
সুমন চক্রবর্তী (বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি):
বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর নয়ন মিয়া (২২) ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে এবং সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবনির্বাচিত জেলা বিএনপির সভাপতি ইন্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও সহসভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের নের্তৃত্বে পুরো কমিটি বিকেলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে নিহত নয়নের পরিবারের সাথে দেখা করতে আসেন।উপজেলার শান্তিপুর গ্রামে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী শ্যামল বলেন, আজ থেকে শহীদ নয়নের পরিবারের পুরো দায়িত্ব জেলা বিএনপি নিলো।নয়নের একমাত্র ছেলেকে মানুষ হিসেবে গড়ার দায়িত্ব আমরা নিলাম।সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, নয়ন হত্যার সাথে সম্পৃক্ত সব আসামীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।তাহলেই নয়নের আত্মা শান্তি পাবে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বলেন,নয়ন হত্যাকারীরা পার পাবে না।তার পরিবারকে আমি ও আমার দল অতীতে যেমন করে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছি,ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।এ-সময় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ নয়নের স্ত্রী হাতে নগদ অর্থ সহায়তা করা হয়।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহসভাপতি মমিনুল হক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এমএ খালেক পিএসসি,উপদেষ্টা মেজর (অব.) সাইদ,বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির সদস্য ছালে মুছা,সদস্য গোলাম মোস্তফা, ইন্জিনিয়ার দবির উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হারুন আকাশ, যুবদলের সদস্য সচিব জিসান সরকার প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার প্রায় আড়াই বছর কেটে গেলোও শতাধিক আসামীদের মধ্যে ৪ জন গ্রেফতার হলেও ৩ জন জামিনে চলে আসেন।কেবলমাত্র সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন,মামলাটি বর্তমানে ডিবি’র হাতে রয়েছে।