ঢাকা , রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
জামায়াতের কোন ইমাম, মুয়াজ্জিন নামাজ পড়াতে ও আজান দিতে পারবে না :-বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব ফরিদপুরের কানাইপুরে ‌ বজ্রপাতে পুড়ে গেল তুলার গোডাউন নাটোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে ৪ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার পাঁচবিবিতে ভারত প্রবেশের চেষ্টা: পাসপোর্টবিহীন ২ জন আটক প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের পরিবারের দায়িত্ব নিলো জেলা বিএনপি প্রখ্যাত আলেম পাঁচবাগী (রহ.)-এর কবর জিয়ারত করলেন আলমগীর মাহমুদ আলম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাবেক কাউন্সিলর মীর সালামকে দেখতে গেলেন নাসের রহমান খেলাফত মজলিস দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউপি শাখা পনর্গঠনঃ সভাপতি আতিকুর সেক্রেটারি খালেদ সৌদি আরবে সংশোধিত জিসিসি কাস্টমস ট্যারিফ তফসিল অনুসারে কিছু পণ্যের উপর সংশোধিত শুল্ক।

রমজানের জুমায় মুক্তির পরোয়ানা

  • মোঃ সাগর
  • আপডেট টাইমঃ ০২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ৯৪ বার

মোঃ সাগর, স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা

 

মানুষ মাত্রই তার গুনাহ হয়ে থাকে। নবী (আ.) ছাড়া কেউ গুনাহের ঊর্ধ্বে নয়। মানুষের যেমন পাপে জড়িত হওয়া নৈমিত্তিক ঘটনা, দয়াময় আল্লাহও তেমনি মানুষকে ক্ষমার সহজ সুযোগ রেখেছেন দৈনিক ভিত্তিতে। দৈনিক ক্ষমার আওতায় কেউ না আসতে পারে, দয়াময় তাকে ক্ষমার সুযোগ দিয়েছেন সাপ্তাহিক ভিত্তিতে, তা-ও যদি না পারে, তবে সুযোগ খোলা রেখেছেন বার্ষিক একটি পুরো মাস।

 

আর আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহসমূহকে মুছে দেয়- যদি সে কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (মুসলিম : ২৩৩)

 

রমজানের এই মাগফিরাতের বিশেষ মৌসুমে জুমার দিনগুলো নিজের পাপসমূহ ক্ষমা করিয়ে নেওয়ার তিনটি সুযোগ একসঙ্গে নিয়ে আবির্ভূত হয়। রমজানের জুমার দিন যদি কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকেন, তাহলে তিনি হাদিসে বর্ণিত ক্ষমার তিন স্তরের সবকটির আওতায় একসঙ্গে আসবেন।

 

সারা বছর আল্লাহর মাগফিরাতের দুয়ার খোলা থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেকে তা হাসিল করতে পারি না। তাই রমজানে ক্ষমাপ্রাপ্তির সুযোগ যেন কিছুতেই হাতছাড়া না হয়। রমজানের অন্য দিনগুলো লুফে নিতে না পারলেও রমজানের জুমাবার অন্তত যেন হাতছাড়া না হয়।

 

 

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘জুমা হলো সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন আর রমজান হলো বছরের শ্রেষ্ঠ মাস।’ সুতরাং রমজানের জুমা মানে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রাপ্তির দ্বিগুণ বহুগুণ সুযোগ।

 

বলাবাহুল্য, আল্লাহর মাগফিরাত, তথা মার্জনা লাভ করা মানবজীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। সবচেয়ে বড় সাফল্য। গুনাহ থেকে ক্ষমা পেয়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্রবেশের

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের কোন ইমাম, মুয়াজ্জিন নামাজ পড়াতে ও আজান দিতে পারবে না :-বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব

রমজানের জুমায় মুক্তির পরোয়ানা

আপডেট টাইমঃ ০২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

মোঃ সাগর, স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা

 

মানুষ মাত্রই তার গুনাহ হয়ে থাকে। নবী (আ.) ছাড়া কেউ গুনাহের ঊর্ধ্বে নয়। মানুষের যেমন পাপে জড়িত হওয়া নৈমিত্তিক ঘটনা, দয়াময় আল্লাহও তেমনি মানুষকে ক্ষমার সহজ সুযোগ রেখেছেন দৈনিক ভিত্তিতে। দৈনিক ক্ষমার আওতায় কেউ না আসতে পারে, দয়াময় তাকে ক্ষমার সুযোগ দিয়েছেন সাপ্তাহিক ভিত্তিতে, তা-ও যদি না পারে, তবে সুযোগ খোলা রেখেছেন বার্ষিক একটি পুরো মাস।

 

আর আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহসমূহকে মুছে দেয়- যদি সে কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (মুসলিম : ২৩৩)

 

রমজানের এই মাগফিরাতের বিশেষ মৌসুমে জুমার দিনগুলো নিজের পাপসমূহ ক্ষমা করিয়ে নেওয়ার তিনটি সুযোগ একসঙ্গে নিয়ে আবির্ভূত হয়। রমজানের জুমার দিন যদি কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকেন, তাহলে তিনি হাদিসে বর্ণিত ক্ষমার তিন স্তরের সবকটির আওতায় একসঙ্গে আসবেন।

 

সারা বছর আল্লাহর মাগফিরাতের দুয়ার খোলা থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেকে তা হাসিল করতে পারি না। তাই রমজানে ক্ষমাপ্রাপ্তির সুযোগ যেন কিছুতেই হাতছাড়া না হয়। রমজানের অন্য দিনগুলো লুফে নিতে না পারলেও রমজানের জুমাবার অন্তত যেন হাতছাড়া না হয়।

 

 

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘জুমা হলো সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন আর রমজান হলো বছরের শ্রেষ্ঠ মাস।’ সুতরাং রমজানের জুমা মানে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রাপ্তির দ্বিগুণ বহুগুণ সুযোগ।

 

বলাবাহুল্য, আল্লাহর মাগফিরাত, তথা মার্জনা লাভ করা মানবজীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। সবচেয়ে বড় সাফল্য। গুনাহ থেকে ক্ষমা পেয়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্রবেশের