ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
দুরদুরিয়ায় সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের ত্যাগী নেতা মোঃ পাশার জন্মদিন উদযাপন এমন কোন অপকর্ম নাই যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার করে নাই : নাহিদ ইসলাম   সৌদি আরব ২০২৪ সালে সৌদি স্নাতকদের চাকরির বাজারে রেকর্ড প্রবেশের সম্ভাবনা। রাজবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম আটপাড়ার সোনাজুর হিলফুল ফুজুল সংগঠনে উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত যে নেতারা তাদের দলে নিয়েছে তাদের আগে বহিষ্কার করা উচিত বিএনপি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগান্ডার প্রতিবাদে ঈশ্বরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল। মিডফোর্ডের সোহাগ হত্যা মামলার দুই আসামি নেত্রকোনা থেকে গ্রেফতার ১৭ মাসের শিশু আরিফার ভরণপোষণ নিয়ে বিপাকে ভিখারিনী দাদি

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

ব্যুরো চীফ, ময়মনসিংহ

১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের ১ম সরকারের শপথ গ্রহণের দিন।বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের অবিস্মরণীয় দিন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস।

১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন -সার্বভৌম গণপ্রজাতণ্ত্রী বাংলাদেশের ১ম সরকার শপথ গ্রহণ করে।একই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও পাঠ করা হয়।এর ১ সপ্তাহ পূর্বে ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের ১ম সরকার গঠন ও ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হয়। ১ম সরকারের শপথ গ্রহণের পর থেকে বৈদ্যনাথতলা স্হানটি মুজিবনগর নামে পরিচিত।

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের ১ম অস্হায়ী সরকার ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গঠন করা হয়। এরপর তৎকালীন ভবেরপাড়ার বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগর)আম্রকাননে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে সরকার শপথ গ্রহণ করে।এই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অস্হায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ,পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক,অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব বিষয়ক মন্ত্রী এম মনসুর আলী ও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন এ এইচ এম কামারুজ্জামান।৷ এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের বাইরে আরো কয়েকটি সংস্হা ছিল যারা সরাসরি মন্ত্রীপরিষদের কতৃত্বাধীনে কাজ করত।

সত্যিকথা বলতে কি—এই সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানী সেনাবাহীনির বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ প্রবলযুদ্ধে রুপ নেয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়।

ভৌগোলিকভাবে পলাশী আর বৈদ্যনাথতলা বেশ কাছাকাছি। দুটি স্হানই বাঙালির জীবনে স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যর্থতার অপরটি পূর্ণতার। পলাশীর আম্রকুন্জে বাঙালি হারায় তার স্বাধীনতা,আর বৈদ্যনাথতলার আম্রকুন্জে তা ফিরে পাওয়ার শপথ নেয়। তারপর থেকে বৈদ্যনাথতলা ‘মুজিবনগর’নামে পরিচিত।আর এ দিনটি পালিত হয় ‘মুজিবনগর দিবস’হিসেবে।

নি:সন্দেহে, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব সুদূরপ্রসারী।মুজিবনগর দিবস আমাদের জাতীয় ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী অধ্যায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

দুরদুরিয়ায় সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

আপডেট টাইমঃ ০৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ব্যুরো চীফ, ময়মনসিংহ

১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের ১ম সরকারের শপথ গ্রহণের দিন।বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের অবিস্মরণীয় দিন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস।

১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন -সার্বভৌম গণপ্রজাতণ্ত্রী বাংলাদেশের ১ম সরকার শপথ গ্রহণ করে।একই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও পাঠ করা হয়।এর ১ সপ্তাহ পূর্বে ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের ১ম সরকার গঠন ও ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হয়। ১ম সরকারের শপথ গ্রহণের পর থেকে বৈদ্যনাথতলা স্হানটি মুজিবনগর নামে পরিচিত।

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের ১ম অস্হায়ী সরকার ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গঠন করা হয়। এরপর তৎকালীন ভবেরপাড়ার বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগর)আম্রকাননে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে সরকার শপথ গ্রহণ করে।এই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অস্হায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ,পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক,অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব বিষয়ক মন্ত্রী এম মনসুর আলী ও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন এ এইচ এম কামারুজ্জামান।৷ এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের বাইরে আরো কয়েকটি সংস্হা ছিল যারা সরাসরি মন্ত্রীপরিষদের কতৃত্বাধীনে কাজ করত।

সত্যিকথা বলতে কি—এই সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানী সেনাবাহীনির বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ প্রবলযুদ্ধে রুপ নেয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়।

ভৌগোলিকভাবে পলাশী আর বৈদ্যনাথতলা বেশ কাছাকাছি। দুটি স্হানই বাঙালির জীবনে স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যর্থতার অপরটি পূর্ণতার। পলাশীর আম্রকুন্জে বাঙালি হারায় তার স্বাধীনতা,আর বৈদ্যনাথতলার আম্রকুন্জে তা ফিরে পাওয়ার শপথ নেয়। তারপর থেকে বৈদ্যনাথতলা ‘মুজিবনগর’নামে পরিচিত।আর এ দিনটি পালিত হয় ‘মুজিবনগর দিবস’হিসেবে।

নি:সন্দেহে, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব সুদূরপ্রসারী।মুজিবনগর দিবস আমাদের জাতীয় ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী অধ্যায়।