
নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ৪ নং নগর ইউনিয়নের খিদরি আটাই গ্রামের ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মোছাঃ মর্জিনা খাতুন (২৮)কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন তার স্বামী (১) মোঃ ওমর ফারুক (৩৫) ও তার শাশুড়ি মা (২)মোছা:পারভীন বেগম(৫৫) অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মর্জিনা খাতুন বলেন তার শাশুড়ি প্রায় কারণে অকারণে তার স্বামীর কাছে সত্য মিথ্যা বিভিন্ন রকমের বানোয়াট কথা বলে,তার প্রেক্ষিতে আমার স্বামী আমাকে প্রায় প্রতিনিয়তই মার -পিট করে থাকে।
প্রত্যক্ষ সূত্রে গৃহবধূর সঙ্গে আলাপ কালে জানা যায় যে, তিনি তার গোয়াল ঘরে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়েছিল গতকাল সন্ধ্যায় ৩১/০১/২৪। বাল্ব জ্বালানোর ঘন্টা দুই তিনেক পরে তিনি তার ঘরের বৈদ্যুতিক বাল্বটি হঠাৎ বন্ধ করে দেন।কিন্তু এ সময় বাল্বের আলোতে তার শাশুড়ি মা পারভীন বেগম মাছ কাটার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।বৈদ্যুতিক বালটি বন্ধ করার কারনে তাহার পুত্রবধূর তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং ছেলের কাছে নালিশ জানায়। মায়ের করা নালিশের প্রেক্ষিতে তার স্বামী ক্ষীপ্ত হয়ে অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন চালায় তাহার উপর ।
মারপিটের একপর্যায়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকার বেশ কিছু স্থানীয় লোকজন ঐ গৃহবধূকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে একজন পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তার অবস্থা ব্যাগতিক হয়ে পড়ায় বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে গৃহবধুর স্বামী মো: ওমর ফারুককে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস তিনি বলেন তেমন কিছুই হয়নি আমাদের স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে, একটু আকটু তর্ক বিতর্ক হয়েছে মাত্র , তবে মারপিটের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি। তার স্ত্রী বর্তমানে কোথায় আছে সেটাও তিনি জানেন না ।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আজম খান বলেন আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব জানান তিনি।