ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
নেত্রকোণায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৪, থানায় মামলা । ভিজিএফের চাল বিতরণে গিয়ে ইউপি সদস্যদের বাধার মুখে এসিল্যান্ড সন্ত্রাসীরা উল্লাস করে, ইন্টেরিম কী করে’—স্লোগানে উত্তাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সৌদি আরব জেনেভা বিশ্ব সম্মেলনে, সৌদি আরব ডিজিটাল নেতৃত্বের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত অগ্রগতি তুলে ধরেছে। ভোলাহাটে পৈতৃক জমি ও রাস্তাঘাট নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ: মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ স্থানীয় পরিবারের  গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ মিটার রিডার মুক্তার গ্রেপ্তার সৌদি আরবে পবিত্র কাবা পরিষ্কার এবং ধোয়ার নেতৃত্ব দিলেন মক্কার উপ-আমির। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইকর’অ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস উদ্বোধন  নীলফামারী জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে কৃতি শিক্ষার্থী ও সমাজসেবকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

মদনে গরিবের ত্রাণের ৪ বস্তা কম্বল পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে।

মদন প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের  ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুনের বাড়িতে পাওয়া গেল সরকারি  ত্রাণের ৪ বস্তা কম্বল।

সরকারি ত্রাণের কম্বল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুনের  বিরুদ্ধে।

গেল সপ্তাহে  ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস থেকে ৪শ ১০ পিস অসহায় মানুষকে দেওয়ার জন্য সরকারি ত্রাণের

কম্বল নিয়ে দুই বস্তা ইউনিয়ন পরিষদে রাখে এবং বাকী চার বস্তা কম্বল তার নিজ বাড়ীতে রাখছেন।

হাড়ভাঙ্গা  শীতে এলাকার অসহায় মানুষ কম্বল না পেয়ে  মৌখিক অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে তার বসত ঘরে ৪ বস্তা এবং তার বিছানায় রয়েছে সরকারি ত্রাণের কম্বল।

 

সরকারি ত্রাণের ৪ বস্তা কম্বল অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের বিলি না করে চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাখায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে,

ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুন বলেন, সরকারি ৩শ ৫০ পিস কম্বল পেয়েছি পিআই ও অফিস থেকে।

বাকী ৬০ পিস কম্বল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইউএনওর কথা বলে রেখে দিয়েছেন।

এখন ৪ বস্তা কম্বল আমার বাড়িতে রাখছি, আর ২ বস্তা কম্বল ইউনিয়ন পরিষদে রাখাছি। আমি সুনামগঞ্জে আসছি, সুনামগঞ্জ আইসা এই কম্বল বিতরণ করব। বাড়িতে কম্বল রাখার বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে তিনি এড়িয়ে যান।

 

উপজেলা সমবায় অফিসার ও ইউনিয়নের কম্বল বিতরণের  ট্যাগ অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে কম্বল চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাখা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। গরিব মানুষের মাঝে বিলিনা করে বাড়িতে রেখে থাকলে  তিনি অন্যায় করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শওকত জামিল জানান, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে ৪শ ১০ পিস কম্বল ২ জানুয়ারি চেয়ারম্যানকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ত্রাণের কম্বল চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাখার কোন বিধান নেই। চেয়ারম্যান ত্রাণের কম্বল ব্যবহার কিংবা তার বসত বাড়িতে রাখলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

নেত্রকোণায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৪, থানায় মামলা ।

মদনে গরিবের ত্রাণের ৪ বস্তা কম্বল পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে।

আপডেট টাইমঃ ০৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

মদন প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের  ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুনের বাড়িতে পাওয়া গেল সরকারি  ত্রাণের ৪ বস্তা কম্বল।

সরকারি ত্রাণের কম্বল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুনের  বিরুদ্ধে।

গেল সপ্তাহে  ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস থেকে ৪শ ১০ পিস অসহায় মানুষকে দেওয়ার জন্য সরকারি ত্রাণের

কম্বল নিয়ে দুই বস্তা ইউনিয়ন পরিষদে রাখে এবং বাকী চার বস্তা কম্বল তার নিজ বাড়ীতে রাখছেন।

হাড়ভাঙ্গা  শীতে এলাকার অসহায় মানুষ কম্বল না পেয়ে  মৌখিক অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে তার বসত ঘরে ৪ বস্তা এবং তার বিছানায় রয়েছে সরকারি ত্রাণের কম্বল।

 

সরকারি ত্রাণের ৪ বস্তা কম্বল অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের বিলি না করে চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাখায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে,

ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুন বলেন, সরকারি ৩শ ৫০ পিস কম্বল পেয়েছি পিআই ও অফিস থেকে।

বাকী ৬০ পিস কম্বল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইউএনওর কথা বলে রেখে দিয়েছেন।

এখন ৪ বস্তা কম্বল আমার বাড়িতে রাখছি, আর ২ বস্তা কম্বল ইউনিয়ন পরিষদে রাখাছি। আমি সুনামগঞ্জে আসছি, সুনামগঞ্জ আইসা এই কম্বল বিতরণ করব। বাড়িতে কম্বল রাখার বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে তিনি এড়িয়ে যান।

 

উপজেলা সমবায় অফিসার ও ইউনিয়নের কম্বল বিতরণের  ট্যাগ অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে কম্বল চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাখা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। গরিব মানুষের মাঝে বিলিনা করে বাড়িতে রেখে থাকলে  তিনি অন্যায় করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শওকত জামিল জানান, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে ৪শ ১০ পিস কম্বল ২ জানুয়ারি চেয়ারম্যানকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ত্রাণের কম্বল চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাখার কোন বিধান নেই। চেয়ারম্যান ত্রাণের কম্বল ব্যবহার কিংবা তার বসত বাড়িতে রাখলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।