ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
ভোলাহাটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি, আলোচনা ও পথসভা অনুষ্ঠিত!  বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পানছড়িতে মিছিল ও সমাবেশ টেকনাফে প্লাস্টিকের প্যাকেটের ভেতর থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার, গ্রেপ্তার- ৩ জন পলাতক-১ জন পানছড়িতে জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদ পুর ইউনিটের আয়োজনে  সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বিজিবির বিশেষ অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ মোটরসাইকেল আরোহী আটক ভিপি নুরকে দেখতে ঢামেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেত্রকোনা বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তৃনমুল দল বিএনপির আয়োজনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন। ‘ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গড়তে হবে’—খাগড়াছড়িতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে নেতাদের আহ্বান জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি সমর্থন করি: নাহিদ ইসলাম

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহবায়ক (এক) নির্বাচিত হলেন কেন্দুয়ার ছেলে ছগীর”

আশরাফ ইলিয়াস (স্টাফ রিপোর্টার)

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সফল জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে পাঁচ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিপ্লবী ছাত্রজনতা। কোটা বিরোধী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে ছাত্রদের উপর হামলা, আটকে,গুলি করে বিচার বহির্ভূত হত্যা করা শুরু করে আওয়ামী নেতৃবৃন্দ এবং তাদের প্রশাসন। এরফলে আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফাতে। পনেরো বছরের দূর্নীতি, জুলুমে অতীষ্ঠ ছিল সারাদেশের মানুষ। ছাত্রদের রক্তে রাজপথ রক্তাক্ত দেখে পনেরো বছরের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে সবার।
সকল দলমত,ধর্ম বর্ণের মানুষ ছাত্রদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে। ঘরের মা,বোন,বাচ্চারাও আন্দোলনে শামিল হয়। জনতার ভয়াবহ রোষানলের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যায় গণতন্ত্রের হত্যাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। দেশ মুক্তি পায় পনেরো বছরের আওয়ামী লীগের দুঃশাসনকাল থেকে।

নব্য স্বাধীনতার যুদ্ধে সম্মুখ সারিতে থাকা ছাত্ররা “জাতীয় নাগরিক পার্টি” নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। পাশাপাশি বিপ্লবী ছাত্রদের নিয়ে “জাতীয় নাগরিক কমিটি” র
“বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ” নামে তৈরী হয়েছে ছাত্রদের একটি দলও। নবগঠিত বিপ্লবী ছাত্রদের এই সংগঠনে ক্ষেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক (এক) মনোনীত হয়েছেন কেন্দুয়ার ছেলে নূরুল গণি ছগীর।

ছগীর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া
উপজেলার রায়পুর গ্রামের মোঃ আবু ছাদেক ভূঞার ছেলে। তার পিতা ভরাপাড়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। বর্তমানে পৌরসদরের কান্দিউড়ায় পরিবারসহ বসবাস করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জসীম উদ্দিন হলে থেকে আরবী বিভাগে অধ্যায়নরত ছগীর। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখসমরে থেকে ঢাবির সকল ছাত্রদের সংগঠিত করেছেন তিনিও।পাশাপাশি এলাকাতেও আন্দোলনে থাকা ছাত্রদের এবং পলিসি মেকারদের সাথে সংযুক্ত ছিলেন ।
ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের বিপ্লবী সৈনিকদের সাথে কেন্দুয়ার ছেলে হিসেবে আন্দোলনের ক্ষেন্দ্রস্হলে ছগীরের অংশগ্রহণ স্হানীয় ছাত্রদেরও তখন উদ্বুদ্ধ করে। ক্ষেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়া নিয়ে তরুণরা বেশ উচ্ছসিত।
এলাকার সকল শ্রেণির মানুষ নতুন দল এবং তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যে উদ্দেশ্যে হয়েছে সেই আলোকে দেশকে পুনর্গঠনে নবগঠিত দল কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্হানীয় সুধীমহল।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলাহাটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি, আলোচনা ও পথসভা অনুষ্ঠিত! 

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহবায়ক (এক) নির্বাচিত হলেন কেন্দুয়ার ছেলে ছগীর”

আপডেট টাইমঃ ০৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

আশরাফ ইলিয়াস (স্টাফ রিপোর্টার)

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সফল জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে পাঁচ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিপ্লবী ছাত্রজনতা। কোটা বিরোধী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে ছাত্রদের উপর হামলা, আটকে,গুলি করে বিচার বহির্ভূত হত্যা করা শুরু করে আওয়ামী নেতৃবৃন্দ এবং তাদের প্রশাসন। এরফলে আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফাতে। পনেরো বছরের দূর্নীতি, জুলুমে অতীষ্ঠ ছিল সারাদেশের মানুষ। ছাত্রদের রক্তে রাজপথ রক্তাক্ত দেখে পনেরো বছরের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে সবার।
সকল দলমত,ধর্ম বর্ণের মানুষ ছাত্রদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে। ঘরের মা,বোন,বাচ্চারাও আন্দোলনে শামিল হয়। জনতার ভয়াবহ রোষানলের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যায় গণতন্ত্রের হত্যাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। দেশ মুক্তি পায় পনেরো বছরের আওয়ামী লীগের দুঃশাসনকাল থেকে।

নব্য স্বাধীনতার যুদ্ধে সম্মুখ সারিতে থাকা ছাত্ররা “জাতীয় নাগরিক পার্টি” নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। পাশাপাশি বিপ্লবী ছাত্রদের নিয়ে “জাতীয় নাগরিক কমিটি” র
“বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ” নামে তৈরী হয়েছে ছাত্রদের একটি দলও। নবগঠিত বিপ্লবী ছাত্রদের এই সংগঠনে ক্ষেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক (এক) মনোনীত হয়েছেন কেন্দুয়ার ছেলে নূরুল গণি ছগীর।

ছগীর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া
উপজেলার রায়পুর গ্রামের মোঃ আবু ছাদেক ভূঞার ছেলে। তার পিতা ভরাপাড়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। বর্তমানে পৌরসদরের কান্দিউড়ায় পরিবারসহ বসবাস করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জসীম উদ্দিন হলে থেকে আরবী বিভাগে অধ্যায়নরত ছগীর। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখসমরে থেকে ঢাবির সকল ছাত্রদের সংগঠিত করেছেন তিনিও।পাশাপাশি এলাকাতেও আন্দোলনে থাকা ছাত্রদের এবং পলিসি মেকারদের সাথে সংযুক্ত ছিলেন ।
ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের বিপ্লবী সৈনিকদের সাথে কেন্দুয়ার ছেলে হিসেবে আন্দোলনের ক্ষেন্দ্রস্হলে ছগীরের অংশগ্রহণ স্হানীয় ছাত্রদেরও তখন উদ্বুদ্ধ করে। ক্ষেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়া নিয়ে তরুণরা বেশ উচ্ছসিত।
এলাকার সকল শ্রেণির মানুষ নতুন দল এবং তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যে উদ্দেশ্যে হয়েছে সেই আলোকে দেশকে পুনর্গঠনে নবগঠিত দল কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্হানীয় সুধীমহল।