ঢাকা , বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বারহাট্টার সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রেজভি আর নেই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল  সৌদি মন্ত্রী বিশ্বব্যাপী সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন, ভিশন ২০৩০ কে জি-২০ এর দ্রুততম উন্নয়ন চালিকাশক্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন। নেত্রকোনায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে নিহতদের স্মরণে রাজশাহীতে দোয়া মাহফিল  বারহাট্টায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় ভারতীয় মদসহ ১জন আটক  তোমার ছেলে পুড়ছে গো মা” শাল্লায় চোরচক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২০ জনের বেশি

শাল্লায় চোরচক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

তৌফিকুর রহমান তাহের, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি 

 

সুনামগঞ্জের শাল্লায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে চোরচক্রের ৭জন চোরসদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে শাল্লা থানা পুলিশ। জানা যায়, গতকাল রাতে  বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন১/মো. হারুন মিয়া (৫৫)২/ মো. আকাশ মিয়া (২০) ৩/সাজিদুল মিয়া (৩২) ৪/মো. কবির মিয়া (২৮) ৫/ মাহফুজ মিয়া (১৯) ৬/মো. সোলেমান মিয়া (৩৫)৭/ জসিম মিয়া (৩৫)।

শাল্লার স্হানীয় লোকজন বলেন,কয়েকদিন যাবৎ সারা শাল্লায় জনমনে অশান্তির সৃষ্টি করে আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়; এর আগে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ফুল মিয়ার বাড়িতে,মেধা গ্রামের আহাদ নুর মিয়ার বাড়িতে,কাশীপুরের মনির মিয়ার বাড়িতে, মনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ঘরে চুরির ঘটনাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০-৫০ টি চুরির ঘটনা ঘটে।

চোর আতঙ্কে হাওর পাড়ের মানুষ।কেন যে হঠাৎ পরপর চুরির ঘটনা একেরপর এক ঘটেই যাচ্ছে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ,? করে আসছিল!? এরপর নড়েচড়ে বসেন শাল্লা থানা পুলিশ প্রশাসন। গতকাল রাতে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃশফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম ৪নংশাল্লা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গ্রাম শাল্লায় গতরাতে কালনী ব্রিজের সরঞ্জামাদি চুরি করতে গিয়ে দু’জন চোরকে আটক করেছেন স্থানীয় লোকজন। একজন হলেন শাল্লা গ্রামের গোলাম হেসেন ফকিরের ছেলে আবুল বাশার (২৫) অন্যজন হলেন সেন-নগরের গ্রামের নিকট (বান্দে) বাসকারী হাদিস মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৪)।
পুলিশ জানিয়েছেন এই দু’জনকে আলাদা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃশফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় স্বল্প জনবল থাকা সত্ত্বেও যে এলাকায় চোর রয়েছে, তাদের চুরি নির্মূলের লক্ষ্যে শাল্লা থানা পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকালেই গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং চোরদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বারহাট্টার সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রেজভি আর নেই

শাল্লায় চোরচক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

আপডেট টাইমঃ ০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

তৌফিকুর রহমান তাহের, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি 

 

সুনামগঞ্জের শাল্লায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে চোরচক্রের ৭জন চোরসদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে শাল্লা থানা পুলিশ। জানা যায়, গতকাল রাতে  বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন১/মো. হারুন মিয়া (৫৫)২/ মো. আকাশ মিয়া (২০) ৩/সাজিদুল মিয়া (৩২) ৪/মো. কবির মিয়া (২৮) ৫/ মাহফুজ মিয়া (১৯) ৬/মো. সোলেমান মিয়া (৩৫)৭/ জসিম মিয়া (৩৫)।

শাল্লার স্হানীয় লোকজন বলেন,কয়েকদিন যাবৎ সারা শাল্লায় জনমনে অশান্তির সৃষ্টি করে আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়; এর আগে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ফুল মিয়ার বাড়িতে,মেধা গ্রামের আহাদ নুর মিয়ার বাড়িতে,কাশীপুরের মনির মিয়ার বাড়িতে, মনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ঘরে চুরির ঘটনাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০-৫০ টি চুরির ঘটনা ঘটে।

চোর আতঙ্কে হাওর পাড়ের মানুষ।কেন যে হঠাৎ পরপর চুরির ঘটনা একেরপর এক ঘটেই যাচ্ছে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ,? করে আসছিল!? এরপর নড়েচড়ে বসেন শাল্লা থানা পুলিশ প্রশাসন। গতকাল রাতে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃশফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম ৪নংশাল্লা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গ্রাম শাল্লায় গতরাতে কালনী ব্রিজের সরঞ্জামাদি চুরি করতে গিয়ে দু’জন চোরকে আটক করেছেন স্থানীয় লোকজন। একজন হলেন শাল্লা গ্রামের গোলাম হেসেন ফকিরের ছেলে আবুল বাশার (২৫) অন্যজন হলেন সেন-নগরের গ্রামের নিকট (বান্দে) বাসকারী হাদিস মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৪)।
পুলিশ জানিয়েছেন এই দু’জনকে আলাদা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃশফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় স্বল্প জনবল থাকা সত্ত্বেও যে এলাকায় চোর রয়েছে, তাদের চুরি নির্মূলের লক্ষ্যে শাল্লা থানা পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকালেই গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং চোরদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।