ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে বিজিবি’র অভিযানে মালিক বিহীন ৯টি ভারতীয় অবৈধ গরু আটক ভোলাহাট উপজেলায় উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’র প্রচারণা ও কর্মশালা পরিচালনা তারেক রহমানের দেশে আসতে কোনো বাধা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফুলপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত,পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন ছাতকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষন,গ্রেফতার১ ভালুকায় মাদকাসক্ত যুবককে উদ্ধার করলো, ফায়ার সার্ভিস মায়ের জানাযারে অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তি, সাংবাদিক রূপা-শাকিল মদনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে তিনটি মামলা ও জরিমানা। নাটোরের সিংড়ায় উদ্ধারকৃত গোলাকাটা সেই নারীর পরিচয় সনাক্ত, গ্রেফতার ৪জন

সাংবাদিক আওলাদ হোসেনকে গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তাল কিশোরগঞ্জ – নিঃশর্ত মুক্তির দাবি সাংবাদিক সমাজের

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে একজন সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে—ঘটনাটি এখন গোটা সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও চরম উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক আওলাদ হোসেন, যিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি এবং রাজধানী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত, তাকে সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও সহকর্মীরা জানিয়েছেন।

 

জানা গেছে, ঘটনার সময় আওলাদ হোসেনসহ কয়েকজন সাংবাদিক স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম কাভার করছিলেন। তখনই পুলিশ তার ওপর চড়াও হয়ে বিনা কারণে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ, “আওলাদ ভাই কিছু ভুল করেননি, আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছিলাম। আচমকা পুলিশ তাকে আক্রমণ করে ধরে নিয়ে যায়।”

 

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি এক বিবৃতিতে বলেন, “সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের এই প্রবণতা গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকি। আওলাদ হোসেনকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, অন্যথায় সারাদেশে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।”

 

এদিকে, প্রশাসনের এমন আচরণে সাধারণ জনগণের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, সাংবাদিকদের হয়রানি করে সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণের আস্থা হারাবে প্রশাসন। একজন সাংবাদিককে এভাবে প্রকাশ্যে টেনে হিঁচড়ে গ্রেফতার করা কেবল অমানবিক নয়, এটি সাংবিধানিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

আমরা প্রশাসনের প্রতি জোরালো বার্তা দিতে চাই—“বাড়াবাড়ি কখনোই মঙ্গল বয়ে আনে না।” অবিলম্বে আওলাদ হোসেনকে মুক্তি দিতে হবে এবং যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সাংবাদিকের প্রতি অন্যায় মানে—গণতন্ত্রে আঘাত। আমরা এর প্রতিরোধে অবিচল।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

সাংবাদিক আওলাদ হোসেনকে গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তাল কিশোরগঞ্জ – নিঃশর্ত মুক্তির দাবি সাংবাদিক সমাজের

আপডেট টাইমঃ ১২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে একজন সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে—ঘটনাটি এখন গোটা সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও চরম উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক আওলাদ হোসেন, যিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি এবং রাজধানী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত, তাকে সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও সহকর্মীরা জানিয়েছেন।

 

জানা গেছে, ঘটনার সময় আওলাদ হোসেনসহ কয়েকজন সাংবাদিক স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম কাভার করছিলেন। তখনই পুলিশ তার ওপর চড়াও হয়ে বিনা কারণে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ, “আওলাদ ভাই কিছু ভুল করেননি, আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছিলাম। আচমকা পুলিশ তাকে আক্রমণ করে ধরে নিয়ে যায়।”

 

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি এক বিবৃতিতে বলেন, “সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের এই প্রবণতা গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকি। আওলাদ হোসেনকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, অন্যথায় সারাদেশে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।”

 

এদিকে, প্রশাসনের এমন আচরণে সাধারণ জনগণের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, সাংবাদিকদের হয়রানি করে সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণের আস্থা হারাবে প্রশাসন। একজন সাংবাদিককে এভাবে প্রকাশ্যে টেনে হিঁচড়ে গ্রেফতার করা কেবল অমানবিক নয়, এটি সাংবিধানিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

আমরা প্রশাসনের প্রতি জোরালো বার্তা দিতে চাই—“বাড়াবাড়ি কখনোই মঙ্গল বয়ে আনে না।” অবিলম্বে আওলাদ হোসেনকে মুক্তি দিতে হবে এবং যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সাংবাদিকের প্রতি অন্যায় মানে—গণতন্ত্রে আঘাত। আমরা এর প্রতিরোধে অবিচল।