
নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোর, ১২ জুন ২০২৫
একটি অসহায় নারীর চিৎকার, আর তাতেই থমকে দাঁড়ায় এক ভয়ঙ্কর ইচ্ছা। সাহসী প্রতিরোধ আর মানুষের দ্রুত সহায়তায় রক্ষা পেলো এক নারী—যার জীবনে হয়তো স্থায়ী ক্ষতের দাগ পড়ে যেত।
গতকাল বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ২টায় নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের ছাতনী গ্রামে ঘটে যায় এই হৃদয়বিদারক ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩১) প্রতিবেশী এক নারী, ছবিরন বেগম (৪০)-কে নির্জন মুহূর্তে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
ছবিরনের আর্তনাদে চমকে ওঠে চারদিক। পাশের বাড়ির লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। তারা দেরি না করে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নাটোর সেনা ক্যাম্প-এ অবহিত করে।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে এবং পরিস্থিতি শান্ত করে অভিযুক্ত শরিফুলকে হেফাজতে নেয়। পরে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাকে নাটোর সদর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন গ্রামবাসী বলেন, “সেনাবাহিনী না এলে হয়তো ঘটনা অন্যদিকে গড়াতে পারত। এখন আমরা নিরাপদ বোধ করছি।”
একটি চিৎকার, একটি প্রতিবাদ—এটাই দেখিয়ে দিলো, অপরাধ যতই ভয়ঙ্কর হোক, মানুষের ঐক্য আর সাহস থাকলে তা প্রতিহত করা সম্ভব। সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ এবং জনগণের সচেতনতা ফের একবার প্রমাণ করলো, অন্যায় আর অন্ধকারকে রুখে দেওয়ার শক্তি এখনো গ্রামবাংলার বুকেই জেগে আছে।