ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা- ৪ আসন। মদন, মোহনগঞ্জ ,ও খালিয়াজুরীর মনোনীত প্রার্থী হলেন মুফতি আনোয়ার হোসেন।  টেকনাফে নির্মিত হচ্ছে বিদ্যুতের গ্রীড উপকেন্দ্র: নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবার পাশাপাশি গড়ে উঠবে শিল্প কারখানা গফরগাঁও জেএম কামিল মাদ্রাসায় উপস্থিত না থেকেও বেতন ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের নামে।  কুমিল্লায় নারী সাংবাদিক আখির উপর সন্ত্রাসী হামলা : বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা/২৫ অনুষ্ঠান করেছে পানছড়ি অনির্বাণ শিল্পীগোষ্ঠী। সেন্টমাটিন দ্বীপের সীমান্ত নাইক্ষ্যংদিয়া জলসীমা থেকে ১২ জন জেলে গেপ্তার করে নিয়ে যায় মায়ানমার আরকান আর্মি জরুরি সভা: দৈনিক নেত্রপ্রকাশ-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেত্রকোনা-৩ মনোনীত প্রার্থীর কেন্দুয়া আলেম উলামাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত  ——- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মগড়া বাঁধন সংগঠনের কাজ

জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা- ৪ আসন। মদন, মোহনগঞ্জ ,ও খালিয়াজুরীর মনোনীত প্রার্থী হলেন মুফতি আনোয়ার হোসেন। 

শফিউল আলম রানা 

মদন উপজেলা প্রতিনিধিঃ 

 

নেত্রকোনা -৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আনোয়ার হোসেন কে মদন উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগতম জানান দলের নেতা কর্মীরা।

 

এ সময় মনোনীত প্রার্থী মুফতি আনোয়ার হোসেন দেশবাসীর কাছে সমর্থন এবং দোয়া চেয়েছেন সকলের কাছে। এবং ইসলামের বিজয়ের পতাকার নিচে আসার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানান তিনি।

 

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ হল বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। ব্রিটিশ ভারতে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, যা অবিভক্ত ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালিয়ে যায়।

 

পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে তার থেকে ১৯৪৫ সালে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম। স্বাধীনতা উত্তর পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জমিয়ত, নেজামে ইসলাম পার্টি নামে নিজেদের নির্বাচনি সেল গঠন করে ৩৬টি আসনে জয়লাভ করে।

 

১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে পাকিস্তানে সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হয়।

 

সামরিক শাসন পরবর্তী জমিয়ত নেতাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হলে পূর্বে গঠিত জমিয়তের নির্বাচনি সেল নেজামে ইসলাম পার্টি একটি স্বতন্ত্র দলের রূপ ধারণ করতে থাকে। অন্যদিকে ১৯৬৪ সালে আশরাফ আলী বিশ্বনাথীর আহ্বানে সিলেট বিভাগীয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে জমিয়তের আরেক অংশ সংগঠিত হয়, যারা মূলত পূর্বের জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের পূর্ব পাকিস্তান অংশের কর্মী ছিলেন। ১৯৬৭ সালে জমিয়ত স্পষ্টতঃ দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। অন্যভাগ নেজামে ইসলাম পার্টি নামে কার্যক্রম চালিয়ে যায়। জমিয়ত ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে সর্বাধিক আসন লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২২ মার্চ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান জমিয়তের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং দলের বর্তমান নামটি গ্রহণ করে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ হলেও এটি নিষিদ্ধ হয় নি। স্বাধীন বাংলাদেশে এটি ইসলামি শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। নব্বইয়ের দশকে এটি মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাওবার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে এবং সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদে যোগ দেয়। ১৯৯০ সালে এটি ইসলামী ঐক্যজোটে অংশগ্রহণ করে। ইসলামী ঐক্যজোটের অংশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে এটি বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে যোগদান করে এবং ২০০১ সালে সরকার গঠনে অংশীদার হয়। চার দলীয় জোট পরবর্তীতে বিশ দলীয় জোটে পরিণত হয়। ২০২১ সালে এটি বিশ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যায়। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ছাতা সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে এটি সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিল। ২০২০ সালে গঠিত হেফাজতের ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমিয়তের নেতা ছিল ৩৪ জন।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা- ৪ আসন। মদন, মোহনগঞ্জ ,ও খালিয়াজুরীর মনোনীত প্রার্থী হলেন মুফতি আনোয়ার হোসেন। 

জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা- ৪ আসন। মদন, মোহনগঞ্জ ,ও খালিয়াজুরীর মনোনীত প্রার্থী হলেন মুফতি আনোয়ার হোসেন। 

আপডেট টাইমঃ ৭ ঘন্টা আগে

শফিউল আলম রানা 

মদন উপজেলা প্রতিনিধিঃ 

 

নেত্রকোনা -৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আনোয়ার হোসেন কে মদন উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগতম জানান দলের নেতা কর্মীরা।

 

এ সময় মনোনীত প্রার্থী মুফতি আনোয়ার হোসেন দেশবাসীর কাছে সমর্থন এবং দোয়া চেয়েছেন সকলের কাছে। এবং ইসলামের বিজয়ের পতাকার নিচে আসার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানান তিনি।

 

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ হল বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। ব্রিটিশ ভারতে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, যা অবিভক্ত ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালিয়ে যায়।

 

পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে তার থেকে ১৯৪৫ সালে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম। স্বাধীনতা উত্তর পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জমিয়ত, নেজামে ইসলাম পার্টি নামে নিজেদের নির্বাচনি সেল গঠন করে ৩৬টি আসনে জয়লাভ করে।

 

১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে পাকিস্তানে সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হয়।

 

সামরিক শাসন পরবর্তী জমিয়ত নেতাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হলে পূর্বে গঠিত জমিয়তের নির্বাচনি সেল নেজামে ইসলাম পার্টি একটি স্বতন্ত্র দলের রূপ ধারণ করতে থাকে। অন্যদিকে ১৯৬৪ সালে আশরাফ আলী বিশ্বনাথীর আহ্বানে সিলেট বিভাগীয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে জমিয়তের আরেক অংশ সংগঠিত হয়, যারা মূলত পূর্বের জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের পূর্ব পাকিস্তান অংশের কর্মী ছিলেন। ১৯৬৭ সালে জমিয়ত স্পষ্টতঃ দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। অন্যভাগ নেজামে ইসলাম পার্টি নামে কার্যক্রম চালিয়ে যায়। জমিয়ত ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে সর্বাধিক আসন লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২২ মার্চ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান জমিয়তের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং দলের বর্তমান নামটি গ্রহণ করে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ হলেও এটি নিষিদ্ধ হয় নি। স্বাধীন বাংলাদেশে এটি ইসলামি শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। নব্বইয়ের দশকে এটি মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাওবার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে এবং সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদে যোগ দেয়। ১৯৯০ সালে এটি ইসলামী ঐক্যজোটে অংশগ্রহণ করে। ইসলামী ঐক্যজোটের অংশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে এটি বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে যোগদান করে এবং ২০০১ সালে সরকার গঠনে অংশীদার হয়। চার দলীয় জোট পরবর্তীতে বিশ দলীয় জোটে পরিণত হয়। ২০২১ সালে এটি বিশ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যায়। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ছাতা সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে এটি সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিল। ২০২০ সালে গঠিত হেফাজতের ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমিয়তের নেতা ছিল ৩৪ জন।