
তৌফিকুর রহমান তাহের দিরাই শাল্লা প্রতিনিধিঃ
“তোমার ছেলে পুড়ছে গো মা
মাগো, রোজ সকালে,বাবার সাথে
স্কুলে যাওয়ার আগে
আজও তুমি বলেছিলে শোন,
বাবুকে নিয়ে সাবধানেতে যেয়ো,
গেটে ছেড়োনা, ওকে যেনো ক্লাসে পৌঁছে দিও।
এই কপালে চুমু খেয়ে বলে গেলো বাবা
ছুটির পরে স্কুলেই থেকো, বাইরে যাবেনা।
নইলে তোমায় আম্মু এসে খুঁজেই পাবেনা।
লক্ষী ছেলে হয়ে আমি ক্লাসেই ছিলামতো
কিসের থেকে কী যে হল কিছুই বুঝিনিতো।
ছুটির আগেই বিকট শব্দে ঘণ্টা বেজে উঠে
শরীর জুড়ে আগুন জ্বলে তৃষ্ণায় বুক ফাটে।
তোমার ছেলে পুড়ছে মাগো তুমি দেখলেনা,
আর একটাবার কোলে তুলে আমায় নিলেনা।
কী এমন দোষযে হোতোএকটু আগে এলে?
শেষবারের মত খোকার মুখতো দেখতে পেতে।
ডেকেডেকে মাগো তোমায় পুড়ে হলাম ছাই
ভালোই হল এখন থেকে পড়াশোনা নাই।
সকালবেলা আর তাড়া নাই
আমায় রেডি করার
ব্যাগ গুছানো,ড্রেস পরানো টিফিন তৈরি করার।
আমার ছুটি,তোমার ছুটি,ছুটি হল বাবার
ওপার গিয়ে চিনে নিও মুখটা তোমার খোকার।
সাইফুন
২২/৭/২০২৫ ইংরেজি
সাইফুন্নাহার শিউলী
-মাইলস্টোন ট্রেজিডি