
মোঃ মাহবুবুল আলম, ফুলবাড়িয়া
ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ভবানীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত” ভবানীপুর বেতবাড়ি মহিলা ফজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা” । দক্ষিণ ময়মনসিংহে মহিলা মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে এটি ছিলো অন্যতম। ১৯ ৮৪ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই মাদ্রাসাটি মহিলা শিক্ষার্থীদের ইসলামি শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছিলো। ফুলবাড়িয়া উপজেলা ছাড়াও আশেপাশের উপজেলা থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করতো। সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত শ্রেণী কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আওয়াজে মুখরিত থাকতো।
বর্তমানে মাদ্রাসাটির শিক্ষা ব্যবস্থা চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শ্রেণীকক্ষ গুলো দেখলে মনে হবে বহু বছরের পুরানো পরিত্যক্ত একটি বাসস্থান। প্রতিষ্ঠানটিতে একটি মাত্র পাকা ভবন, বাকিগুলো দোচালা টিনের ছাউনির ঘর। বহু বছরের পুরানো। অনেক জায়গায় ঘরের চাল ভেঙ্গে পড়েছে। শ্রেণিকক্ষ গুলোতে বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে বসতে পারে না। যার ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় হচ্ছে।
মাদ্রাসাটির বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙে গেছে বহু দিন হলো। অনেক জায়গায় গাছের ডাল পালা দিয়ে ভাঙ্গা অংশ মেরামত করার চেষ্টা করা হয়েছে। চারিপাশে সঠিক বাউন্ডারি না থাকায় পর্দা বিনষ্ট হচ্ছে। পাশের রাস্তা থেকে মাদ্রাসার ভেতরের দৃশ্য দেখা যায়। যা শিক্ষার্থীদের কাছে একটি বিব্রতকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাদ্রাসাটির বর্তমান অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মাহবুবুল আলম তোতা। মাদ্রাসার বর্তমান কমিটির কোন হদিস নেই। তাই একক ভাবে কোন ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়াই অধ্যক্ষ মাদ্রাসাটি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করে আসছেন। মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা কিংবা একাডেমিক ভবন কোন দিকেই ওনার তেমন নজর নেই। শূন্য পদে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়েই ওনার অধিক সময় ব্যয় হয়। এক টি পদের জন্য একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অনেক। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনেককে করেছেন সর্বশান্ত।
অধ্যক্ষ মাহাবুবুল আলম ( তোতা) এর হাত থেকে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান এলাকাবাসী। একাডেমিক ভবন সংস্কার, শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি, মানসম্মত পাঠদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।