আটপাড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ 

নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলায় অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ছয়াশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তার কোহেন এর বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষিকা রাবিয়া আক্তার রুবিকে কুপ্রস্তাব ও অন্য বিদ্যালয় হতে এসে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ও এলাকাবাসীর । এসময় তারা সুস্থ বিচার চেয়ে শাস্তি ও বহিষ্কার করার দাবি জানান।

উক্ত সংবাদ সম্মেলন অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন ২৫ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়।

ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষিকা রাবিয়া আক্তার রুবি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের শিক্ষক বিভিন্ন কুপ্রস্তাব সহ কাজের ভুল ত্রুটি খুঁজে পেয়ে চাকরি ক খেয়ে দিবে বলে হুমকি দেখাতো। গত ২২ শে জুলাই পাঁচ মিনিট দেরি হওয়াতে হুমকি শোকজ নোটিশ দিয়েছে। প্রতিদিনই ঠিক সময় এবং নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে থাকেন বলে জানান তিনি। অথচ অন্যান্য শিক্ষকেরা আরও বেশি দেরি করে আসলেও তাদের কোন কিছু বলে না আর পাঁচ মিনিট দেরি হওয়াতে যা ইচ্ছা তাই বলেছে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি শুধু এই শিক্ষকের না আরো একজনকে এমন প্রস্তাব দিয়েছিল তাছাড়া তিনি যে জায়গায় যান সেই জায়গাতেই সহকারী নারী শিক্ষকদের কুপ্রস্তাব দেন ,না শুনলে এভাবে হয়রানি করে ।যা ইতিমধ্যে আটপাড়া উপজেলার সকল শিক্ষকরাই উনার ব্যাপারে সব জানে। এছাড়াও গত ২৪শে জুলাই তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

গণমাধ্যম মুন্না খান শাহীন , ঐদিন আনুমানিক ১টায় ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষাকে কুপ্রস্তাবের অভিযোগের সত্যতা জানতে যায় । প্রধান শিক্ষক পরিচয়পত্র চাইলে উনাকে দেখানো হয় কিন্তু উনি ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো তাদের ভিডিও করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তর্কে না জড়িয়ে বের হয়ে পড়েন। প্রধান শিক্ষক বাহিরে গিয়েও তর্ক বিতর্ক শুরু করেন। পরে কয়েকটি পত্রিকায় রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করেছেন বলে নিউজ করে কিন্তু তিনি রাজনৈতিক পরিচয়ে সেখানে যাননি এছাড়াও বহুদিন ধরে গণমাধ্যম পত্রিকার সাথে তিনি জড়িত আছেন বলে জানান।

অভয়পাশার এলাকাবাসীরা জানান, অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাঙ্গাগীর আলম দু’বছর ধরে এখানে আছেন তার বাড়ি তেলিগাতি ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে বাড়ি । সে এর আগেও ঐ স্কুলের সহকারী শিক্ষিকার সাথে এরকম আচরণ করেছে এবং তেলিগাতী টেংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মের সহকারী শিক্ষিকার সাথে অসামাজিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েন। এতেও তার শিক্ষা হয়নি সে একজন নারী লোভী তারা এমন চরিত্রহীন শিক্ষক এই প্রতিষ্ঠানে চান না ,তাই তার উপযুক্ত শাস্তি ও বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাছাড়া স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তার কোহেন তার স্কুল রেখে কিভাবে আরেক স্কুলে এসে আরেকজন শিক্ষিকাকে মারধর করতে পারে। তার বিচার ও আটপাড়া উপজেলার প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসারের কর্মকর্তার কাছে এই দাবি জানান।

উল্লেখ্য যে,গত ২৩ জুলাই দুপুর ১টায় অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একজন গণমাধ্যম মুন্না খান শাহিন (দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র)ও মিষ্টার (রুবির ভাতিজা)সহকারী শিক্ষিকা রুবিকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে সতত্য জানার জন্য সাক্ষাৎকার নিতে গেলে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইলে ভিডিও করতে থাকেন তর্কে না জড়িয়ে বের হয়ে আসেন সেখানে ও ঐ অভিযুক্ত শিক্ষক আসে সে সময় তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। তারা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।এমন অবস্থায় ঐ প্রধান শিক্ষক আটপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিস , থানায় ও তার পরিবারে ফোন দেয় ।সে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল (এটিও), পুলিশ ও ছয়াশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তাসলিমা আক্তার কোহেন ও কেন্দুয়া বাঁশাটি সহকারী শিক্ষিকা হাওয়া আক্তার দু’জন আসেন। পুলিশ ও শিক্ষা অফিসার (এটিও) সামনে ঐ দু’জন শিক্ষিকা রুবিকে মারধর করে যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ভাইরাল হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী এ বিষয়টির জেনে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তদের দৌড়ানি দেয়।