকে-মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়।

 

ভিডিও বার্তায় শাহীন জানান, গাড়ির হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে তাকে মারধর করা হয়। তিনি বলেন, আমি আমার বসকে নিয়ে এসেছি। সামান্য হর্ন দেওয়ার কারণে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের ছেলেরা আমার যে অবস্থা করেছে, সেটা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।

 

তিনি বলেন, আমার নেতা তারেক রহমান আপনি যদি ভিডিওটি দেখেন, গাড়িতে হর্ন দেওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ময়মনসিংহ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পোলাপান, ছাত্রদলের পোলাপান আমার কী অবস্থা করেছে দেখেন।

 

ওই ব্যক্তি নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি বিএনপির ঢাকা কলাবাগান থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিটের সভাপতি মোঃ শাহীন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ ভাই কোনো কথা না বলেই প্রথম এসে আমার মুখে হিট (আঘাত) করে। তার সঙ্গে আরও দুইজন ছেলে ছিল যাদের নাম আমি জানি না।

 

তিনি আরও বলেন, আমি আমার স্যারকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে স্যারের বাড়িতে এসেছিলাম। শুধু একটু হর্ন দেওয়ার জন্য এভাবে মারতে পারে না।

 

শাহীন ভিডিও বার্তায় দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে বিষয়টি পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানান।

 

তবে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের দাবি, ঘটনার সময় ‘বিএনপি নেতা’ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির গাড়িতে মহানগর কৃষকলীগের এক নেতা ছিলেন। যার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে হত্যাসহ দুটি মামলা রয়েছে। ঘটনার সময় গাড়ির হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে কৃষকলীগের ওই নেতাকে সেই গাড়িতে পাওয়া গেলে ওই ওয়ার্ডের ছাত্রদলের কর্মীদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে।